ভোক্তারা পাচ্ছে না টিসিবির পণ্য
![](https://admin.dhakaprokash24.com/logo/placeholder.jpg)
চিনি, ডাল, তেলসহ নিত্য পণ্যের বাড়তি দামে ভোক্তারা বিশেষ করে নিম্ন আয়ের মানুষ একবারে অসহায় হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে তারা কম দামে পাবার আশায় টিসিবির ট্রাকসেলে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে। তারপরও ভোক্তারা নির্ধারিত জায়গায় পাচ্ছে না টিসিবির পণ্য। আবার অনেক এলাকায় ট্রাকসেলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থেকেও পাচ্ছে না পণ্য। অল্প সময়ে হাওয়া হয়ে যাচ্ছে চিনি, ডাল, তেল ও পেঁয়াজ।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, প্রেসক্লাবের পূর্বদিকে সকাল নিম্ন আয়ের মানুষ কম দামে তেল, ডাল, চিনি ও পেঁয়াজ পাবার আশায় অপেক্ষা করছে। কিন্তু দুপুর আড়াইটার সময়ও দেখা যায়নি টিসিবির ট্রাক। এ সময় বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে ফুটপথের ব্যবসায়ীকে টিসিবির ট্রাক এসেছে কি না জিজ্ঞাসা করা হলে, পাশ থেকে মুচি নরেন ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, এখনো আসেনি ট্রাক। আর আসবে না। অনেকে অপেক্ষা করে চলে গেছে। দীর্ঘ লাইন হয় এখানে। কম দামের কারণে অনেক হাওকাও হয়’।
বাজারের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল রাখতে করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষকে স্বস্তি দিতে বৃহস্পতিবার (৩ ফেবুয়ারি) থেকে ভর্তুকি মূল্যে চার পণ্য বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। পণ্যগুলো হচ্ছে- চিনি, মসুর ডাল, সয়াবিন তেল ও পেঁয়াজ।
বাজারে পণ্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে টিসিবি এবার অষ্টম কিস্তিতে সারা দেশে ৪০০-৪৫০টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে বিক্রি কার্যক্রম পরিচালনা করার কথা। যা শুক্রবার বাদে ২২ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার পর্যন্ত চলবে। বুধবার টিসিবির পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
টিসিবি জানায়, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬৫ টাকা করা হয়েছে, যা আগে ৬০ টাকায় বিক্রি করা হতো। একজন ক্রেতা প্রতি কেজি চিনি ৫৫, মসুর ডাল ৬৫, সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১১০ এবং পেঁয়াজ প্রতি কেজি ৩০ টাকা বিক্রি করার ঘোষণা দিয়েছে। একজন ক্রেতা সর্বনিম্ন দুই থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ কেজি পেঁয়াজ, দুই কেজি মসুর ডাল, দুই কেজি চিনি ও দুই লিটার সয়াবিন তেল কিনতে পারবেন।
অনেক স্পটে পাওয়া যাচ্ছে না ট্রাক সেলে পণ্য। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে টিসিবির মুখপাত্র হুমায়ূন কবির ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘সারা দেশে ৪০০ থেকে ৪৫০টি ট্রাকসেলে কমদামে পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে। ডিলাররা টাকা পরিশোধ করে সেভাবে পণ্য তুলে বিক্রি করছে। ডিলাররা টাকা জমা দিলে ১০০ ভাগ নিশ্চিত হয়েই তাদের পণ্য দেওয়া হয়ে থাকে। কাজেই পণ্য তুলে বিক্রি না করার কোনো সুযোগ নেই।’
জেডএ/
![Header Ad](https://admin.dhakaprokash24.com/images/single-post-anniversary.jpeg)