মধ্যপ্রাচ্য-আফ্রিকা-ইউরোপের রপ্তানিবাজার ধরতে হচ্ছে বিজনেস কাউন্সিল
মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার ব্যবসায়িক যোগাযোগের কেন্দ্রস্থল দুবাইও ইউরোপের সঙ্গে বন্দর ও বিপণন যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। তাই দুবাইতে ইউএই ও বাংলাদেশ যৌথ বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছে এফবিসিসিআই।
আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুবাই সফরকালীন এই কাউন্সিলের উদ্বোধন করা হবে। কাউন্সিলের কো-চেয়ারম্যান হিসেবে যৌথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন এফবিসিসিআই ও ফেডারেশন অব ইউএই চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির দুই সভাপতি। শনিবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) এ সংক্রান্ত এক প্রস্তুতিমূলক সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ‘ফেডারেশন অব ইউএই চেম্বার্স অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে এফবিসিসিআই’র বিজনেস কাউন্সিল প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার রপ্তানিবাজার ধরা সহজ হবে। ইউরোপের সঙ্গেও ব্যবসায়িক যোগাযোগ বাড়বে। এফবিসিসিআই’র এই উদ্যোগ এলডিসি পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের জন্য নতুন বাজার উন্মোচনের সুযোগ তৈরি করবে।’
অনুষ্ঠানে বিনিয়োগের জন্য ৫টি খাতকে অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করেন ফরেন ইনভেস্টরস চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ফিকির সভাপতি নাসের ইজাজ বিজয়। খাতগুলো হলো কৃষি ও হালাল খাদ্যপণ্য, হালকা প্রকৌশলী বিশেষ করে গাড়ির যন্ত্রাংশ, ব্যাংক ও বিমা, পেট্রোকেমিক্যাল ও বন্দর ব্যবস্থাপনা।
বৈঠকে সিপিডির গবেষণা পরিচালক ও এফবিসিসিআই’র প্যানেল উপদেষ্টা ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, ‘বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য বৈশ্বিক অংশীদার খুঁজছে। তারই অংশ হিসেবে সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই করেছে দেশটি। বাংলাদেশেরও ইউএই’র সঙ্গে এফটিএ করা উচিত।’
এফবিসিসিআই’র আরেক প্যানেল উপদেষ্টা ও বিআইডিএস’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. কাজী ইকবাল বলেন, ‘বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উন্নয়নে যৌথ বিজনেস কাউন্সিলকে কাজে লাগাতে হবে। গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের পটভূমি পরিবর্তন হয়েছে। শুধু তৈরি পোশাক ও প্রবাসী আয়ের ওপর এখন আর বাংলাদেশের উন্নয়ন নির্ভরশীল নয়। এদেশে ইলেকট্রনিকস, প্লাস্টিকসহ অসংখ্য খাতে বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে।’
জেডএ/এসআইএইচ