বিশ্ববাজারে সোনার দাম বাড়ল ১০০ ডলার
বিশ্ববাজারে আবার বাড়তে শুরু করেছে সোনার দাম। কয়েক মাস ধরে বাজার নিম্নমুখী থাকলেও ইসরাইল গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করায় এক সপ্তাহের ব্যবধানে সোনার দাম বেড়েছে ১০০ ডলার। সাধারণত রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময় নিরাপদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়ে।
বাজারসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং ইকোনমিকস জানায়, গত ৬ অক্টোবর বিশ্ববাজারে সোনার দাম ছিল প্রতি আউন্স এক হাজার ৮২০ ডলার।
১৩ অক্টোবর দাম বেড়ে দাঁড়ায় প্রতি আউন্স এক হাজার ৯৩২ ডলার। এক সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১১২ ডলার বা ৫.৪৭ শতাংশ। গত শুক্রবার এক দিনে দাম বাড়ে ৬৩.৮৫ ডলার বা ৩.৪২ শতাংশ। প্রতিষ্ঠানটি বলছে, গাজায় ইসরায়েল সামরিক অভিযান শুরু করায় ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় নিরাপদ হিসেবে মানুষ সোনায় বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে।আর সে কারণেই দাম বাড়ছে।
এ বছরের শুরুতে বিশ্ববাজারে সোনার দাম ছিল ঊর্ধ্বমুখী। এমনকি মে মাসের শুরুতে সোনার দাম বেড়ে প্রতি আউন্স হয় রেকর্ড দুই হাজার ৫১ ডলার। সে সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে মন্দার আশঙ্কা, ব্যাংক খাতের সংকট ও অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তায় ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা নিরাপদ হিসেবে সোনায় বিনিয়োগ বাড়িয়ে দেন।
এরপর যুক্তরাষ্ট্র দফায় দফায় সুদের হার বাড়ালে দেশটির মূল্যস্ফীতি কমে আসে এবং অর্থনীতিও ক্রমান্বয়ে স্থিতিশীলতায় ফেরে। এতে ডলার শক্তিশালী হয় এবং ট্রেজারি বন্ডে বিনিয়োগও লোভনীয় হয়ে ওঠে। তাই কয়েক মাস ধরেই বিনিয়োগকারীরা সোনা ছেড়ে দেওয়ায় মূল্যবান এই ধাতুর দাম কমে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হলে জ্বালানির দাম বাড়বে, এতে বিশ্ব অর্থনীতিতে অস্থিরতা তৈরি হবে—এমন আশঙ্কা থেকেই বিনিয়োগকারীরা আবার সোনায় ঝুঁকছেন। স্টেইট স্ট্রিট ইন বসটনের সিনিয়র বিশ্লেষক মারভিন লহ বলেন, ‘পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে, এ কারণে মানুষ নিরাপদ বিনিয়োগে ছুটছে। মধ্যপ্রাচ্যে এই মুহূর্তে যা ঘটছে তা খুবই দুর্ভাগ্যজনক এবং হতাশাজনক। মনে হচ্ছে, পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে যাবে।’