অটোমোবাইল খাতের বিকাশে নীতি সহায়তা চান উদ্যোক্তারা

বাংলাদেশে অটোমোবাইল শিল্পের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু পর্যাপ্ত নীতিমালার অভাবে দেশে মোটরসাইকেল, সিএনজি ও গাড়ির নকশা ও যন্ত্রাংশ তৈরি করা যাচ্ছে না। এসব কাজের ৯৯ শতাংশই করছেন বিদেশি ভেন্ডররা। অথচ দেশীয় ভেন্ডর উন্নয়নে সরকারের কোনো কার্যক্রম নেই। তাই দেশে শক্তিশালী অটোমোবাইলের উন্নয়নে খাতভিত্তিক নীতি সহায়তা চান উদ্যোক্তারা।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত অটোমোবাইল ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড অসেম্বালার্স সম্পর্কিত এফবিসিসিআইয়ের স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে এ দাবি জানান তারা।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফবসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, একসময় বাংলাদেশ ছিল শুধুই আমদানি নির্ভর একটি দেশ। বর্তমান বাংলাদেশের সক্ষমতা বেড়েছে কয়েকগুণ। প্রয়োজনীয় অনেক পণ্য এখন তৈরি হচ্ছে দেশে, পাশাপাশি রপ্তানিও হচ্ছে। পর্যাপ্ত ব্র্যান্ডিংয়ের অভাবে বিশ্বের অনেক দেশ এখনও বাংলাদেশের সক্ষমতা সম্পর্কে জানেনা।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে এখন অনেক পণ্যই তৈরি হচ্ছে যেগুলো আগে ছিল শুধুই আমদানি নির্ভর। অটোমোবাইল একটি বড় সম্ভাবনাময় খাত। এর সক্ষমতা ব্র্যান্ডিং করা হলে রপ্তানি ও বিনিয়োগ বাড়বে। বিপুল কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কমিটির ডিরেক্টর ইন-চার্জ ও এফবিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতি মো. হাবিব উল্লাহ্ ডন বলেন, নীতিমালা সংক্রান্ত সমস্যাগুলো সমাধানের পাশাপাশি পণ্যের গুণগতমান নিশ্চিত করে দেশে প্রতিযোগিতামূলক বাজার তৈরি করতে হবে।
অটোমোবাইলসহ খাতভিক্তিক উন্নয়নে কাজ করতে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে সভার সভাপতি ও স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান খান বলেন, খাতওয়ারী সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা প্রস্তুত করে তা এফবিসিসিআইয়ের মাধ্যমে সরকারেরর কাছে উপস্থাপন করা দরকার। এতে উন্নয়ন আরও গতিশীল হবে।
কমিটির কো-চেয়ারম্যান, উত্তরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করেই নীতিমালা প্রণয়নের ফলে, অটোমোবাইল খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। এ খাতের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে আলোচনা করে নীতি প্রণয়ন করলে তা দেশের অটোমোবাইল শিল্পের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে।
জেডএ/আরএ
