হিলিতে আমদানির খবরে ২০ টাকায় নেমেছে আলুর দাম
ছবি: সংগৃহীত
ভরা মৌসুমেও দাম নিয়ন্ত্রণ না হওয়ায় ভারত থেকে আবারও আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এরই প্রেক্ষিতে শনিবার দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আসার কথা ভারতীয় আলু। এদিকে আমদানির খবরেই স্থানীয় পাইকারি বাজারে পড়ে গেছে আলুর দাম।
এক দিনের ব্যবধানে দিনাজপুরের হিলিতে আবারো কমেছে দেশি আলুর দাম। আগেরদিনের তুলনায় কেজি প্রতি ৫ টাকা কমে বর্তমানে দেশি আলু বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা দরে। এতে স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতাদের মাঝে।
শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারী) দুপুরে হিলি বাজার ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়।
বাজারে কথা হয় হাবিবুর রহমান নামে স্থানীয় এক ক্রেতার সঙ্গে। তিনি বলেন, আলুর দাম আজ অনেকটা কম দেখছি। গত কয়েক দিন আগেও ৩৫ থেকে ৪০ কেজি দরে আলু কিনেছি। আজ ২০ টাকা কেজি দরে কিনলাম।
হিলি বাজারের আলু বিক্রেতা রায়হান কবির বলেন, আজ শনিবার হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে আলু আমদানি হবে। সেই খবরে মোকামে আলুর দাম কমে গেছে। আমরা বর্তমানে ২০ থেকে ২৮ টাকার মধ্যে আলু বিক্রি করছি। তবে পেঁয়াজের দাম কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। পেঁয়াজ কেজি প্রতি ৫ টাকা বৃদ্ধি পেয়ে ৭৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। রমজানের আগে যদি পেঁয়াজ আমদানি না হয় তাহলে পেঁয়াজের দাম আরো বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, সরবরাহ কমের অজুহাতে দেশে আলুর দাম বেড়ে গেলে বাজার নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ৩০ অক্টোবর সরকার আমদানির অনুমতি দেয়। আমদানির মেয়াদ ছিল গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। পরে ব্যবসায়ীদের আবেদনের ভিত্তিতে সময়সীমা আরও ১৫ দিন বাড়িয়ে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। ১৫ ডিসেম্বর থেকে বন্দর দিয়ে আলু আমদানি বন্ধ রয়েছে। নতুন করে আমদানি শুরুর খবরে কর্মচাঞ্চল্য ফিরেছে বন্দরে।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বন্দর দিয়ে ৩৫ হাজার টন আলু আমদানি করা হবে। ৫০ জন আমদানিকারকের মাধ্যমের আলু আমদানি করছে সরকার। আমদানি করা এসব আলু বাজারে ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি করা হবে।