২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকার এডিপি অনুমোদন
সরকার ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি এডিপিতে ২ লাখ ৭৪ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি ঋণ হচ্ছে প্রায় ৯৫ হাজার কোটি টাকা। সরকারি অর্থ ১ লাখ ৬৯ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অর্থ ব্যয় করা হবে ১১ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১১ মে) জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের (এনইসি) সভায় এর অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন এনইসি চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সভাশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এসব তথ্য জানান।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এ সরকারের এটি শেষ এনইসি সভা। জনগণের অর্থ ব্যয়ে কৃচ্ছতা সাধন করতে হবে। তবে ব্যয় বন্ধ করা যাবে না। এইবার গুরুত্ব অনুযায়ী সবচেয়ে বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে রূপপুর পাওয়ার প্লান্টে। এরপর মাতারবাড়ি পাওয়ার প্লান্ট, মেট্রোরেল, পদ্মাসেতুতে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামীর এডিপিতে সংশোধিত এডিপির চেয়ে ৩৫ হাজার ৪৩৩ কোটি টাকা বা ১৫ দশমিক ৫৭ শতাংশ বেড়েছে। কারণ নতুন এডিপি ২ লাখ ৬৩ হাজার কোটি টাকা। এ ছাড়া বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার ৮৯টি প্রকল্পে ১১ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পরিকল্পনা সচিব সত্যজিত কর্মকার বলেন, নতুন এডিপিতে ১ হাজার ৩০৯টি প্রকল্পের বিপরীতে মোট ২ লাখ ৭৪ হাজার হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বরাদ্দ পেয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগে ৪০ হাজার ৫০৩ কোটি টাকা। এরপরে সড়ক বিভাগে ৩৪ হাজার ৬২ কোটি টাকা, বিদ্যুৎ বিভাগে ৩৩ হাজার ৭৭৫ কোটি টাকা, রেলপথ মন্ত্রণালয়ে প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগে ১৪ হাজার ৮৬ কোটি টাকা, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিভাগে প্রায় ১৩ হাজার কোটি, প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় ১২ হাজার কোটি এবং সেতু বিভাগের জন্য ৯ হাজার ৬৪ কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে আগের চেয়ে স্বাস্থ্য বিভাগে বরাদ্দ কমেছে ৩ হাজার ৩১ কোটি টাকা।
সচিব আরও বলেন, নৌ-পরিবহন, স্বাস্থ্য, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অগ্রগতি খুবই খারাপ। তাদের সক্ষমতা বাড়াতে হবে।
জেডএ/এসজি