রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫ | ৭ বৈশাখ ১৪৩২
Dhaka Prokash

কৃষক বঞ্চিত ধানে ভোক্তারা ঠকছে চালে

বোরোর আগে কমবে না চালের দাম

কৃষকের কথা বিবেচনা করে সরকার আমন মৌসুমে ধানের দাম বাড়িয়েছে। মণ প্রতি ১ হাজার ৮০ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। কিন্তু ধান উঠার পর কৃষক কম দামে বিক্রি করে দেওয়ায় বর্তমানে ফড়িয়াদের ঘরে ধান। আর ফরিয়ারা সেইধান বিক্রি করছে  বেশি দামে। এ জন্য ভোক্তাদেরও কিনতে হচ্ছে বেশি দামে। তবে বোরো ধান না উঠা পর্যন্ত কমবে না চালের দাম-এমনটাই বলছেন আড়তদাররা। কারণ আমন মৌসুমে শুধু মোটা চাল হয়। বোরো ধানকে কেটে মিনিকেট চাল করতে হয়। দেশের বিভিন্ন জেলার কৃষক, মিলমালিক, পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়িদের সঙ্গে কথা বলে চালের বাজারের এমনই চিত্র জানা গেছে।    

সুনামগঞ্জে চালের দামে চরম হতাশা:

সুনামগঞ্জের হাওড়ের কৃষকেরা বলছেন, এক বিঘা জমি আবাদে যে খরচ হয়, ধান বিক্রি করে তা উঠছে না। সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার খরচার হাওড়পারের কৃষক মো. লিয়াজ উদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এবার আমি আট একর জমিতে আমনের ধানের আবাদ করেছি, ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু ধানের দাম নিয়ে চরম হতাশ। কারণ সরকার প্রতি মণ ধানের মূল্য নির্ধারণ করছে ১ হাজার ৮০ টাকা। এর কোনো প্রভাব নেই বাজারে। হাওড় এলাকায় এখন প্রতি মণ ধান বিক্রি হচ্ছে সর্বোচ্চ ৯৫০ টাকা। পরিবারের ব্যয় মেটাতে বাধ্য হয়েই কম দামে ধান বিক্রি করতে হচ্ছে।’

সদর উপজেলার সুরমা ইউনিয়নের মঈনপুর গ্রামের কৃষক ফজর আলী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, তারা কষ্টে ধান ফলায় কিন্তু দাম পায় না, তাই কৃষকদের কষ্ট আর ঘোচে না।

রাসেল অটো রাইস মিলের মালিক রাসেল আহমদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, আমন ধান এক হাজার টাকা মণ কেনা হচ্ছে। মিলে ভাঙিয়ে ৫০ কেজি ওজনের এক বস্তা নতুন চাল ১৯০০ থেকে ২০০০ বা কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। আর পুরাতন ২৮ চাল বিক্রি করা হচ্ছে ২২০০ বস্তা বা কেজি ৪৪ টাকা ।

সুনামগঞ্জ শহরের বিভিন্ন চালের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, মোটা চাল কেজি ৪০ টাকা, পাইজাম ৪৫/৫৫ টাকা, আটাইশ ৫২ টাকা , মিনিকেট ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

 

 

নওগাঁয় চালের দাম ঊর্ধ্বগতি:

দেশের অন্যতম বৃহৎ ধান-চালের মোকাম জেলা হওয়া সত্ত্বেও নওগাঁর পাইকারি বাজারে মোটা ও চিকন চালের দাম কেজিপ্রতি ৩-৫ টাকা বেড়েছে। এরফলে খুচরা বাজারেও বেড়েছে কেজিপ্রতি ৪-৫ টাকা। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষ। আমনের ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়ে যাওয়ায় মিল মালিকদের দুষছেন ব্যবসায়ীরা। নওগাঁর খুচরা ও পাইকারি বাজারে সপ্তাহ ব্যবধানে প্রায় প্রতি কেজি চালের দাম ৪ থেকে ৫ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তবে মিল মালিকরা বলছেন বাজারে ধানের দাম বেশি। এছাড়া মিলের অন্যান্য খরচ ধরেই চাল বিক্রি করায় কিছুটা বেশি দামে চাল বিক্রি করতে হচ্ছে তাদের।

নওগাঁ বড় বাজারের চাল ক্রেতা জিন্নাহ বলেন, 'এতদিন চালের বাজার ঠিক থাকলেও কয়েকদিন ধরে চালের বাজারে দর বাড়ছে। মহসিন নামের এক অটো রিকশাচালক জানান, চালের দাম বাড়ছে। এ কারণে তাকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। মহাদেবপুর স্বরশতীপূর বাজারে চাচা ভাতিজা ট্রেডার্সের পাইকারি বিক্রেতা মো. সিদ্দিক মোল্লা বলেন, মিলাররা কৃষকের কাছে আগে কম দামে ধান কিনে মজুদ করেছে।

 

কৃষকের চেয়ে ব্যবসায়ীদের পকেটে লাভ:

দিনাজপুরের কৃষক আজিজুল ইসলাম জানান, বন্ধকী জমিতে চাষাবাদ করে এক একর জমিতে ২৮-আমন ধান আবাদ করে ফলন ঘরে তুলেছেন ৮৫মণ ধান। তার খরচ হয়েছে প্রায় ৬০ হাজার টাকা। আগেই কম দামে ধান বিক্রি করে পেয়েছেন ৯০ হাজার টাকা। কিন্তু তার ঘরে কোনো ধান নেই। মধ্যস্বত্বভোগি আর মৌসুমি খরিদ্দারের হাতে ধান।  

কৃষক কল্যাণ সমিতির কৃষক আজিজুল ইসলাম জানান, ‘তার নিজের জমি নেই। বন্ধক নেওয়া ৪ একর জমিতে ধার দেনা করে আবাদ করে ঘরে ধান তুলতে হয়। তাই প্রথম দিকেই কম দামে বিক্রি করতে হয় ধান।’

ধানের বাড়তি দামের বিষয়ে জানতে চাইলে পুলহাটের আদর মমতা অটোরাইস মিলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক শহিদুর রহমান মোহন পাটোয়ারী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ধান মূলতঃ তিনভাগে বাজারে উঠে। অনেক কৃষক প্রথমেই ধান বিক্রি করে কাটাই মাড়ায়ের খরচের যোগান দিতে। কিছু অংশ ধরে রাখে পরবর্তী ফসল আবাদের খচরের যোগান মিটানো প্রয়োজনে। প্রথম দিকে কম দামে ওইসব ধান কিনে মজুদ করে রাখে মৌসুমি ও মধ্যস্বত্বভোগি ব্যবসায়ীরা।

উল্লেখ্য, সরকারি আইন অনুযায়ী ছাটাইয়ের জন্য ধান ৪৫ দিন এবং ছাটাইয়ে পর ৬০দিন পর্যন্ত চাল ধরে রাখা যায়। তারপরও বেশি করে ধান, চাল মজুদ করে পরে বেশি দামে বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। এরফলে ভোক্তাদের বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে।

রাজধানীর চিত্র:

এদিকে রাজধানীর পাইকারি বাজার কৃষিমার্কেট, কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন বাজারের আড়তে সরেজমিনে দেখা গেছে থরে থরে সাজানো চালের বস্তা। কিন্তু কৃষকেরা যে দামে ধান বিক্রি করছে তার চেয়ে অনেক বেশি দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে।

কৃষিমার্কেটের সাপলা রাইস এজেন্সির মালিক মাঈনুদ্দিন ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘এবার আমন ধান উঠলেও কমছে না চালের বাজার। কারণ কৃষকদের জন্য বেশি দামে সরকার ধানের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এতে মিলমালিকদের বেশি দামে ধান কিনতে হচ্ছ। তাই কমছে না চালের দাম। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার কৃষিমার্কেটে মিনিকেট চাল ৫৯ থেকে ৬১ টাকা, আটাশ ৪৪ থেকে ৪৮ টাকা ও মোটা গুটি স্বর্ণা ৪০ থেকে ৪২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

অপরদিকে কারওয়ান বাজারের মেসার্স কুমিল্লা রাইস এজেন্সির মো. আবুল কাসেম ঢাকাপ্রকাশকে জানান, কয়েক সপ্তাহের ধারাবাহিকতায় এ সপ্তাহেও চালের দাম বাড়েনি-কমেনিও। আগের দামেই মিনিকেট ৬০ থেকে ৬২ টাকা, বিআর-২৮ কেজি ৪৬ থেকে ৪৭ টাকা, পারিজা ৪৪ তেকে ৪৬ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এবার আমনের প্রথম থেকেই বাড়তি চালের বাজার। মাঘ মাসেও কমবে না। বোরো উঠা শুরু হলে তখন কমবে। কারণ বোরো ধান থেকেই মিনিকেট (চিকন) চাল করা হয়। আর বাজারে কিচন চালের চাহিদা বেশি।   

একই বাজারের চাটখিল রাইস এজেন্সির বেলাল হোসেনও বলেন, ‘আগের দামেই মিনিকেট ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, আটাশ ৪৮ থেকে ৪৯ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে একই চাল বিভিন্ন বাজারে পাইকারির চেয়ে চার থেকে পাঁচ টাকা বেশি দামে খুচরা বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু রাজধানীর বিভিন্ন খুচরা বাজারে মোটা চাল ৪৫ টাকা, আটাশ ৫৫ এবং মিনিকেট চাল ৬৭ টাকা কেজি বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। কেজিতে ৫ টাকা পার্থক্য দেখা গেছে।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, মিনিকেট নামে কোনো ধানের জাত নেই। সরু ধানকে বেশি করে ছিলে বা মিলে রাউন্ড বেশি দিয়ে চাল চিকন করে তা বাজারে বেশি দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হচ্ছে। এতে ভোক্তারা একদিকে ঠকছেন, অন্য দিকে গুণগত মান পাচ্ছেন না। কারণ বেশি ছিলার ফলে গুণগতমান কমে যাচ্ছে।

 

[প্রতিবেদনটি তৈরিতে সহায়তা করেছেন নওগাঁর শামীনূর রহমান, সুনামগঞ্জের মনোয়ার চৌধুরী ]

জেডএ/   

 

Header Ad
Header Ad

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে। রোববার (২০ এপ্রিল) পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত একনেক সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ও একনেক চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

সভা-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ জানান, চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য সাড়ে ১৩ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বে টার্মিনাল নির্মাণ প্রকল্পসহ মোট ১৬টি প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হবে ২৪ হাজার ২৪৭ কোটি ২৪ লাখ টাকা। এর মধ্যে সরকারি অর্থায়ন ৩ হাজার ১ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, প্রকল্প ঋণ ১৬ হাজার ৭১৯ কোটি ৭৩ লাখ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৪ হাজার ৪২৬ কোটি ১৭ লাখ টাকা।

এ সময় উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, পায়রা সমুদ্র বন্দর প্রকল্পে সঠিকভাবে অগ্রগতি না থাকায় এটি “সমুদ্র বন্দরও হবে না, খালের বন্দরও হবে না” - এমন মন্তব্য করেছেন তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, শিল্প ও গৃহায়ন উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, বিদ্যুৎ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, নৌ ও শ্রম উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন, সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান এবং শিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার। এছাড়া বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।

Header Ad
Header Ad

বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন অনুষ্ঠিত বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার দাবি করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, গত ১৫ বছরে জনগণের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। এজন্য নির্বাচনের সঙ্গে জড়িত প্রার্থীদের, নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের এবং যারা অনিয়মে যুক্ত ছিল, তাদের তদন্ত করে বিচার করতে হবে।

রোববার প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশকে ফ্যাসিস্ট কাঠামোয় নিয়ে গেছে এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছে, যার দায় নির্বাচন কমিশনেরও রয়েছে।

বৈঠকে এনসিপির পক্ষ থেকে আরো কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রস্তাব তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে রয়েছে—মনোনয়নপত্র জমা দিতে সশরীরে আসার বিধান প্রবর্তন, প্রার্থীদের হলফনামা যাচাই-বাছাই করে সত্যতা নিরূপণ, নির্বাচনে সহিংসতা রোধে আচরণবিধি সংস্কার, ঋণখেলাপিদের প্রার্থিতা বাতিল, প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করা এবং রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র মনিটরিং করা।

এছাড়া একই নামে একাধিক দলের নিবন্ধন, অফিসবিহীন দলকে বৈধতা দেওয়া এবং এসব বিষয়ে সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের দাবি জানানো হয়। এনসিপি মনে করে, এসব বাস্তবায়ন না হলে অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্ভব নয়।

প্রধান নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরউদ্দীন পাটওয়ারীর নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল অংশ নেয়। প্রতিনিধি দলে ছিলেন যুগ্ম আহ্বায়ক অনিক রায়, খালেদ সাইফুল্লাহ, মুজাহিদুল ইসলাম শাহিন ও তাজনুভা জাবীন।

Header Ad
Header Ad

এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল

ছবি: সংগৃহীত

চলতি এপ্রিল মাসের প্রথম ১৯ দিনেই দেশে রেকর্ড পরিমাণ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত প্রবাসীরা ১৭১ কোটি ৮৭ লাখ মার্কিন ডলার দেশে পাঠিয়েছেন। ডলারপ্রতি ১২২ টাকা ধরে যার পরিমাণ প্রায় ২০ হাজার ৯৬৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা।

রেমিট্যান্সের বড় একটি অংশ এসেছে বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে—৯৮ কোটি ৫৪ লাখ ২০ হাজার ডলার। এছাড়া রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৬৩ কোটি ৯৭ লাখ ডলার, বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো দিয়ে ৯ কোটি ২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৩৩ লাখ ৫০ হাজার ডলার।

এর আগেও চলতি বছরের মার্চ মাসে দেশে এক মাসে ইতিহাসের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে—৩২৮ কোটি ৯৯ লাখ ৮০ হাজার ডলার। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারিতেও যথাক্রমে ২১৯ কোটি ও ২৫২ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা, ডলারের ভালো বিনিময় হার এবং রমজান ও ঈদ উপলক্ষ্যে প্রবাসীদের বাড়তি পাঠানোর প্রবণতা—এসব কারণে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, এপ্রিল শেষে এই প্রবাহ ৩৫০ কোটি ডলারের বেশি হতে পারে, যা নতুন একটি রেকর্ড হবে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

একনেকে ২৪ হাজার কোটি টাকার ১৬ প্রকল্প অনুমোদন
বিগত ৩ নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের বিচার চায় এনসিপি
এপ্রিলে ১৯ দিনেই প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২১ হাজার কোটি টাকা ছাড়াল
দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী না হওয়া নিয়ে বিএনপির অভিমত
ফাইয়াজের মামলায় আইন মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ার নেই: আসিফ নজরুল
ভারতের উত্তরপ্রদেশে এক ছাত্রীকে ৭ দিন ধরে আটকে ২৩ জন মিলে ধর্ষণ!
বিরামপুরে পিকআপের ধাক্কায় এসএসসি পরীক্ষার্থীর মর্মান্তিক মৃত্যু
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যুবলীগ কর্মী মিঠু গ্রেফতার
ওয়াকফ সংশোধনী আইন নিয়ে উত্তাল মুসলিম সমাজ, হায়দ্রাবাদে গণবিক্ষোভ
ফকিরাপুলে গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৩ জন দগ্ধ
আল-আকসা ভেঙে মন্দির স্থাপনের পরিকল্পনা ফাঁস, ফিলিস্তিনের সতর্কবার্তা
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ ৪৫ জনের বিরুদ্ধে গণহত্যার প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ১৩৮ মিলিয়ন ডলার দেবে চীন : স্বাস্থ্য উপদেষ্টা
আইপিএলে অভিষেক ম্যাচেই তিন রেকর্ড গড়লেন ১৪ বছরের বৈভব সূর্যবংশী
৩ মে ঢাকায় মহাসমাবেশের ডাক হেফাজতে ইসলামের
আজ স্বামীর প্রশংসা করার দিন
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় নিষিদ্ধ হলো সিনেমা
রাজধানীর ডেমরা ও মিরপুরে আওয়ামী লীগের ঝটিকা মিছিল
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফায় বৈঠকে বিএনপি
যশোরের শার্শায় অস্ত্রসহ দুই ছিনতাইকারী আটক