বন্ধ হয়ে যাবে প্রণোদনা : বাণিজ্য সচিব

যত বেশি কোম্পানির প্রসার ঘটবে তত বেশি অর্থনীতির প্রসার ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
তিনি বলেন, ‘ব্যবসায়ীদের টিকিয়ে রাখতে প্রণোদনা দেওয়া হয়, যা জনগণের টাকা। তাই প্রণোদনায় উৎসাহিত করা ভালো নয়। এলডিসি গ্রাজুয়েশন (স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল) দেশ হওয়ার পর প্রণোদনা একেবারে বন্ধ হয়ে যাবে।’
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইআরএফের কার্যালয়ে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন।
অর্থনীতি বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম (ইআরএফ) ও এমআরডিআই ‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম অব কোম্পানি রিপোর্টটিং জার্নালিস্ট’ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
ইআরএফ সভাপতি শারমীন রিনভীর সভাপতিত্বে কর্মশালাটি পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এস এম রাশিদুল ইসলাম।
সচিব বলেন, ‘সবাই লাভ করার জন্য ব্যবসা করেন। এটা খারাপ কিছু না। তবে ব্যবসা করা সহজ নয়। ব্যবসায়ীদের বিভিন্ন ঝামেলা মোকাবিলা করতে হয়। এ দেশের বেসরকারি খাত ৮০ শতাংশ সম্পদ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা বড় কোম্পানি ও অনেক শক্তিশালী।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিত্য পণ্যের দাম কম হলে ভালো হবে। কিন্তু কীভাবে ভালো হবে তা কেউ বলতে পারে না। পণ্যের দাম নির্ধারণ করা সরকারের কাজ না। বাজারে পণ্যের চাহিদা ও সরবরাহের মাধ্যমে দাম নির্ধারণ হয়ে থাকে। তবে ১৭টি নিত্য পণ্যের দাম সরকার নির্ধারণ করে দেয়। সরকারের পক্ষে দৈনন্দিন ব্যবসা করা সম্ভব নয়। সরকার সব দায়িত্ব নিলে ঝামেলা হবে।’
কোম্পানি আইন সম্পর্কে বাণিজ্য সচিব বলেন, ‘কোম্পানি আইন খুবই জটিল বিষয়। এতে সবাই এক হতে পারে না। তাই অনেক পরে হলেও আংশিক সংশোধন হয়েছে। বাকি কাজের জন্য সংসদে যাওয়া হবে।’
মেট্রোপলিটন চেম্বারের সাবেক সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির বলেন, ‘কোম্পানি আইনের কিছু ব্যাপারে পরিবর্তনের দরকার আছে। কারণ বড় বড় কোম্পানির ক্ষমতা রাষ্ট্রের ক্ষমতার চেয়ে বেশি।’
প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমআরডিআইর নির্বাহী পরিচালক হাসিবুর রহমান, ব্যারিস্টার নিহাদ কবির ও সিএফএ সোসাইটি বাংলাদেশ এর সাবেক প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম।
জেডএ/এমএমএ/
