কর ছাড় ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হবে: এনবিআর
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, এনবিআর যে করছাড় বা সাপোর্ট দিয়ে আসছে, সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ধাপে ধাপে কমিয়ে আনা হবে, যাতে আমাদের উৎপাদনে ধস না নামে।
আগামী ১০ ডিসেম্বর ভ্যাট দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর সেগুনবাগিচায় এনবিআরের সম্মেলন কক্ষে এ সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
১০ ডিসেম্বর ১২তম ভ্যাট দিবস উপলক্ষে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে সেমিনার ও সেরা ভ্যাটদাতাদের সম্মাননা অনুষ্ঠিত হবে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, সবাই কর অব্যাহতি বললেও আমরা সেটাকে লজিস্টিক সাপোর্ট বলে থাকি। এ ধরনের অর্থনৈতিক পলিসি প্রতিটি দেশেই রয়েছে।
আইএমএফ যেটা বলে আসছে, সেটা হলো ভর্তুকি কমানো। নগদ প্রণোদনা ও ভর্তুকি এনবিআরের বিষয় নয়। ভর্তুকি আসলে এক ধরনের সাপোর্ট। আমরা ভর্তুকিকে সাপোর্টের পর্যায়ে নিয়ে যাব। আমরা এসব সাপোর্ট ধাপে ধাপে কমিয়ে আনব, যাতে আমাদের উৎপাদনে ধস না নামে। সেটা আইএমএফও জানে।
আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি। একসঙ্গে সবকিছু মানা যাবে না। একইভাবে এনবিআরও যেখানে করছাড় কিংবা সাপোর্ট দিয়ে আসছে, সক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে সেখানে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। প্রতি বছর বাজেটে সাপোর্ট দিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে।
ভ্যাট অটোমেশন কার্যক্রমের ব্যাপারে রহমাতুল মুনিম বলেন, এক্ষেত্রে ভ্যাট দাতা ও এনবিআরের কর্মকর্তাদের অভ্যস্ততা অন্তরায়। ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণ ভ্যাটদাতারা এখনো অভ্যস্ত হয়ে ওঠেননি। বিশ্ব বা অভ্যন্তরীণ রাজনীতির সঙ্গে রাজস্ব আহরণের সম্পর্ক থাকেই। এমন পরিস্থিতিতে রাজস্ব আহরণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়। আমরা এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণেও রাজস্ব আহরণে চ্যালেঞ্জ তৈরি হয়েছে। আমরা রাজস্ব আহরণের প্রবৃদ্ধি ধরে রাখার চেষ্টা করছি। যাতে রাজস্ব বিভাগের ওপর দোষ না আসে। এনবিআরের আহরিত অর্থের ৩৭ শতাংশেরও অধিক আহরিত হয় ভ্যাট খাত থেকে। গতবারের চেয়ে এখন পর্যন্ত রাজস্ব আদায়ে ১৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি রয়েছে। ভ্যাট আদায়ে প্রবৃদ্ধি ১৭ শতাংশের বেশি।
জেডএ/এমএমএ/