বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত বিশ্বব্যাংক: অর্থমন্ত্রী
ছবি: সংগৃহীত
আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থা বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। আর বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলাই শেখ।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) সচিবালয়ে নিজ দফতরে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট এসেছিলেন রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। আমিই তাকে নিয়ে গিয়েছিলাম। রোহিঙ্গারা তো এখনও যায়নি, যে কারণে সেই সম্পর্ক আছে। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের জন্য কাজ করে। তারা বাংলাদেশকে সহায়তা করতে চান।’
বিশ্বব্যাংক যে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংস্কার চাচ্ছে, এ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সংস্কার তারা চাচ্ছে। সংস্কার তো অবশ্যই দরকার। তারা তারা বলেছে, তারা সহায়তা করতে প্রস্তুত।’
তবে কোন কোন জায়গায় সহায়তা দরকার, তা নিয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘দেখি আমরা, কাজ শুরু করি। আমাদের মধ্যে ব্যাপক একটা সম্পর্ক রয়েছে। তারা সেটা অব্যাহত রাখবে।’
এর আগে, বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আব্দুলাই শেখ বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সহায়তা করেছি। আরও ১৬ বিলিয়ন ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জ্বালানি, প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই সহায়তা করা হবে।
বাংলাদেশের জন্য এখন অর্থায়ন দরকার উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের ২০৪১ সালের পরিকল্পনা সামনে রেখে অর্থ সহায়তা যেমন দরকার, তেমনই সংস্কারও করতে হবে। বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’
বিশ্বব্যাংকের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের নতুন অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে আমাদের একটা ভালো বৈঠক হয়েছে। আমরা বাংলাদেশকে সহায়তার বিষয়টি পুনর্ব্যক্ত করেছি। আপনারা জানেন, এই সহায়তা অনেক বড় ও জোরালো। আন্তর্জাতিক আর্থিক সংস্থা হিসেবে বাংলাদেশকে সহায়তায় আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ।’
‘আমরা আলোচনা করেছি এই সহায়তা অব্যাহত রাখার বিষয়ে। আলোচনাল মধ্যে অর্থায়ন যেমন ছিল, তেমনই সংস্কারের বিষয়টিও ছিল। কারণ সংস্কার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক সংস্কার এজেন্ডা নিয়ে আমাদের মধ্যে কথা হয়েছে’, যোগ করেন তিনি।
আব্দুলাই শেখ বলেন, ‘এক্সচেঞ্জ রেট, মুদ্রানীতি, সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণদের জন্য সুরক্ষা নীতি ও রাজস্বনীতিতে সংস্কার বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।’
নতুন কোনো বিনিয়োগ নিয়ে কথা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে আমরা সহায়তা করে আসছি।’