সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪ | ৮ পৌষ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

'জ্বালানিতে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে'

সুষ্ঠু জ্বালানি নীতির মাধ্যমে জ্বালানি খাতে নাগরিকের অধিকার নিশ্চিত করতে হবে; কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) প্রণীত খসড়া জ্বালানি নীতির ওপর নাগরিক মতবিনিময় সভায় এমন মন্তব্য করেন বক্তারা।
 
ডিজিটাল বাংলাদেশ রূপান্তরে জ্বালানি মৌলিক অধিকারের রূপ পেয়েছে। রাষ্ট্রীয়ভাবে প্রত্যেক নাগরিকের জ্বালানির অধিকার নিশ্চিত করতে হবে। এজন্য একটি পরিছন্ন সুষ্ঠ নীতিমালার বিকল্প নেই; দাবি জানিয়ে শনিবার (৪ ডিসেম্বর) ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি চট্টগ্রামে এ নাগরিক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
 
সভায় সভাপতিত্ব করেন ক্যাব কেন্দ্রীয় ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম নাজের হোসাইন মতবিনিময় সভায় রিসোর্স পার্সন হিসাবে বক্তব্য রাখেন ক্যাবের জ্বালানি উপদেষ্ঠা অধ্যাপক ড. এম শামসুল আলম।
 
তিনি বলেন, জনগনের পক্ষে জ্বালানি নীতিমালা দাবি; আমরা প্রস্তাবনা করছি। এনার্জি ট্রানজেকশনে পরিবেশ সুরক্ষা নীতিমালা সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে। স্বাধীন দেশে জ্বালানি সম্পদ রক্ষার জন্য সংগ্রাম বিরল। আমরা সেই সম্পদ রক্ষা করতে পারিনি। আন্তর্জাতিক বাজারে জ্বালানির দাম কমলেও দেশীয় বাজারে দাম কমে না। তবে দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশি বাজারে দাম বেড়ে যায়। ন্যায্য দামের চেয়ে জ্বালানির বেশি দাম নেয়া হচ্ছে। সরকারকে বিদ্যুতে ১৫ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হচ্ছে। আমরা সেটা থেকে বের হতে পারিনি।
 
তিনি আরও বলেন, ভোক্তা স্বার্থ রক্ষার সময় সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলি নিস্ক্রিয় হয়ে থাকে। মন্ত্রণালয়ে যে লোকগুলোকে রাখা হয়েছে তারা যদি ব্যবসার অংশ হয়, তাহলেই সমস্যা। এ সুযোগে বেসরকারি খাত সুযোগ খুঁজবে। এই জ্বালানি খাত পরিচালনায় সরকারের অবস্থান পরিস্কার হওয়া উচিত। জ্বালানি অধিকার সুরক্ষিত হলে সব ব্যয় কমে যাবে। জাতীয় আয় বেড়ে যাবে। সামনে জ্বালানি এভাবে দাম বাড়লে আমরা লক্ষ্য থেকে ছিটাকে পড়বো।
 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. তানজিম উদ্দিন খান বলেন, জ্বালানি সমস্যা একটি রাজনৈতিক সমস্যা। এই সমস্যার কারণে আজ আমাদের অধিকার লুণ্ঠনের স্বীকার। মৌলিক অধিকারের বিবেচনায় জ্বালানি উপর অধিকার জন্মায়। এই অধিকার সঠিকভাবে বাস্তবায়ন সরকারের দায়িত্ব।
 
তিনি আরও বলেন, এলএনজি, সিএনজি খাতে বিশাল বিশাল কোম্পানি গড়ে উঠেছে। সেখানে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে পারিনি। জ্বালানি নীতির মাধ্যমে ভোক্তাদের অধিকার নিশ্চিতের সময় এসেছে।
 
ইউএসটিসির ভিসি প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, নেপালে বাড়ীর ছাদে সোলার প্যানেল বসিয়ে সেখান থেকে ন্যাশনাল গ্রিডে জ্বালানি সরবরাহ করা হচ্ছে। প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ কত টাকা খরচ পড়ছে সেটা আমরা জানি। কিন্তু পারমানবিক, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আমাদের অন্ধকারে রেখেছে। প্রতি কিলোওয়াটের দাম কত সেটা আমরা জানি না। নেপালে শতভাগ সোলারে চলে গেছে। জামার্নী সব পাওয়ার প্ল্যান্ট বন্ধ করে একটা সময়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে চলে যাবে।
 
তিনি আরও বলেন, আমার জ্বালানি আমি উৎপাদন করবো, সে অধিকার আমাকে দিতে হবে। শহরের লোকেরা বিদ্যুতের যে সুবিধা পায়, গ্রামের লোকেরাও সে সুবিধা দিতে হবে। বিদ্যুতের অপচয়ের দায় কে নিবে? সেটাও দেখতে হবে। দেশ ডিজিটাল হচ্ছে, বিদ্যুৎ শক্তি থাকবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি একমাত্র বাংলাদেশে সম্ভব।
 
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের সাবেক ডীন অধ্যাপক হোসেন কবীর বলেন, ভোক্তার অধিকার, জনগণের সম্পদ লুটের কথা আমরা বলছি। এলএনজি, সিএনজি গ্যাসের কথা বলা হচ্ছে। আধুনিক এই সময়ে জ্বালানি অত্যাবশ্যকীয় হয়ে উঠেছে। এটা সরকারের আওতায় থাকতে হবে। রাষ্ট্রের ভোক্তার অধিকার এটা আর  রাষ্টই সেটা লুণ্ঠন করছে। ভোক্তারা যে অধিকার নিশ্চিত করার কথা তারা সেটা ব্যত্যয় ঘটাচ্ছে। রাষ্ট্রের বাহিনী আমাদের সুরক্ষা দিবে, আজকে তারা ব্যবসা করছে। সবাই ব্যবসা করলে ইকোসিস্টেমের কি হবে?
 
তিনি বলেন, রাষ্ট্রের দায়িত্ব আমার অধিকার সুরক্ষা দেয়ার, সে কাজ করছে না। যারা দায়িত্বে তারা নিজেরা ব্যবসা করছে। জনগণকে কথা বলতে দিতে হবে।
 
চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন সাবেক সভাপতি এম নাসিরুল হক বলেন, আমাদের উর্বর মাটি, সুর্যের আলো আছে। এখানে বীজ বুনে দিলেই ফসল হয়। আমাদের ছেলে মেয়েরা অনেক উদ্যমী। আমাদের মধ্যে ঐক্যমত আছে। স্বাধীনতার সময় কাউকে ডাকতে হয়নি। একটা ম্যাসেজ পাঠিয়ে কাজ হয়োছে।
 
তিনি বলেন, ব্যক্তি মালিকানায় বিদ্যুৎ খাত থাকতে পারে না। ৫০ পয়সায় কাপ্তাই থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে ১৮ টাকায় কেন ব্যক্তি পর্যায় থেকে বিদ্যুৎ কিনছে? ব্যক্তিরা পারলে সরকার পারে না কেন? দুর্নীতি কমানো দরকার। জাতীয় সুপারিশ ব্যতিত জ্বালানির দাম না বাড়ানো দরকার।
 
সরকারি হাজী মোহাম্মদ মহসিন কলেজের রসায়ন বিভাগের সাবেক অধ্যাপক পরিবেশবিদ ড. ইদ্রিস আলী বলেন, বাহাত্তর সালে খাদ্য, আবাসনসহ অনেক সংকট ছিল। সেটা থেকে বেরিয়ে এসেছি আমরা। দেশ শেষ হয়ে যায়নি। অনেক সূচকে পৃথিবীতে আমরা এক নম্বরে আছি। সুশাসন ও গণতন্ত্রের ঘাটতি আছে। গণতন্ত্রের ঘাটতি থাকলে অনেক সমস্যা হয়। এখনো আশাহত হওয়ার কিছু নেই। জাতীয় আয় বাড়ছে, আমরা এগিয়ে যাব।
 
চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ বলেন, জ্বালানির ব্যাপারে সুষ্ঠু-সুন্দর নীতিমালা এখনো হয়নি। এখাতে ব্যবসায়ীদের সুরক্ষা দেয়া হচ্ছে বলে যে অভিযোগ সেটা ঠিক নয়। এলপিজির ক্ষেত্রে আমরা দেখি ৫৪টি কোম্পানির মধ্যে মাত্র ৪/৫টি কোম্পানি ব্যবসা করছে। বাকিরা দেওলিয়ার পথে। এখনো এটা নিয়ে কোন নীতিমালা হয়নি। বাস্তব সম্মত প্রস্তাবনা নিয়ে জ্বালানি অধিকার নিশ্চিতে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
 
মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে এস এম নাজের হোসাইন  বলেন, জ্বালানি নীতি এবং নাগরিক অধিকার দরকার সবাই সেটাতে একমত। জ্বালানি নীতি বাস্তবায়নের দাবিতে ঢাকার পর চট্টগ্রামে প্রথম আন্দোলনের সূচনা হলো। এই নীতিমালা কার্যকর করতে হবে।
 
তিনি বলেন, আমাদের মধ্যে হতাশা থাকবে, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ অনেক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন হয়েছে। মৌলিক অধিকারের মধ্যে জ্বালানি জড়িত। রাষ্ট্রিয়ভাবে নীতি না থাকলে অধিকার লঙ্ঘিত হবে। নাগরিকরা চুপ থাকলে ব্যবসায়ীরা দখলে নিবে। নাগরিকদের কথা বলতে হবে। সত্যিকার অর্থে জ্বালানিতে জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
 
ক্যাব চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক কাজী ইকবাল বাহার ছাবেরীর সুচনা বক্তব্যে উন্মুক্ত আলোচনায় অংশনেন প্রাণ-প্রকৃতি মঞ্চের শমসের আলী, ন্যাপের সাংগঠনিক সম্পাদক মিথুল দাশ গুপ্ত, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের এস এম সোহরাব উদ্দীন, প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সঞ্জয় বিশ্বাস, গণসংহতি আন্দোলনের হাসান মারুফ রুমি, প্রকৌশলী শাহনেওয়াজ চৌধুরী, ইউএসটিসির ডীন প্রফেসর দেব প্রসাদ পাল, প্রকৌশলী সনাতন চৌধুরী, উন্নয়ন কর্মী ওবায়দুর রহমান, ক্যাব দক্ষিন জেলা সভাপতি আবদুল মান্নান, ক্যাব ফেনী জেলার সাধারন সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর নান্টু, ক্যাব যুব গ্রুপের সভাপতি চৌধুরী কেএনএম রিয়াদসহ বিভিন্ন পেশা ও শ্রেণির প্রতিনিধিরা অংশনেন।
 
কেএফ/
 
 
Header Ad
Header Ad

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা। ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের হাতে ধরা পড়েছেন আবুল হাসনাত আদনান নামে এক ছাত্রলীগ নেতা।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলামোটরের রূপায়ণ ট্রেড সেন্টারের ওয়াটারফল রেস্টুরেন্ট থেকে শিক্ষার্থীদের হাতে আটক হন তিনি।

আটক আবুল হাসনাত আদনান জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত আদনান।

জানা যায়, নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের এই নেতা রেস্টুরেন্টে বিয়ে খেতে এসেছে এমন খবর পেয়ে সেখান থেকেই তাকে ধরেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা। খবর পেয়ে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে আসেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা জানান, সে জুলাই হামলায় জড়িত ছিল এবং আন্দোলনের সময় হামলার বিভিন্ন তথ্য-প্রমাণ তার মোবাইলে পাওয়া যায়৷ আন্দোলনের সময় গুলি করেছে বলেও জানান শিক্ষার্থীরা। তার মোবাইলে শিক্ষার্থী হত্যার আলামত পাওয়া গেছে এবং বর্তমানে ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে বিভিন্ন গুজব ছড়ানোর আলামত পাওয়া যায় বলেও জানান তারা।

Header Ad
Header Ad

মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার

বাংলাদেশ জামাত-ই ইসলাম তাদের ফেইজবুক পেইজে এক বিবৃতিতে এসব জানায়। ছবি: সংগৃহীত

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তার ঘটনায় জড়িতদের বহিষ্কার করেছে জামায়াতে ইসলামী। এ ঘটনায় নিন্দাও জানিয়ে জড়িতদের শাস্তির দাবি করা হয় দলটির পক্ষ থেকে।

সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামীর প্রচার সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

বিবৃতিতে বলা হয়, জামায়াতের কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার আমির অ্যাডভোকেট মু. শাহজাহান, জেলা সেক্রেটারি ড. সরওয়ার উদ্দিন ছিদ্দিকী, চৌদ্দগ্রাম উপজেলা আমির মু. মাহফুজুর রহমান ও উপজেলা সেক্রেটারি মু. বেলাল হোসাইন যৌথভাবে বলেন, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হাই কানুকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা আমাদের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। মুক্তিযোদ্ধারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান। জামায়াতে ইসলামী মুক্তিযোদ্ধা ছাড়াও দেশের সাধারণ কোনো নাগরিককে হেনস্তা করা সমর্থন করে না। আমরা এ ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানাই।

নেতৃবৃন্দ বলেন, যারা এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত তারা জামায়াতে ইসলামীর কোনো পর্যায়ের নেতা বা কর্মী নয়। জামায়াতের কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়ার বিষয়টি সমর্থন করে না। স্থানীয়ভাবে খোঁজখবর নিয়ে জানা গেছে, আবদুল হাই কানু তার এলাকায় হত্যা মামলাসহ ৯টি মামলার আসামি। আমরা মনে করি, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।

তারা আরও বলেন, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ঢাকায় থাকা আবুল হাশেম এবং দুবাই ফেরত অহিদুর রহমানের শাস্তি দাবি করছি। পাশাপাশি আমরা সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, আইন নিজের হাতে নেওয়ার কোনো অধিকার কারো নেই। আমরা আবুল হাশেম, অহিদুর রহমানসহ এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত সকলের শাস্তি দাবি করছি এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে সমর্থক হওয়া সত্ত্বেও তাদের জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করছি।

প্রসঙ্গত, গত রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানুকে গলায় জুতার মালা পরিয়ে হেনস্তা করেন স্থানীয় কয়েকজন। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের কুলিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ওই এলাকার জামায়াতের সমর্থক প্রবাসী আবুল হাসেমের নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একদল দুর্বৃত্ত এ ন্যাক্কারজনক ঘটনা ঘটান। এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিষয়টি নিয়ে দেশজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই কানু লুদিয়ারা এলাকার বাসিন্দা। তিনি স্থানীয় আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হকের রোষানলে পড়ে দীর্ঘ ৮ বছর এলাকা ছাড়া ছিলেন তিনি। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর বেশ কয়েকবার তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়।

Header Ad
Header Ad

নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী

সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। ছবি: সংগৃহীত

বিদেশী ব্র্যান্ডের নকল সিগারেট এবং নকল ব্র্যান্ড রোল লাগিয়ে বিক্রির ব্যবসায় জড়িত সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)’র সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স সেল (সিআইসি) এই সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন এনবিআর চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান বরাবর জমা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

এনবিআরের প্রতিবেদন বলছে, নকল সিগারেট তৈরি এবং ব্যান্ডরোল তৈরির সঙ্গে জড়িত ২০টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো অন্যতম বৃহৎ।

এ দুই প্রতিষ্ঠান মিথ্যা ঘোষণায় কাঁচামাল আমদানি করে এবং কিশোরগঞ্জ ও চট্টগ্রামের চকোরিয়ার কারখানায় নকল সিগারেট তৈরি করে। পরে নকল সিগারেট দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি হয়। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের তামাক ব্যবসায় বিনিয়োগ রয়েছে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী নওফেলের। এ ব্যবসার আয়ের একটি অংশ প্রিমিয়ার বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাংক হিসেবে জমা দেয়া হতো। নওফেল এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান।

নাম প্রকাশ না করা শর্তে তদন্ত সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের প্রতিবেদন এনবিআর এ জমা দেয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ এনবিআর’ই গ্রহণ করবে।’

একটি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক প্যানেল মেয়র আবদুস সবুর লিটনের মালিকানাধীন দুই প্রতিষ্ঠান বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো নকল সিগারেট তৈরি এবং নকল ‘ব্যান্ড রোল’ লাগিয়ে বিদেশী বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সিগারেট তৈরির হোতা।

জানা গেছে, বিজয় ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির ৪০ শতাংশ শেয়ারের মালিকানা সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের। বিজয় ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো এবং তারা ইন্টারন্যাশনাল টোব্যাকো প্রতিষ্ঠার পর থেকে কমপক্ষে ১০ হাজার টন সিগারেট তৈরির কাঁচামাল সংগ্রহ করেছে সিগারেটের কাঁচামাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে। যা দিয়ে ৫ কোটি সিগারেটের শলাকা তৈরি সম্ভব। এখানে সরকার ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক ও অন্যান্য খাত বাবদ রাজস্ব হারিয়েছে কমপক্ষে পাঁচ হাজার কোটি টাকা।

গত ৮ অক্টোবর এই বিষয়ে একটি গণমাধ্যম ‘৫ হাজার কোটি লোপাটে এক জুটি’ শীর্ষক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করে।

Header Ad
Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

বিয়ের দাওয়াত খেতে এসে আটক ছাত্রলীগ নেতা
মুক্তিযোদ্ধাকে হেনস্তার ঘটনায় জামায়াতের ২ সমর্থক বহিষ্কার
নকল সিগারেট ব্র্যান্ডের ব্যবসায় জড়িত ছিলেন সাবেক শিক্ষামন্ত্রী
২৪ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে গুচ্ছ পদ্ধতি রাখতে জরুরি নির্দেশনা  
শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়ে ঢাকার দেওয়া চিঠি গ্রহণ করেছে দিল্লি
‘মুজিব’ সিনেমার পরিচালক শ্যাম বেনেগাল মারা গেছেন
হেনরী ও তার স্বামীর ৪৯ ব্যাংক হিসাবে লেনদেন পৌনে ৪ হাজার কোটি
স্বর্ণের দাম ভরিতে ১ হাজার ২৪৮ টাকা কমলো
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক প্রকল্প বাতিল
ভোটাধিকার আদায়ে ৫ আগস্টের মতো রাস্তায় নামতে হবে: মির্জা ফখরুল
শিল্পকলার সাবেক ডিজি লাকীসহ ২৪ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মিউজিক ফেস্ট মঞ্চে বিপিএল উদ্বোধন করলেন ক্রীড়া উপদেষ্টা  
দর্শনা সীমান্তে ভারতে পাচারকালে দুই নারী উদ্ধার; পাচারকারী আটক
১৫ বছরে বিএনপি আন্দোলনে ছিল বলেই শেখ হাসিনা পালিয়েছে: ফখরুল
দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ল
শিক্ষার্থীদের গ্রাফিতিতে লেখা জয় বাংলা মুছে দিলো ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল
বাংলাদেশের কাছে ত্রিপুরা ২০০ কোটি রুপি পাওনা রয়েছে: মুখ্যমন্ত্রী
হাসিনা বাংলাদেশে আসবে কেবল ফাঁসিতে ঝোলার জন্য: নাহিদ
চাঁদপুরে জাহাজ থেকে ৫ মরদেহ উদ্ধার: চিকিৎসাধীন আরও ২ জনের মৃত্যু  
সরকারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি এস আলমের