মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪ | ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

এডিপিতে বরাদ্ধ কমল ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা

সরকার চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন করেছিল। তবে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা ব্যয় করতে না পারায় সংশোধন করে কমানো হলো ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা বা প্রায় আট শতাংশ।

এরফলে ২ লাখ ৭ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা চূড়ান্তভাবে উন্নয়ন বরাদ্দ চূড়ান্ত করল সরকার। ১ হাজার ৭৫৪ প্রকল্পে এই অর্থ ব্যয় হবে। মোট বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে বৈদেশিক ঋণ ৭০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা এবং দেশীয় অর্থায়ন ১ লাখ ৩৭ হাজার কোটি টাকা।

বুধবার (২ মার্চ) রাজধানীর শের-ই-বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত আরএডিপির অনুমোদন দেওয়া হয়। সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।

সংশোধিত এডিপি প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সরকারি অংশ ঠিকই আছে। তবে উন্নয়ণ সহযোগীদের ঋণ-অনুদান কমেছে ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা।
কয়েক বছরের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্পে বৈদেশিক অর্থায়ন কাট-ছাঁটে এবার রেকর্ড হয়েছে। এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকা।

চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) বিশাল পরিমাণ অর্থ কাট-ছাঁট করা হচ্ছে। তবে বৈদেশিক ঋণের টাকা কাট-ছাঁট করা হলেও আরএডিপিতে ঠিক থাকছে সরকারি অংশ।

নতুন অর্থবছরের জন্য ২ লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকা ব্যয় এডিপি অনুমোদন করা হয়েছিল। তার মধ্যে দেশের অভ্যন্তরীণ উৎস বা সরকারি খাত থেকে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২৯৯ কোটি ৯১ লাখ টাকা মেটানো হবে। সংশোধিত এডিপিতেও এটা ঠিক থাকছে।

প্রতি বছর আরএডিপিতে বৈদেশিক বরাদ্দ কমানোর একটা প্রবণতা থাকে। তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এত বেশি হারে কমানো হয়নি। গত বছর সাড়ে ৭ হাজার কোটি টাকা কমানো হয়েছিল। অর্থাৎ এ বছর গত অর্থবছরের তুলনায় দ্বিগুণেরও বেশি কমছে।

চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে কাট-ছাঁট করার অন্যতম কারণ করোনার নতুন ধরন অমিক্রনের সংক্রমণ, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এডিপিতে। বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ থাকলেও বাস্তবতার পরিপ্রেক্ষিতে খরচ করতে না পারায় এই অর্থ ফেরত দিয়েছে মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলো।
চলতি অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ ছিল ৮৮ হাজার ২৪ কোটি টাকা। এখন সংশোধিত আরএডিপির জন্য এ বরাদ্দ কমিয়ে ধরা হয়েছে ৭০ হাজার ২৫০ কোটি টাকা।

স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার মোট প্রকল্প সংখ্যা ১০৭টি। এসব প্রকল্পে মোট বরাদ্দ ৯ হাজার ৬১৩ কোটি টাকা। মূল এডিপি থেকে স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার বরাদ্দ আলাদা করা হয়।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (আরএডিপি) রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে তিন হাজার ৫৯০ কোটি টাকা বরাদ্দ কমছে।

এ ছাড়া উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চলমান নির্মাণাধীন মেট্রোরেল প্রকল্পে বরাদ্দ কমছে ৫৬৭ কোটি টাকা। তবে প্রায় দ্বিগুণ ২ হাজার ৩১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ বাড়ছে পদ্মা সেতুর রেল লিংক প্রকল্পে।

১০টি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার প্রকল্প

এডিপিতে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ১৮ হাজার ৪২৬ কোটি টাকা। এখান থেকে চূড়ান্ত এডিপিতে বরাদ্দ কমে দাঁড়াচ্ছে ১৪ হাজার ৮৩৬ কোটি টাকা। ফলে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে তিন হাজার ৫৯০ কোটি টাকা কমছে। মেট্রোরেল প্রকল্পে এডিপিতে মোট বরাদ্দ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি টাকা। চূড়ান্ত বা আরএডিপিতে বরাদ্দ কমে দাঁড়াচ্ছে ৪ হাজার ২৩৩ কোটি টাকা। ফলে ৫৬৭ কোটি টাকা কমছে।

বরাদ্দ ঠিক থাকছে মাতারবাড়ি আল্ট্রা সুপার ক্রিটিক্যাল কোল ফায়ার্ড পাওয়ার প্রজেক্টে। এই প্রকল্পে সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ৬ হাজার ১৬২ কোটি টাকা। চতুর্থ প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬ হাজার ১৩৮ কোটি টাকা।

এডিপিতে পদ্মা সেতু রেল সংযোগ (১ম সংশোধিত) প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৮২৩ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৬ হাজার ১৩৬ কোটি টাকা। পদ্মা রেল সংযোগের কাজ এগিয়ে নিতে প্রায় দ্বিগুণ ব্যয় বাড়ছে। প্রায় হাজার কোটি টাকা বাড়ছে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর সম্প্রসারণ প্রকল্পে। এই প্রকল্পে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।

সাসেক (সাউথ এশিয়া সাবরিজিওনাল ইকোনমিক কো-অপারেশন) সড়ক সংযোগ প্রকল্প এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্পে বরাদ্দ কমে ২ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা হচ্ছে। বরাদ্দ কমছে বঙ্গবন্ধু রেলওয়ে সেতু নির্মাণ প্রকল্পেও। এডিপিতে এই প্রকল্পে বরাদ্দ ছিল ৩ হাজার ৫৮০ কোটি টাকা। এখান থেকে বরাদ্দ কমে দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ১৭৭ কোটি টাকায়। ফলে বরাদ্দ কমছে ১ হাজার ৪০৩ কোটি টাকা।

ভূমি অধিগ্রহণ ও ইউটিলিটি স্থানান্তর প্রকল্প

সাপোর্ট টু ঢাকা (কাঁচপুর)-সিলেট তামাবিল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ এবং উভয় পাশে পৃথক সার্ভিস লেন নির্মাণ প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়ছে। এডিপিতে মোট বরাদ্দ ছিল ১ হাজার ৬৭৫ কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপিতে বরাদ্দ বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ২ হাজার ১৫০ কোটি টাকা। ফলে ঢাকা-সিলেট ফোর লেনে বরাদ্দ বাড়ছে ৪৭৫ কোটি টাকা।

সর্বোচ্চ বরাদ্দ পাওয়া ১০টি খাত

পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৫৫ হাজার ৮২৭, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ৩৯ হাজার ২১৪, গৃহায়ণ ও কমিউনিটি সুবিধাবলি খাতে ২৩ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষায় ২০ হাজার ৮২৪, স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়নে ১৫ হাজার ৫২০, স্বাস্থ্য খাতে ১৩ হাজার ৭৯৭, পরিবেশ, জলবায়ু পরিবর্তনে ৯ হাজার ৮৪, কৃষিতে ৭ হাজার ২৭৯, শিল্প ও অর্থনৈতিক সেবা খাতে ৪ হাজার ৫৩৭ এবং জনশৃঙ্খলা ও সুরক্ষা খাতে ৩ হাজার ৪৭৮ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হবে।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অর্থ চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) একটা খসড়া আরএডিপি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। ইআরডি ও পরিকল্পনা কমিশন সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।

এদিকে, চলতি অর্থবছর এডিপি থেকে আরএডিপিতে (সংশোধিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি) বড় ধরনের পরিবর্তনের আভাস রয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরের মার্চের প্রথম সপ্তাহে আরএডিপি চূড়ান্ত অনুমোদন পেতে পারে। রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এনইসি সভায় প্রস্তাবিত আরএডিপির অনুমোদন দেওয়া হবে। এ লক্ষ্যে কাজ করছে পরিকল্পনা কমিশন।

মন্ত্রী বলেন, নানা কারণে বৈদেশিক ঋণ কমে সংশোধিত এডিপিতে। বৈদেশিক টাকা খরচে বৈদেশিক সংস্থার নিয়ম নীতি মানতে হয়। এ ছাড়া বৈদেশিক পরামর্শকের মতামত নিতে হয়। প্রকল্প অনুমোদন ও অর্থ ছাড়ের বিষয়ে বিদেশি সংস্থার মতামত নিতে হয়। অনেক সময় উন্নয়ন সহযোগীদের কাছে পৌঁছাতে সময়ক্ষেপণ করতে হয়। কিন্তু দেশীয় অর্থ খরচে দেশীয় নিয়ম নীতি মেনে চলতে হয়। প্রকল্প পরিচালকেরা দেশীয় নিয়ম নীতি বেশি জানেন। কিন্তু উন্নয়ন সহযোগিদের নানা ধরনের নিয়ম নীতি থাকে যা অনেক সময় বুঝতে পারেন না প্রকল্প পরিচালকেরা।
এসব কারণেই মূলত দেশীয় অর্থ খরচ বেশি হলেও সেইভাবে বৈদেশিক অর্থ খরচ করা যায় না।

২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য দুই লাখ ২৫ হাজার ৩২৪ কোটি টাকার বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) অনুমোদন দেওয়া হয়। এডিপিতে সরকার যোগান দিচ্ছে এক লাখ ৩৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। উন্নয়ন সহযোগীদের কাছ থেকে ঋণ হিসেবে আসছে বাকি ৮৮ হাজার ২৪ কোটি টাকা। জিওবি অর্থায়ন ঠিক থাকলেও সংশোধিত এডিপিতে কমছে বৈদেশিক অর্থায়ন।

নতুন এডিপিতে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে পরিবহন ও যোগাযোগ খাতে ৬১ হাজার ৬৩১ কোটি টাকা, যা মোট এডিপির ২৭ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এরপর বিদ্যুৎখাতে গুরুত্ব দিয়ে ৪৫ হাজার ৮৬৭ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ২৩ হাজার ৪২১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে গৃহায়ণ খাতে। নতুন এডিপিতে বরাদ্দ দেওয়ার ক্ষেত্রে চতুর্থ স্থানে শিক্ষা। এ খাতে ২৩ হাজার ৩২৩ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে, যা মোট এডিপির ১০ দশমিক ৪০ শতাংশ।

এ ছাড়া স্থানীয় সরকার বিভাগে ১৪ হাজার ২৭৪, পরিবেশ ও পানি উন্নয়নে ৮ হাজার ৪৭০, কৃষিতে ৭ হাজার ৬৪৬, শিল্পখাতে ৪ হাজার ৬৪৩, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিখাতে ৩ হাজার ২০৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। পাবলিক অর্ডার অ্যান্ড সেফটি খাতে ৩ হাজার ২০৪, সাধারণ সেবা খাতে ২ হাজার ৯২৩, সাংস্কৃতিক খাতে ২ হাজার ১৯০, সামাজিক নিরাপত্তা খাতে এক হাজার ৬৪৮ কোটি এবং ডিফেন্স খাতে ৮৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলমসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা।

জেডএ/এমএমএ/

Header Ad

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে

ছবি: সংগৃহীত

ইসকনের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) রেজাউল করিম মল্লিক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে চট্টগ্রামে পাঠানো হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) হেফাজতে রয়েছেন। সেখানে তার বিরুদ্ধে মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে বর্তমানে সিএমপি কোতয়ালি থানায় রাখা হয়েছে। চট্টগ্রামে তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলা রয়েছে। সেই মামলায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতে তোলা হবে তাকে।

এর আগে, সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ও চট্টগ্রামের পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ চিন্ময় কৃষ্ণ দাশ ব্রহ্মচারীকে রাজধানীর বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

জানা যায়, গত ২৫ অক্টোবর চট্টগ্রামে সমাবেশ করে বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ। চিন্ময় কৃষ্ণ দাস এই মঞ্চেরও মুখপাত্র। ওই সমাবেশের পরপরই চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে চট্টগ্রামে একটি রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা করেন বিএনপি নেতা ফিরোজ খান (পরে বহিষ্কৃত)।

সম্প্রতি বাংলাদেশ সনাতন জাগরণ মঞ্চ ও বাংলাদেশ সম্মিলিত সংখ্যালঘু জোট নামে দুটি সংগঠন ‘বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের’ ব্যানারে কর্মসূচি পালন শুরু করে। নতুন এই জোটের মুখপাত্র করা হয় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।

Header Ad

মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ১৫ দিনের মধ্যে দেশের বাজারে মুরগীর বাচ্চার অতিরিক্ত দাম স্থিতিশীল করে সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারলে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে এক গণ বিবৃতি দেয় পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) এর সভাপতি মো. সুমন হাওলাদার। তিনি বলেন, দেশের বাজারে মুরগির বাচ্চার অতিরিক্ত দাম রেখে ক্রেতার পকেট থেকে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) সকালে বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএ) পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা বলা হয়েছে।

সংগঠনের সভাপতি মো. সুমন হাওলাদারের সই করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষায় সরকারের জরুরি হস্তক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছি। যদি আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সিন্ডিকেট ভাঙতে এবং প্রান্তিক খামারিদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কার্যকর পদক্ষেপ না নেয় তাহলে ঠাকুরগাঁও জেলার সব প্রান্তিক খামার বন্ধ করার কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় সরকার। তখন একটি মুরগির বাচ্চার দাম ছিল ৩০-৩৫ টাকা। অথচ পরবর্তী সময়ে মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কর্পোরেট কোম্পানিগুলো মুরগির বাচ্চার সংকট তৈরি করে ১৬ সেপ্টেম্বর থেকে আজ পর্যন্ত ৬০-১১০ টাকায় বিক্রি করছে।

তিনি দাবি মতে, প্রতিদিন সব জাতের মুরগির বাচ্চা ৩০ লাখ উৎপাদন করা হয়। যদি একটি মুরগির বাচ্চায় গড়ে ৩০ টাকা করে বেশি নেওয়া হয় তাহলে প্রতিদিন ৯ কোটি টাকা প্রান্তিক খামারিদের কাছ থেকে অতিরিক্ত মুনাফা করছে কোম্পানিগুলো। বাংলাদেশের পোল্ট্রি খাত বর্তমানে একটি গভীর সংকটের মধ্যে রয়েছে। দেশের শীর্ষ মুরগির বাচ্চা উৎপাদনকারী কোম্পানিসহ (কাজী ফার্মস, নাহার অ্যাগ্রো, প্যারাগন গ্রুপ, নারিশ পোলট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি, সিপি বাংলাদেশ) আরও ১০-১২টি কর্পোরেট কোম্পানি সিন্ডিকেট করে পোল্ট্রি সেক্টরে
একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করেছে। এ সিন্ডিকেটের হাত থেকে প্রান্তিক খামারিদের রক্ষা করে বন্ধ খামারগুলোকে উৎপাদনে ফিরিয়ে আনতে হবে।

সুমন হাওলাদার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে ফিড ও মুরগির বাচ্চার দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে। যা প্রান্তিক খামারিদের উৎপাদন খরচ ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে দিচ্ছে। উৎপাদন খরচের তুলনায় ডিম ও মুরগির বিক্রয় মূল্য অত্যন্ত কম থাকায় প্রান্তিক খামারিরা তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পাচ্ছেন না। এ সংকটের কারণে বহু প্রান্তিক খামারি তাদের ব্যবসা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছেন। যা দেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি।

এ অবস্থায় দেশের পোল্ট্রি শিল্প রক্ষায় বাংলাদেশ পোল্ট্রি অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবিও জানানো হয়েছে। সেগুলো হচ্ছে–

১. ফিড এবং মুরগির বাচ্চার বাজারে সিন্ডিকেট বন্ধ করে প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

২. কর্পোরেট কোম্পানির বাণিজ্যিক ডিম এবং মুরগি উৎপাদন বন্ধ করতে হবে।

৩. প্রান্তিক খামারিদের জন্য সহজ শর্তে জামানতবিহীন ঋণ সুবিধা এবং বিশেষ প্রণোদনা চালু করতে হবে।

৪. সরকারকে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং করতে হবে। যাতে ডিম, মুরগি এবং পোল্ট্রি উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকে।

৫. ফিডের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে পোল্ট্রি ফিড উৎপাদনে আরও প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

Header Ad

দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর

ছবি: সংগৃহীত

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমিয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা নির্ধারণ করেছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)।

নতুন এই দাম আজ (২৬ নভেম্বর) থেকেই কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন বাজুস। গতকাল (২৫ নভেম্বর) সোমবার রাতে সংগঠনটি এ তথ্য নিশ্চিত করে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি (১১.৬৬৪ গ্রাম) ২২ ক্যারেটের সোনার দাম পড়বে ১ লাখ ৪০ হাজার ৩৭৬ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৯৬ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৫৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৯৪ হাজার ৩২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, সোনার বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গহনার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

এর আগে, সবশেষ গত ২৩ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় ভরিতে ২ হাজার ৮২৩ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৪২ হাজার ২৬৬ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি। ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৫ হাজার ৮০৪ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৬ হাজার ৩৯৫ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৫ হাজার ৬৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২৪ নভেম্বর থেকে। আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এছড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল।

আর চলতি মাসের গত ২২ ও ১৯ নভেম্বরও দেশে বাড়ানো হয়েছিল স্বর্ণের দাম। এ ছাড়া গত ১৪, ১২, ৭ ও ৪ নভেম্বর দাম কমানো হয়েছিল। এছাড়া, চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫৩ বার সোনার দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩১ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২২ বার। আর ২০২৩ সালে দাম সমন্বয় করা হয়েছিল ২৯ বার।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সিএমপি হেফাজতে ইসকনের চিন্ময় কৃষ্ণ, তোলা হবে আদালতে
মুরগির বাচ্চায় সিন্ডিকেট, দৈনিক হাতিয়ে নিচ্ছে ৯ কোটি টাকা
দেশের বাজারে স্বর্ণের নতুন দাম আজ থেকে কার্যকর
খালেদা জিয়াকে উমরাহ পালনের আমন্ত্রণ সৌদির
লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত, চার সমুদ্র বন্দরে সতর্কতা জারি
ইসকন নেতা চিন্ময়ের মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ সীমান্তে অবরোধের হুমকি পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির
বিশ্ববাজারে ৩ শতাংশেরও বেশি কমলো স্বর্ণের দাম
সব ছাত্রসংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা
গাজায় একদিনে ২৪ জন নিহত
৯ বছর পর খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌদি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ইসকন নেতা চিন্ময়কে গ্রেপ্তার নিয়ে যা বললেন প্রেস সচিব
বেনাপোলে টানা ৪ দিন বন্ধ রয়েছে দূরপাল্লার সকল পরিবহন
৮ হাজার শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে পুলিশের মামলা
ঋণ দেওয়ার নামে শাহবাগে লোক জড়ো করা মোস্তফা আমীন আটক
সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের অনুমতি
আইপিএলে দল পেলেন না মুস্তাফিজুর রহমান
টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার গ্রেফতার
চলতি মৌসুমে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা আজ নওগাঁয়
নির্লজ্জ দলাদলির পরিণতি দেশবাসী দেখেছে: তারেক রহমান
মোল্লা কলেজের সার্টিফিকেট-ল্যাপটপ লুট, ক্ষতি ৭০ কোটি টাকা: অধ্যক্ষ