জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন সাড়ে ৭ বাড়ানোর দাবি
জ্বালানি তেল বিক্রির কমিশন সাড়ে ৭ শতাংশ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছে পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
বুধবার (২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
দাবি না মানা হলে আগামী ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের সব ডিপো থেকে জ্বালানি তেল উত্তোলনে বিরত থাকবে জানিয়েছে সংগঠনটি।
লিখিত বক্তব্যে জানানো হয়, জ্বালানি মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশন (বিপিসি) একক সিদ্ধান্তে অবিবেচকের মতো জ্বালানি তেল বিক্রির ওপর কমিশন নির্ধারণ করেছে। আমরা জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধির অনেক আগে থেকেই বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি, সরকারি বিভিন্ন সংস্থার লাইসেন্স ফি বৃদ্ধি, সর্বোপরি উর্ধ্বমূল্যের বাজারে কর্মচারীদের বেতন বৃদ্ধিতে জ্বালানি তেল বিক্রয়ের ওপর কমিশন ১.৬০ টাকা বাড়ানোর দাবি করে আসছি। অথচ বাড়ানো হয়েছে মাত্র ২০ পয়সা।
চলতি বছর ৬ জানুয়ারি বিপিসি একটি সম্মানজনক কমিশনের আশ্বাস দিয়েছিল উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, কিন্তু দুঃখজনকভাবে বিপিসি ও জ্বালানি মন্ত্রণালয় জ্বালানি তেল ব্যবসায়ীদের প্রতি চরম উদাসীনতা দেখিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও যেসব দাবি জানানো হয় তাহলো-জ্বালানি তেল ব্যবসায়ী কমিশন এজেন্টের বিষয়গুলো গেজেট আকারে প্রকাশ; সড়ক ও জানপথ বিভাগ কর্তৃক পেট্রোল পাম্পের প্রবেশ দ্বারের ভূমির জনা ইজারা গ্রহণের প্রথা বাতিল; ট্রেড লাইসেন্স ও বিস্ফোরক লাইসেন্স ছাড়া অন্য দপ্তর বা প্রতিষ্ঠান কর্তৃক লাইসেন্স গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল; মালিক কর্তৃক প্রিমিয়াম পরিশোধ সাপেক্ষে ট্রাংকলরী শ্রমিকদের পাঁচ লাখ টাকা দুর্ঘটনা বিমা প্রথা চালু করা, এবং জ্বালানি ডিপো সংলগ্ন ট্যাংকলরী শ্রমিকদের জন্য পর্যাপ্ত শৌচাগার ও বিশ্রামাগার নিশ্চিত করা।
বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ সাজ্জাদুল করিম কাবুল, মহাসচিব মিজানুর রহমান রতন, সিনিয়র সহসভাপতি এম এ মোমিন, সহসভাপতি আব্দুল আওয়াল জ্যোতি, মাহবুবুল আলম, যুগ্ম মহাসচিব শেখ ফরহাদসহ সংগঠনটির কেন্দ্রীয় নেতারা সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
আরইউ/এমএমএ/