রবিবার, ১২ জানুয়ারি ২০২৫ | ২৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

অবৈধভাবে থাকা বিদেশিদের তালিকায় ভারতীয়দের আধিপত্য, বছরে পাচার বিপুল অর্থ

ছবি : ঢাকাপ্রকাশ

বাংলাদেশে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের উপস্থিতি এবং তাদের মাধ্যমে অর্থপাচার একটি দীর্ঘদিনের সমস্যা। বিভিন্ন পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, দেশে বর্তমানে কমপক্ষে আড়াই লাখ অবৈধ বিদেশি কর্মরত রয়েছে, যারা প্রতি বছর প্রায় ৩.১৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ২৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পাচার করেন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভারতীয় নাগরিক, যারা বছরে ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার পাচার করে থাকেন।

পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও সুরক্ষা সেবা বিভাগের ২০২৩ সালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বৈধভাবে অবস্থানরত বিদেশি নাগরিকের সংখ্যা এক লাখ সাত হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে ৩৭ হাজার ৪৬৪ জন ভারতীয়। দ্বিতীয় অবস্থানে চীনের নাগরিক, যাদের সংখ্যা ১১ হাজার ৪০৪। তবে অবৈধ বিদেশিদের প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) ২০২০ সালে এক জরিপে জানিয়েছিল, বৈধ ও অবৈধ মিলিয়ে দেশে কমপক্ষে আড়াই লাখ বিদেশি কর্মরত। এদের বেশিরভাগই ভারত, চীন, শ্রীলঙ্কা, পাকিস্তান, জাপান, মালয়েশিয়া, এবং দক্ষিণ কোরিয়া থেকে এসেছেন। তাদের বেশিরভাগই তৈরি পোশাক, চামড়া শিল্প, বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, হাসপাতাল এবং হোটেল খাতে কাজ করেন।

অধিকাংশ অবৈধ বিদেশি ট্যুরিস্ট ভিসায় বাংলাদেশে এসে বিভিন্ন খাতে কাজ শুরু করেন। তারা ওয়ার্ক পারমিট ছাড়াই কাজ করে আয়কর ফাঁকি দেয় এবং হুন্ডির মাধ্যমে নিজ দেশে অর্থ পাঠায়। ২০২৩ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত বিদেশি কর্মীরা ১৩০.৫৮ মিলিয়ন মার্কিন ডলার তাদের দেশে পাঠিয়েছেন। এর মধ্যে ভারত ৫০.৬০ মিলিয়ন ডলার, চীন ১৪.৫৬ মিলিয়ন ডলার এবং শ্রীলঙ্কা ১২.৭১ মিলিয়ন ডলার পাঠিয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্প্রতি একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে অবৈধ বিদেশিদের বৈধ কাগজপত্র সংগ্রহের জন্য সতর্ক করেছে। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, “বাংলাদেশে কোনো অবৈধ বিদেশিকে থাকতে দেওয়া হবে না।”

তবে অবৈধ বিদেশি কর্মীদের সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য নেই। অনেকে মনে করেন, অবৈধ বিদেশিদের সংখ্যা ১০ লাখেরও বেশি হতে পারে। এর মধ্যে ৮০ শতাংশই ভারতীয়। অবৈধ বিদেশিদের চিহ্নিত করতে এবং তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হাইকোর্টেও একটি রিট করা হয়েছে।

বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে দক্ষ জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে। ফলে বিদেশি কর্মীদের ওপর নির্ভরশীলতা বাড়ছে। পোশাক শিল্প, চামড়া শিল্প, এবং আইটি খাতের মতো ক্ষেত্রে বিশেষায়িত দক্ষতা প্রয়োজন, যা স্থানীয় জনশক্তির অভাবে বিদেশিদের মাধ্যমে পূরণ করা হচ্ছে।

অর্থনীতিবিদ ড. মাশরুর রিয়াজ বলেছেন, “আমাদের দেশে দক্ষ জনশক্তি তৈরি না হওয়ায় বিদেশিদের আনতে হচ্ছে। তবে তারা ট্যুরিস্ট ভিসায় এসে বছরের পর বছর থেকে আয়কর ফাঁকি দেয় এবং অর্থপাচার করে। এতে দেশ বড় ধরনের অর্থনৈতিক ক্ষতির মুখে পড়ছে।”

বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, অবৈধ বিদেশি কর্মীদের চিহ্নিত করে তাদের বৈধতার আওতায় আনতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় জনশক্তিকে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। ওয়ার্ক পারমিট ছাড়া কোনো বিদেশি যাতে কাজ করতে না পারে, সেদিকে কঠোর নজরদারি প্রয়োজন।

অর্থনীতিবিদরা আরও বলছেন, “বিদেশি কর্মীদের কাজের নিয়মাবলী কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। পাশাপাশি, স্থানীয় জনশক্তি উন্নয়নে বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এর মাধ্যমে বিদেশি নির্ভরতা কমিয়ে দেশের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সম্ভব।” সূত্র: ডয়চে ভেলে, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

Header Ad
Header Ad

ইংল্যান্ডে দুপুরের খাবারসহ বিনা টিকিটে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখেছেন টিউলিপ: টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক। ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাজ্যের মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিক এবং আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী নাবিল আহমেদ হুট করেই ক্রিকেট সম্পর্কিত একটি বিতর্কে জড়িয়েছেন।

২০১৯ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের ওভাল এবং লর্ডস স্টেডিয়ামে দুটি ম্যাচ বিনা টিকিটে দেখার অভিযোগ উঠেছে টিউলিপ এবং তার পরিবারের বিরুদ্ধে। ম্যাচগুলো ছিল বাংলাদেশ বনাম নিউজিল্যান্ড এবং বাংলাদেশ বনাম পাকিস্তান।

যুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানায়, টিউলিপ এবং তার ভাই-বোনেরা ম্যাচগুলোতে সৌজন্য টিকিটে উপস্থিত ছিলেন। টিকিটগুলোতে দুপুরের খাবারের ব্যবস্থাও ছিল। প্রতিটি টিকিটের মূল্য ছিল ৩৫৮.৮০ পাউন্ড (বাংলাদেশি প্রায় ৫৪ হাজার টাকা)।

ম্যাচ দুটিতে টিউলিপের সঙ্গী ছিলেন কাজী নাবিল আহমেদ, যিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংসদের সাবেক সদস্য এবং বাফুফের সাবেক সহ-সভাপতি।

বাংলাদেশে উপহার বা সৌজন্য টিকিট গ্রহণ নিয়ে নির্দিষ্ট কোনো আইন নেই। তবে, যুক্তরাজ্যের আইন অনুসারে, সরকারি পদে থেকে বিনা মূল্যে এমন সুবিধা গ্রহণ করলে তা নৈতিক ও সামাজিকভাবে প্রশ্নবিদ্ধ।

এই ঘটনার পর টিউলিপের বিরুদ্ধে ব্রিটিশ আইনের নীতিমালা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে, যা তার রাজনৈতিক অবস্থানের প্রতি আস্থাহীনতা তৈরি করতে পারে।

Header Ad
Header Ad

প্রতিযোগী থেকে বিয়ের পিড়িতে পড়শী-নিলয়

প্রতিযোগী থেকে বিয়ের পিড়িতে পড়শী-নিলয়। ছবি: সংগৃহীত

একটি রিয়েলিটি শোয়ের মাধ্যমে গান গেয়ে সর্বমহলে পরিচিত লাভ করেন সাবরিনা পড়শী। এরপর একে একে দর্শকদের উপহার দিয়েছেন অনেক সুপারহিট গান। দেখতে দেখতে গানে গানে পেরিয়ে গেছে তার ১৬ বছর। বর্তমানে স্টেজ শো ও নতুন নতুন গান নিয়ে বেশ ব্যস্ততা তার।

‘ক্ষুদে গানরাজ’খ্যাত কণ্ঠশিল্পী সাবরিনা পড়শীর বিয়ের খবর এরইমধ্যে ভাইরাল হয়েছে। প্রেমের সম্পর্কের পর গাটছড়া বেঁধেছেন ‘ক্ষুদে গানরাজ’-এর আরেক নিলয়ের সঙ্গে। জীবনের নতুন অধ্যায়ে একে অন্যের হাত ধরলেও শুরুটা প্রতিযোগিতার মাধ্যমে হয়েছিল পড়শী-নিলয়ের।
২০০৮ সালে পড়শী-নিলয় দুজনেই ক্ষুদে গানরাজের একই আসরে নাম লিখিয়েছিলেন। ওই আসরে প্রতিযোগিতাকালীন নিলয়ের কণ্ঠ বেশ সাড়া ফেলে। তার গাওয়া কয়েকটি গান পায় জনপ্রিয়তা।

তবে প্রতিযোগিতাকালীন নিলয় নাম করলেও পরে শ্রোতাদের মন জয় করেন পড়শী। অসংখ্য জনপ্রিয় গান দেন উপহার। ততদিনে শ্রোতাদের স্মৃতি থেকে ম্লান নিলয়ের নাম। কেননা ২০১০ সালে বাবা-মায়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে চলে যান নিলয়।

তবে সংগীতের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হলেও একই আসরের প্রতিযোগী পড়শীতে আটকে যান তিনি। একে অন্যের মনে দোলা দেন তারা। শুরু হয় প্রেম। গত বছর নিলয়ের পরিবার বাংলাদেশে আসে। ছিল কয়েক মাস।

এরপর পড়শী ও নিলয়ের পরিবারের সদস্যরা তাদের বিয়ের ব্যাপারে কথা বলেন। তারপর দুই পরিবারের ঘনিষ্ঠজনদের উপস্থিতিতে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সেরে নেওয়া হয়। এক সময়ের দুই প্রতিযোগী হাতে হাত রেখে শুরু করেন জীবনের নতুন অধ্যায়। তবে বিয়ে নিয়ে আপাতত দুই পরিবারের কেউই খবর প্রকাশ্যে আনতে চাইছে না।

 

Header Ad
Header Ad

‘জমজমের’ বলে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় করেছেন ৩০ কোটি!

ছবি: সংগৃহীত

তুরস্কে জমজমের পানি বলে ট্যাপের পানি বিক্রি করে এক ব্যক্তি প্রতারণার মাধ্যমে আয় করেছেন প্রায় ৩০ কোটি টাকা। ওই ব্যক্তি প্রতিদিন ২০ টন ভুয়া জমজমের পানি বিক্রি করতেন বলে জানিয়েছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম গালফ নিউজ।

বিলাল নামের এক ব্যক্তি পাঁচ মাস ধরে তুরস্কের বাজারে ট্যাপের পানি জমজমের পানি বলে বিক্রি করছিলেন। বোতলের গায়ে জমজমের পানির লেবেল লাগানো থাকায় সাধারণ মানুষ তা জমজমের পানি ভেবে কিনতেন। পুলিশ তদন্তে জানতে পারে, পানি আসলে তুরস্কের আদানার ওয়্যারহাউজ থেকে নেওয়া।

বিলালকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ জানতে পারে, তুরস্কে জমজমের নামে বিক্রি হওয়া পানির বেশিরভাগই ট্যাপের পানি। কিছু বিক্রেতা অল্প পরিমাণ আসল জমজমের পানি মিশিয়ে বাজারে বিক্রি করার কথা স্বীকার করেছেন।

পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১৫ হাজার লিটার ভুয়া জমজমের পানি উদ্ধার করে। বোতলগুলো বিভিন্ন আকারের এবং আরবি লেখা সম্বলিত। এ ধরনের বোতল তুরস্কের বাজারে সহজেই পাওয়া যাচ্ছে।

কিছু বিক্রেতার দাবি, পানির একটি অংশ জমজম থেকে আনা হলেও তাতে ট্যাপের পানি মেশানো হয়েছে। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কেউ অভিযোগ করেনি।

এ ঘটনায় সাধারণ মানুষের মধ্যে জমজমের পানির প্রকৃত উৎস নিয়ে সন্দেহ দেখা দিয়েছে। জমজমের নাম ব্যবহার করে এ ধরনের প্রতারণা ধর্মীয় অনুভূতিকে আঘাত করছে বলে মনে করছেন অনেকেই।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

ইংল্যান্ডে দুপুরের খাবারসহ বিনা টিকিটে বিশ্বকাপের ম্যাচ দেখেছেন টিউলিপ: টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন
প্রতিযোগী থেকে বিয়ের পিড়িতে পড়শী-নিলয়
‘জমজমের’ বলে ট্যাপের পানি বিক্রি, আয় করেছেন ৩০ কোটি!
কাউন্সিল নিয়ে দু’গ্রুপের সংঘর্ষে বিএনপি নেতা নিহত
বায়ুদূষণ বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ হাইকোর্টের
ঢাবিতে ছাত্রীহল নির্মাণ ও সংস্কারের দাবি ছাত্রদলের
অভিযোগ প্রমাণিত হলে টিউলিপকে দেশে ফেরত পাঠানো উচিত: প্রধান উপদেষ্টা
বগুড়ায় বিমানবন্দর চালু নিয়ে যা বললেন বিমান বাহিনী প্রধান
‘আগে জাতীয় নির্বাচন, পরে স্থানীয় সরকার নির্বাচন’  
দেশে একজনের শরীরে এইচএমপিভি শনাক্ত
আওয়ামী লীগের প্রতিহিংসার শিকার হয়েছি: বরখাস্তকৃত সেই দুদক কর্মকর্তা
ছাত্র আন্দোলনে নিহত, কাপড় দেখে স্বামীর মরদেহ শনাক্ত করলেন স্ত্রী
জামালপুরে গরু চুরি করে ভূরিভোজ, বিএনপি নেতাকে দল থেকে বহিষ্কার
বিজিবি এবং স্থানীয়দের শক্ত অবস্থানে ভারত বেড়া নির্মাণ বন্ধ রাখতে বাধ্য হয়েছে  
সাকিব-লিটনকে ছাড়াই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দল ঘোষণা
জবি শিক্ষার্থীদের আমরণ অনশন শুরু
বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মানি ও জাপানের মত গাজাকে গড়ার আহ্বান ইলন মাস্কের  
হাসিনা আমাদের জন্য অনেক করেছে, তাঁকে আমৃত্যু ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত: কংগ্রেস নেতা
রাজনীতিতে যোগ দিতে চাই না, আমার লক্ষ্য কুরআনের খেদমত করা: আজহারী
নির্বাচন কমিশনের ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ডে ভেসে উঠলো 'বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ’