নাগালের বাইরে মসলার দাম
রোজার ঈদের পর থেকেই দাম বাড়তে শুরু করেছে সবজিসহ মসলার দাম। মাসের ব্যবধানে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৩৫ টাকা। বিক্রেতারা বলছেন, বৃষ্টিতে পেঁয়াজের ফলন কিছুটা ক্ষতি হওয়ায় সরবরাহে প্রভাব পড়েছে। সমাধানে পেঁয়াজ আমদানির কথা বলেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। আমরা লক্ষ্য রাখছি। আপাতত ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। যদি দু-একদিনের মধ্যে দাম না কমে তাহলে পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
আরও অন্তত দুসপ্তাহ পর বাজারে আসতে পারে আমদানি করা আদা। তার আগে বাড়তি দামের বোঝা কমার সম্ভাবনা কম। বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকা কেজি দরে। চীন থেকে আমদানি করা ভালোমানের আদার দাম উঠেছে কেজিপ্রতি ৪০০ টাকায়। অথচ মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগেই আদার দাম ছিল বর্তমান দামের অর্ধেক। রমজানের ঈদের আগে বাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয়েছে ১৮০ টাকায়।
রসুনেও আছে, বাড়তি দরের হাওয়া। এসময়ের ব্যবধানে আমদানি করা রসুনের দাম কেজিপ্রতি ৪০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়।
প্রায় সব ধরনের সবজিই এখন সাধারণের নাগালের বাইরে। ৬০ টাকার নিচে মিলছে না কোনো সবজি। অজুহাত হিসেবে ঘূর্ণিঝড় মোখা ও কালবৈশাখী ঝড়ে ফসলের ক্ষতির কথা বলছেন, ব্যবসায়ীরা।
এ বছর চড়া দামের সবজির তালিকায় যোগ হয়েছে সচরাচর স্থিতিশীল থাকা আলুও। বাজারে আলুর দাম আরও বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুদিন আগেও ছিল ৩৫ টাকা।
রোজার ঈদের পর থেকেই ধীরে ধীরে আলুর দাম বাড়তে শুরু করে। তখন এ পণ্যটির দাম ছিল প্রতি কেজি ২৫ টাকা। অর্থাৎ এক মাসেরও কম সময়ের ব্যবধানে আলুর দাম কেজিপ্রতি বেড়েছে ১৫ টাকা।
তেলের পর এবার নতুন দামের চিনি এসেছে বাজারে। মুদি দোকানগুলোতে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১৯০ টাকা ও চিনি ১৩০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে এখনো চিনির সংকট কাটেনি। অধিকাংশ দোকানে পাওয়া যাচ্ছে না প্যাকেটজাত চিনি।
সপ্তাহের ব্যবধানে আরও ৫০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে মসলার দাম। কাঁচামরিচের দাম এখন আকাশছোঁয়া। বাজারে কাঁচামরিচের কেজি এখন ২০০ থেকে ২২০ টাকা। কয়েকদিনের ব্যবধানে জিরার দাম কেজিপ্রতি ৩০০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৮০০ থেকে ৯০০ টাকায়।
কেএম/এসএন