রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

আইসিবি-পদ্মা-বেসিক ব্যাংকের অর্ধেকের বেশি খেলাপি ঋণ

করোনার ধকল থেকে ব্যবসায়ীদের বাঁচাতে মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নবায়নসহ বিভিন্নভাবে সুবিধা দিয়েছে সরকার। তারপরও লাগামহীন খেলাপি ঋণ। গত ডিসেম্বর শেষে ব্যাংকিং খাতে মোট ঋণ স্থিতির ১৩ লাখ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকার মধ্যে খেলাপি ঋণ হয়েছে এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। গত ডিসেম্বর পর্যন্ত সর্বোচ্চ খেলাপি ঋণ হয়েছে বেসরকারি ব্যাংকের মধ্যে আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের ৬৬২ কোটি টাকা বা ৭৮ দশমিক ৫৪ শতাংশ। কারণ এর মোট ঋণস্থিতি ৮৪৩ কোটি টাকা। আর নতুন প্রজন্মের পদ্মা ব্যাংকের খেলাপি ৩ হাজার ৬৬৫ কোটি টাকা বা ৬৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। এর ঋণস্থিতি ৫ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা।

খেলাপি ঋণের তালিকায় তৃতীয় অবস্থানে বহু আলোচিত সরকারি বেসিক ব্যাংকের ৭ হাজার ৮৪৯ কোটি টাকা বা ৫৫ দশমিক ১৫ শতাংশ। কারণ এর ঋণস্থিতি হলো ১৪ হাজার ২৩১ কোটি টাকা। বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংকের খেলাপি হয়েছে এক হাজার ৯৬ কোটি টাকা বা ৪৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। এর ঋণস্থিতি হলো ২ হাজার ৩০২ কোটি টাকা। আর খেলাপির ৫ম স্থানে জায়গা করে নিয়েছে বাংলাদেশ ডেভলপমেন্ট ব্যাংক ৭২৮ কোটি টাকা বা ৩৬ শতাংশ। কারণ এর ঋণস্থিতি হলো ২ হাজার ৪৪ কোটি টাকা। এছাড়া বিদেশি ৯টি ব্যাংকের মধ্যে ন্যাশনাল ব্যাংক পাকিস্তানের খেলাপি ঋণ হয়েছে এক হাজার ৩৭২ কোটি টাকা বা ৯৮ দশমিক ৯৯ শতাংশ। এর মোট ঋণস্থিতি হলো এক হাজার ৩৮৬ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ সব তথ্য পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে জানতে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব না হওয়ায় মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।

যোগাযোগ করা হলে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক অর্থনীতিবিদ ও ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. আহসান এইচ মনসুর ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘সরকার সুযোগ দিলেও সরকারি ব্যাংকের মতো বেসরকারি ব্যাংকেরও খেলাপি ঋণ বাড়ছে। এভাবে চলতে পারে না। সরকার ঠিকমতো কৌশল বের করতে পারেনি বলেই পদ্মা ব্যাংকেরও খেলাপি বাড়ছে। বেসরকারি পদ্মা ব্যাংকে বিনিয়োগ করে বাঁচার কৌশল ভুল ছিল। এতে সরকারেরই লোকসান হচ্ছে। এ অবস্থা থেকে রক্ষা পেতে হয় কারো সঙ্গে মার্জ ( যুক্ত) করতে হবে না হলে বন্ধ করে দিতে হবে। এভাবে লোকসানে চলতে থাকা ব্যাংকের দরকার নেই।’

সূত্র মতে, খেলাপি ঋণের বিপরীতে আমানতকারীদের অর্থ সুরক্ষায় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে হয়। কিন্তু তা পূরণ করতে পারেনি ৮টি ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর ওই সময়ে প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা, যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ।

বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের মার্চে করোনা শুরু হলে গত দুই বছর ধরে ঋণ আদায়ে নানাভাবে ছাড় দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যবসায়ীদের রক্ষা করতে ২০২০ সালের শুরু থেকেই মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে দীর্ঘ মেয়াদে ঋণ নবায়নে ছাড় দেওয়া হয়। কারণ বিদ্যমান নীতিমালা ছিল, ঋণ নবায়ন করতে হলে বকেয়া ঋণের ১৫ শতাংশ এককালীন পরিশোধ করতে হবে। কিন্তু এ নীতিমালা শিথিল করে ওই বছরের শুরু থেকে মাত্র দুই শতাংশ ডাউন পেমেন্ট দিয়ে বিপুল অঙ্কের ঋণ নবায়ন করা হয়। এতে সুদহারের ওপর শিথিলতা আনা হয়। ঋণ আদায়ের ওপরই ঢালাও ছাড় দেওয়া হয়। এক টাকা পরিশোধ না করলেও খেলাপি ঋণ করা হবে না। এ সুবিধা দেওয়ায় গত ২০২০ সাল শেষে খেলাপি ঋণ বাড়েনি। বরং কমে বছর শেষে খেলাপি ঋণ কমে হয় ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। এরই ধারাবাহিকতায় বিদায়ী বছরেও (২০২১ সাল) ঋণ আদায়ের ওপর শিথিলতা ছিল। সর্বশেষ বলা হয়, মোট বকেয়া কিস্তির মাত্র ১৫ শতাংশ পরিশোধ করলে ঋণ নিয়মিত হয়ে যাবে। এসব সুবিধা দেওয়ার পরেও ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ কমেনি, বরং এক বছরে বেড়েছে ১৪ হাজার কোটি টাকা। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শিথিলতা না থাকলে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেড়ে যেত।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত ডিসেম্বর শেষে ৬১টি ব্যাংকের মোট ঋণস্থিতি ছিল ১৩ লাখ এক হাজার ৭৯৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি ঋণ হয়েছে এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকা, যা মোট ঋণের ৭ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খেলাপি ঋণের মধ্যে ছয় রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকেরই ৪৪ হাজার ৯৭৬ কোটি টাকা, যা ব্যাংক ছয়টির মোট ঋণের ১৮.০৬ শতাংশ। তবে বরাবরই সরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের পরিমাণ কম ছিল। কিন্তু এবার তা বেড়ে হয়েছে ৪৩ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা। তবে শতকরা হিসাবে সরকারি ব্যাংকগুলোর চেয়ে কম অর্থাৎ ৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ।

এ দিকে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি বেড়েছে মন্দ ঋণের পরিমাণ। এ আদায় অযোগ্য মন্দ ঋণ বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে ঝুঁকির পরিমাণ। এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকার খেলাপি ঋণের মধ্যে ৯১ হাজার ৫৮ কোটি টাকাই মন্দ (ব্যাড) ঋণ, যা মোট খেলাপি ঋণের ৮৮.১৭ শতাংশ।

মন্দ ঋণের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতিও বেড়ে যাচ্ছে। সাধারণ গ্রাহকের আমানত সুরক্ষা রাখতে ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণের প্রকারভেদে ২০ শতাংশ থেকে শতভাগ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয়। এ প্রভিশন সংরক্ষণ করা হয় ব্যাংকগুলোর আয় থেকে অর্থ নিয়ে। কিন্তু ডিসেম্বর শেষে ৮ ব্যাংক তাদের আয় দিয়ে প্রয়োজনীয় প্রভিশন সংরক্ষণ করতে পারেনি। এই ৮ ব্যাংকের প্রভিশন ঘাটতি হয়েছে প্রায় সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তিন ব্যাংকেরই প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকা। প্রভিশন ঘাটতি বেড়ে যাওয়ায় বেড়ে যাচ্ছে ঝুঁকির পরিমাণ।

বিদায়ী বছরে ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণ বেড়েছে সাড়ে ১৪ হাজার কোটি টাকা। কারণ গত ডিসেম্বর শেষে খেলাপি ঋণ (সাবস্টান্ডার্ড, ডাউটফুল ও ব্যাড/লস) বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক লাখ তিন হাজার ২৭৩ কোটি টাকা। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিল ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকা। ডিসেম্বর পর্যন্ত খেলাপি ঋণের মধ্যে আদায় অযোগ্য মন্দ (ব্যাড/লস) ঋণ বেড়ে হয়েছে ৯১ হাজার ৫৮ কোটি টাকা, যা মোট খেলাপি ঋণের ৮৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

জেডএ/আরএ/

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক