বৃহস্পতিবার, ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ | ৬ ফাল্গুন ১৪৩১
Dhaka Prokash

‘আমি ব্যবসায়ী সন্দেহ নেই, কিন্তু এ ধরনের ব্যবসা আমি করি না’

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘দেখেন আমি তো ব্যবসায়ী। তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আমার চরিত্র , আমার পরিচয় তো বদলানো যাবে না। কিন্তু এ ধরনের ব্যবসা আমি করি না।’

তিনি আরও বলেন, ‘যা করি তা সরকারের সঙ্গে...আমি অ্যাবসুলেটলি গার্মেন্টস পণ্য এক্সপোর্ট করি। দ্যাট’স মাই বিজনেস। তবে এটুক যখন দেখছেন সঙ্গে এটাও বলেন যে ৫১ মিলিয়ন ডলারের টার্গেট ফিক্সআপ করছি, সেটা অর্জন করতে যাচ্ছি। সে সফলতার কথাও বলেন। শুধুমাত্র এইটা বলবেন, ওইটা বলবেন না এটা কিন্তু ঠিক হবে না।’

রবিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে বের হয়ে যাওয়ার সময় বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে ঢাকাপ্রকাশের প্রশ্ন ছিল সাধারণ মানুষ বলছেন বাণিজ্যমন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী। এ কারণে তিনি সব সময় ব্যবসায়ীদের স্বার্থ দেখছেন, তিনি জনমানুষের স্বার্থ দেখছেন না। জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

ভোজ্য তেলের মূল্য বৃদ্ধি সম্পর্কে জানতে চাইলে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তেলের ব্যাপারটা আপনারা সবাই জানেন যে, আন্তর্জাতিক বাজারে যেটা ছিল আজ থেকে এক বছর আগে এখন সেটা ডাবলেরও বেশি। এখন যদি আমরা না বাড়াই বা বাড়তে পারবে না বলি তাহলে তারা (ব্যবসায়ীরা) ইমপোর্ট করবে না। আর ইমপোর্ট যদি না করে তাহলে আরও বড় ক্রাইসিস হয়ে যাবে। এখন সত্যি কথা যে মানুষের তো কষ্ট হচ্ছে। আন্তর্জাতিক বাজারে তো সেটা বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের তো কোনো পথ নেই।’

আপনি বললেন দাম না বাড়ালে ব্যবসায়ীরা যদি ইমপোর্ট বন্ধ করে দেয় তাহলে কী হবে? প্রশ্ন হচ্ছে তাহলে ব্যবসায়ীরা কি সরকার থেকে শক্তিশালী?

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কখনো না। সরকার থেকে শক্তিশালী হবে কেন। সরকার তো ব্যবসা করে না। ব্যবসায়ীরাই ব্যবসা করবেন। আমরা দেখব যেটা সেটা হচ্ছে তাদের প্রাইস যথার্থ কি না। সেটা আমরা চেষ্টা করি। তারপরও যে কোথাও না কোথাও ব্যত্যয় হচ্ছেনা তা কিন্ত নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দায়িত্ব, ভোক্তা অধিকারসহ সরকারি সংস্থা দিয়ে সেটা কন্ট্রোল করা। আর সরকার নিজে এসে বাজারে বিক্রি করবে তাতো সম্ভব নয়। তারপরও সরকার টিসিবির মাধ্যমে দিচ্ছে। সেটা কিন্তু সরকার ইমপোর্ট করছে। ভুর্তুকি দিয়ে দিচ্ছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না, ব্যবসায়ীরা ব্যবসা করবে। আমাদের দেখা দরকার সে ন্যায্য ব্যবসা করছে কি না। ব্যবসায়ীরা দেখে যদি সে এনে লোকসান করবে তাহলে তো তাকে দিয়ে আমরা ব্যবসা করাতে পারব না। তারা তাদের লাভ নেবে। সেটা রিজনেবল কি না, আমাদের দেখার বিষয়। অসাহায়ত্বের কোনো ব্যাপার নয়।’

ভোজ্য তেলের দাম নির্ধারণের পর দিনই নতুন দামের ট্যাগ লাগানো তেল বাজারে গেল, সেটা কীভাবে গেল?

এমন প্রশ্নর জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দেখেন একটা বিষয় বলি। এই ব্যবসায়ীরা আরও ১৫ দিন আগে তেলের দাম বাড়ানোর জন্য আমাদেরকে চাপ দিচ্ছিল। আমরা কিন্তু বাড়াইনি। আমি বলছি বাড়াব না। কিন্তু তারা এই দাম মাথায় রেখে নিজেরা সেই দাম বাড়িয়ে দিয়েছিল। কিন্তু আমরা বলেছি যত লেভেলই লাগান না কেন, দাম ফিক্সড করার আগে এই দামে বিক্রি করতে পারবেন না। এঁরা ১৫ দিন আগে দাম বাড়িয়ে রেখে দিয়েছিল।’

টিপু মুনশি বলেন, ‘আমরা যেটা পারি, পারছি বা চেষ্টা করছি সেটা হল সরকারের তরফ থেকে সাবসিডাইস (ভুর্তুকি) দিয়ে সাধারণ মানুষেকে পণ্য দেওয়া হচ্ছে। আমরা চিন্তা করেছিলাম যে, চারশ ট্রাকে টিসিবির মাধ্যমে সারাদেশে নিত্যপণ্য দিচ্ছি সেটা দরকার হলে ৮০০ ট্রাক করে দেব।

এরপর আমরা চিন্তা করলাম রমজান মাস সামনে রেখে ৫০ লাখ মানুষকে দেওযা যায় কি না। সেটা অবশ্য ট্রাকের মাধ্যমে নয়। আমাদের তৃণমূলে যে সরকার আগে যাদের আড়াই হাজার করে টাকা দিয়েছিল তাদের কাছে পৌঁছে দেব। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ৫০ লাখ নয়, এক কোটি মানুষকে সেটা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হোক। সরকারিভাবে আমরা চেষ্টা করছি রমজান মাসকে সামনে রেখে সেই এক কোটি মানুষকে নিত্য পণ্য দেব সাশ্রয়ী মূল্যে।

এক কোটি মানুষের কাছে কিভাবে সেটা পৌঁছে দেওয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেকানিজমটা হচ্ছে আগের সিস্টেমটা তো আছে। আগে যেভাবে আমরা টাকা পাঠিয়েছি সেই লিস্টটা তো আছে। প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রতিটা ইউনিয়নে টিসিবির মাধ্যমে পণ্য পাঠানো হবে। সেখান থেকে তারা কালেক্ট করে নিবে।

বর্তমানে যে চারটি পণ্য দেওয়া হচ্ছে তার সঙ্গে আরও দুটি পণ্য যোগ হবে। এগুলো হচ্ছে-তেল, ডাল, চিনি, পেঁয়াজ। এরসঙ্গে যুক্ত হবে খেজুর ও ছোলা।

কি পরিমান পণ্য দেবেন-এমন প্রশ্নের জবাব বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এখন যেভাবে দেওযা হচ্ছে সেই পরিমানই দেওয়া হবে। তবে ১৫ দিন পর পর মাসে দুই বার দেওয়া হবে।

পেঁয়াজের দাম একদিনে কেন ২৫ টাকা বাড়ল কেন এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যদি উল্টো প্রশ্নটা করি পেঁয়াজের দাম ২৫ টাকা হয়ে গেল কেন?’

কৃষকরা বলছে, তারা কিন্তু পেঁয়াজ রাস্তায় ফেলে দেবে। ‘এটা সাপ্লাই এর ব্যাপার... এটা কাঁচামাল তো বুঝতে হবে ট্রান্সপোর্ট কোনো কারণে বন্ধ থাকে, দুইদিন যদি মাল না আসতে পারে কাঁচামালের দাম কিন্তু বেড়ে যাবে।’

‘আমাদের একটা কষ্ট কৃষি মন্ত্রণালয় দিয়েছে যে, প্রতি কেজিতে ১৮ থেকে ২০ টাকা কৃষকদের খরচ জায়গা ভেদে। অন্তত ২৫ টাকা দরে তাদেরকে বিক্রি করতে হবে। ২৫ টাকা দরে যদি কৃষকরা কুষ্টিয়া, রাজবাড়ি বা ফরিদপুরে বিক্রি করে তাহলে হাত ঘুরে সেটা ঢাকায় এসে ৪০ টাকা হবে। এখন সেটা কমে গিয়ে যখন ঢাকাতে ২৫ টাকা হয়েছিল তখন কৃষিমন্ত্রী আমাকে বললেন, আমরা সমস্ত ইমপোর্ট বন্ধ করে দেব, কৃষকরা তো কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। এইটা হচ্ছে গিয়ে আমাদের সমস্যা।

তিনি বলেন, ‘যখন কমে যায় তখন কৃষকরা বলে আমাদের কী হবে? আবার যখন বেড়ে যায় তখন ভোক্তারা বলে আমাদের দাম বেড়ে গেছে। তবে হঠাৎ করে যে অন্যায্য দাম বেড়ে যায় সেটা ঠিক নয়।’

এনএইচবি/এমএমএ/

 

Header Ad
Header Ad

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে

অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হক ও মাউশির লোগো। ছবি: সংগৃহীত

শিক্ষক নেতাদের আন্দোলন ও গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) মহাপরিচালক (ডিজি) পদ থেকে অধ্যাপক ড. এহতেসাম উল হককে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তিনি শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম বিসিএসের কর্মকর্তা এবং পটুয়াখালী সরকারি কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।

বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। সম্প্রতি তার বিতর্কিত কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ প্রকাশের পর তাকে ওএসডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) করে মাউশিতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এদিকে, নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানকে চলতি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. মাহবুব আলম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, অধ্যাপক মুহাম্মদ আজাদ খানের এই দায়িত্ব কেবল সাময়িক, যা পদোন্নতি হিসেবে গণ্য হবে না। পরবর্তীতে নিয়মিত নিয়োগের মাধ্যমে মহাপরিচালক নিয়োগ হলে এই চলতি দায়িত্ব বাতিল হয়ে যাবে।

অধ্যাপক এহতেসাম উল হকের বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। এর আগে তিনি বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন শিক্ষার্থীদের ওপর নিপীড়ন চালানোর অভিযোগে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন। অভিযোগ রয়েছে, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের তথ্য তিনি পুলিশের কাছে সরবরাহ করেছিলেন।

২০২৩ সালের ৫ আগস্ট তার অপসারণের দাবিতে কলেজের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করে। দুর্নীতি, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসদাচরণের অভিযোগ তুলে তার অপসারণের দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ২০২১ সালের জুন মাসে বরিশাল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজে যোগদানের পর থেকে তিনি নানা অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতা চালিয়ে যান। তিনি বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের তৎকালীন মেয়র এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আত্মীয় সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহর ঘনিষ্ঠ ছিলেন।

অভিযোগ রয়েছে, অধ্যক্ষ থাকাকালীন তিনি শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করতেন এবং আন্দোলনে অসহযোগিতা করতেন। এমনকি কলেজের গাড়ি ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করতেন, যা তার শ্বশুরবাড়ির লোকজনও ব্যবহার করতেন। তিনি কলেজের বিদ্যুৎ ব্যবহার করে নিজের বাসায় গ্রিল নির্মাণসহ অন্যান্য কাজ করিয়েছেন। কেউ প্রতিবাদ করলে চাকরি খেয়ে ফেলার হুমকি দিতেন এবং বার্ষিক গোপনীয় প্রতিবেদন (এসিআর) খারাপ করে দেওয়ার ভয় দেখাতেন। এছাড়া, চুক্তিভিত্তিক শিক্ষক ও কর্মচারীদের বেতন না দিয়ে বিদায় করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ডিজি পদ থেকে এহতেসাম উল হককে অপসারণের খবরে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তাদের মতে, একজন বিতর্কিত ব্যক্তি শিক্ষাখাতের এত বড় দায়িত্বে থাকতে পারেন না। তার অপসারণের মাধ্যমে প্রশাসনের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার প্রতি সরকারের সদিচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।

Header Ad
Header Ad

২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি

ছবি: সংগৃহীত

২০১৮ সালের বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ জন জেলা প্রশাসককে (ডিসি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছে। বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত ছয়টি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বিতর্কিত নির্বাচনে জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনের কারণে এই কর্মকর্তাদের ওএসডি করা হয়েছে। এর আগে একই কারণে আরও ১২ জন কর্মকর্তাকে ওএসডি করা হয়েছিল।

ওএসডি হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশনের পরিচালক (যুগ্মসচিব) কবীর মাহমুদ, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. মাহমুদুল আলম, কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের আঞ্চলিক পরিচালক (যুগ্মসচিব) মো. আবুল ফজল মীর, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের সদস্য-পরিচালক (যুগ্মসচিব) মঈনউল ইসলাম, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সদস্য (যুগ্মসচিব) মো. ওয়াহিদুজ্জামান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) এ কে এম মামুনুর রশিদ এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বাপবিবো) সদস্য (যুগ্মসচিব) ড. কে এম কামরুজ্জামান সেলিম।

এছাড়া তালিকায় রয়েছেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব কাজী আবু তাহের, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) সদস্য (যুগ্মসচিব) মোহাম্মদ আব্দুল আহাদ, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের যুগ্মসচিব (সংযুক্ত) আনার কলি মাহবুব, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের সদস্য (যুগ্মসচিব) সৈয়দা ফারহানা কাউনাইন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. মতিউল ইসলাম চৌধুরী, কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব সাবিনা ইয়াসমিন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আতাউল গনি এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব (সংযুক্ত) আবু আলী মো. সাজ্জাদ হোসেন।

এছাড়া, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এ জেড এম নুরুল হক, বাংলাদেশ রাবার বোর্ডের পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) এস এম আজিয়র রহমান, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সচিব (যুগ্ম-সচিব) মো. মাসুদ আলম সিদ্দিক এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব গোপাল চন্দ্র দাশসহ আরও বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা রয়েছেন।

প্রসঙ্গত, বিতর্কিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই ওই সময়ের রিটার্নিং কর্মকর্তাদের ভূমিকা নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়। এবার সেই নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা কর্মকর্তাদের পর্যায়ক্রমে ওএসডি করা হচ্ছে বলে মনে করছেন প্রশাসনিক বিশ্লেষকরা।

Header Ad
Header Ad

ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য ইউক্রেনকেই দায়ী করে নতুন বিতর্ক উসকে দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন রাজনীতিতে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে পরিচিত ট্রাম্প এবার ইউক্রেনের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছেন। তিনি দাবি করেছেন, চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল।

মঙ্গলবার (স্থানীয় সময়) ফ্লোরিডার মার-আ-লাগোতে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় ট্রাম্প ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির প্রতি কঠোর মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ইউক্রেনে একটি নতুন নির্বাচন হওয়া উচিত। বিশ্লেষকদের মতে, এটি জেলেনস্কিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার পরিকল্পনারই ইঙ্গিত।

ট্রাম্প আরও বলেন, ইউক্রেনে দীর্ঘদিন ধরে কোনো নির্বাচন হয়নি এবং সেখানে সামরিক আইন চলছে। তার দাবি, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা মাত্র চার শতাংশে নেমে গেছে, আর দেশটি ধ্বংসের পথে। যদিও যুদ্ধকালীন সময়ে নির্ভরযোগ্য জনমত জরিপ পাওয়া কঠিন, তবে বিভিন্ন প্রতিবেদনে দেখা গেছে, জেলেনস্কির জনপ্রিয়তা ট্রাম্পের দাবির মতো এতটা কমেনি।

এছাড়া, ইউক্রেনের নির্বাচন প্রসঙ্গে ট্রাম্প বলেন, "তারা কি জনগণের মতামত নিয়েছে? তারা আলোচনার টেবিলে বসতে চায়, কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে সেখানে কোনো নির্বাচন হয়নি।"

প্রসঙ্গত, ইউক্রেনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির সংবিধান অনুযায়ী, যুদ্ধকালীন সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন সম্ভব নয়। বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের এই মন্তব্য কৌতুকপূর্ণ, কারণ তিনি নিজেই ২০২০ সালের মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন।

ট্রাম্প আরও দাবি করেন, ইউক্রেন চাইলে যুদ্ধ বন্ধ করতে পারতো এবং তাদের উচিত ছিল রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতায় যাওয়া। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এর অর্থ হলো—ইউক্রেনকে হয় রাশিয়ার মিত্র সরকার গঠনের প্রস্তাবে রাজি হতে হতো, নয়তো প্রতিরোধ ছেড়ে দিয়ে আত্মসমর্পণ করতে হতো।

বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক অবস্থান ইঙ্গিত দেয় যে, তিনি পুনরায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে ইউক্রেনকে সমর্থন না দিয়ে বরং রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি বিতর্কিত শান্তিচুক্তির দিকে এগোতে পারেন, যা পুতিনের জন্য বড় ধরনের কূটনৈতিক জয় হিসেবে বিবেচিত হবে।

সূত্র: সিএনএন

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

অবশেষে সরিয়ে দেওয়া হলো মাউশির বিতর্কিত ডিজিকে
২০১৮ সালের নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা ৩৩ ডিসি ওএসডি
ট্রাম্পের বিস্ফোরক দাবি: চলমান যুদ্ধের সূচনা ইউক্রেনই করেছিল
ডিবির সাবেক প্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি, ৫ ভবন ও ২ ফ্ল্যাট ক্রোকের নির্দেশ
দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন রেখা গুপ্তা, বিজেপির সিদ্ধান্তে চমক
একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতির শহীদ মিনারে না যাওয়ার আহ্বান
নামাজি জীবনসঙ্গী খুঁজছেন আইশা খান
গাইবান্ধায় গাঁজাসহ আটক এএসআইকে কারাগারে প্রেরণ
উপদেষ্টাদের মিটিংয়ে কোন প্রটোকলে গিয়েছিলেন হাসনাত-পাটোয়ারী: ছাত্রদল সেক্রেটারি
সরকারে থেকে ‘নতুন দল’ গঠন করলে মেনে নেওয়া হবে না: মির্জা ফখরুল
হোস্টিং সামিট ২০২৫ অনুষ্ঠিত
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের বড় লক্ষ্য দিলো নিউজিল্যান্ড
বৈষম্যবিরোধী নামধারী শীর্ষ নেতার নির্দেশে কুয়েটে ছাত্রদলের ওপর হামলা: রাকিব
যান্ত্রিক ত্রুটিতে আবারও বন্ধ বড়পুকুরিয়া তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র
কুবিতে ছাত্র সংসদের দাবিতে মানববন্ধন ও সন্ত্রাসবিরোধী বিক্ষোভ মিছিল
২২০ জনকে নিয়োগ দেবে সমরাস্ত্র কারখানা, এসএসসি পাসেও আবেদন
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ২ দিনব্যাপি খামারি প্রশিক্ষণ
সবার সাত দিন কারাগারে থাকা উচিত: আদালতে পলক
বিপ্লবী সরকারের ডাক থেকে সরে এলেন কাফি  
নাঈম ভাই হেনা কোথায়?: ‘তুই অনেক দেরি করে ফেলেছিস বাপ্পা’