শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪ | ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

বিশেষ সাক্ষাৎকার

‘অনেক ক্ষেত্রে চীনের চেয়েও এগিয়ে বাংলাদেশ’

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম

যুদ্ধ বিধ্বস্ত ও ধ্বংস স্তুপের বাংলাদেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করে বিশ্বকে তাক লাগিয়েছে। কীভাবে এটা সম্ভব হয়েছে বিশেষ সাক্ষাৎকারে তার আদ্যপান্ত জানান পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। তার সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন ঢাকাপ্রকাশ-এর সিনিয়র রিপোর্টার জাহাঙ্গীর আলম।

ঢাকাপ্রকাশ: ১৯৭২ সালের বাংলাদেশ ও আজকের বাংলাদেশকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করেন?

ড. শামসুল আলম: স্বাধীনতার সময় দখলদার বাহিনীরা বাংলাদেশের অবকাঠামোসহ সব জায়গা ধ্বংস করে দেয়। তাই যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশকে পুনরুদ্ধার করতে অল্প সময়ে পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা করেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বিধ্বস্ত বাংলাদেশে ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে এসে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য দেশ পুনর্গঠনে যুদ্ধের ২১ দিনের মধ্যে পরিকল্পনা কমিশন তৈরি করেন । অত্যন্ত শক্তিশালী পরিকল্পনা কমিশন করেছিলেন অর্থনীতিবিদদের নিয়ে। যা ভারত ৩ বছর পর, পাকিস্তান ৬ বছর পর করেছিল। তিনি কতটা গুরুত্ব দিয়েছিলেন এটা দেখলেই বুঝা যায়। সংবিধান তৈরি, নির্বাচন প্রদান, বিএডিসি, রাইস রিসার্চ ইনস্টিটিউটসহ অনেক প্রতিষ্ঠান সাড়ে তিন বছরে গড়ে তুলেছিলেন তিনি। কৃষিক্ষেত্রে যে বিপ্লব, তার ভিত্তি বঙ্গবন্ধুই গড়েছিলেন।

কাজেই সে সময়ের তুলনায় আমূল পরিবর্তন আসে বাংলাদেশে। মাথাপিছু আয় ৯০ ডলার থেকে ২৫৫৪ ডলারে এসে গেছে। দরিদ্রতার হার ৮৪ শতাংশ থেকে ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। দরিদ্র দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশ হয়েছে। তার মধ্যে গত ১৩ বছরে যে অর্জন তা উল্লেখযোগ্য। অনেক দূর এগিয়েছে দেশ। অগ্রগতির কাল বলা যায় একে। কারণ, ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। কাজেই ৭২ সালের বাংলাদেশ আর আজকের বাংলাদেশ এক নয়। এক কথায় সব সূচকে অগ্রগতি হয়েছে দেশের। দক্ষিণ এশিয়ায় প্রথম হয়েছে।

ঢাকা প্রকাশ: যুদ্ধ পরবর্তী একটি দেশ অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হতে যেসব প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হয় আমরা তার কতটুকু পেরেছি?

ড. শামসুল আলম: অত্যন্ত বলিষ্ঠভাবে প্রথম পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশকে এগিয়ে নিতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। ৫টি মৌলিক অধিকারকে গুরুত্ব দিয়ে এগিয়ে ছিলেন তিনি। কিন্তু ১৯৭৫ সালে তাকে হত্যা করে সবকিছু তছনছ করে দেয় ষড়যন্ত্রকারীরা।

তার ফলে আবার থমকে যায় দেশ। তখন পরিকল্পনা হতো কিন্তু বাস্তবায়ন হতো না। এর ফলে মাথাপিছু আয় ২৩৮ ডলার থেকে আবার নেমে যায়। যা ৮৮ সালে আবার সে জায়গায় আসে। বিদেশিদের সঙ্গে সমঝোতা ও আনুকূল্যে তারা দেশ পরিচালনা করত। ১৯৭৫ থেকে শুরুটা হয়েছে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকভাবে। স্বৈরশাসনসহ বিভিন্ন কারণে ৮০ এর দশকে সাড়ে ৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এরপর বিভিন্ন ঘটনার পটপরিবর্তনে ৯০ এর দশকে তার ধারাবাহিকতা থেকে যায়। কিন্তু ১৯৯৫ সালের আগে কোন পঞ্চবাষিকী পরিকল্পনা হয়নি। অর্থনীতিতে কাঠামোগত পরিবর্তন আনে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফ-এর প্রেসক্রিপশন দিয়ে। বলা যায় তেমন পরিকল্পনা ছিল না। কিন্তু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৫ম পঞ্চবাষিকী আমরা পাই ১৯৯৬ সালে। বাড়তে থাকে উন্নয়নের ধারা। অর্থনীতি পুনরুজ্জীবিত হতে থাকে। এর পর আসে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কিন্তু তারা বিতর্কিত ছিল।

২১ শতকেও অস্থিতিশীল আধা-সামরিক সরকারের আমল শুরু হয়। ২০০২ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা ছিল না। কারণ, সংবিধানের ব্যত্যয় ঘটিয়ে সময় পার করা হয়েছ সে সময়। দেশ উদ্দেশ্যহীন ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টি ও অন্তর্দৃষ্টির নেতৃত্বের ফলে বলা যায় প্রথম পঞ্চবার্ষিকী আনা হয়। নির্বাচনের আগে শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ, প্রেক্ষিত ২০২১ প্রণয়ন করেন। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়া হয়। ২০১০ সালেই বলা হয়েছিল বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে। সাড়ে ৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বেড়ে হয়েছে ৭ শতাংশ ।

ষষ্ঠ পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনা (২০১১-১৫) অনুযায়ী জিডিপির প্রবৃদ্ধি, শিক্ষার হার বৃদ্ধি, বেশি বিদ্যুৎ উৎপদান, বিদেশে লোক পাঠানোসহ সব ক্ষেত্রে উদ্যোগ নেওয়া হয়। সেটা বাস্তবে রূপ নিয়েছে, দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম হয়েছে প্রবৃদ্ধিতে, ৮ দশমিক ১৫ শতাংশ অর্জন করা সম্ভব হয়েছে। পরিকল্পনার সঙ্গে মিল রেখে উদ্যোগ নেওয়ায় পাঁচ লাখের টার্গেট ধরা হলেও সাত লাখ করে বিদেশে লোক পাঠানো হয়েছে। রিজার্ভ হুহু করে বেড়েছে, করোনার আগে ৪৩ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর দূরদৃষ্টির জন্য এই সাফল্য অর্জন সম্ভব হয়েছে। এর ফলে করোনার আঘাত মোকাবেলা করে আবারও প্রবৃদ্ধির গতি বাড়ানো সম্ভব হয়েছে। উৎপাদনে আঘাত হানেনি। আমেরিকা, ইউরোপ ও ভারতে নেতিবাচক প্রবৃদ্ধি হলেও বাংলাদেশে এর প্রভাব পড়েনি।

ঢাকা প্রকাশ: বিশ্বের অন্যান্য যেসব দেশ রোল মডেল তাদের সঙ্গে তুলনা করলে আমরা কি তাদের মতোই এগিয়েছি?

ড. শামসুল আলম: পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল বাংলাদেশ। ভিয়েতনামের সঙ্গে কিছুটা তুলনা করতে পারি। রফতানিতে এগিয়ে আছে। তবে জিডিপিতে বাংলাদেশের কাছেও নেই। অনেক উন্নত হলেও চীনকেও এর সঙ্গে আনা যায় না। কারণ, প্রকাশ্যে জনমত প্রকাশের সামান্যতম সুযোগ নেই সে দেশে। যা বাংলাদেশে সম্ভব হয়েছে। গণতান্ত্রিকভাবে সবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে। যেটা চীন ও ভিয়েতনামে সুযোগ নেই। বর্তমানে বাংলাদেশকে অনেকে অনুসরণ করছে।

ঢাকা প্রকাশ: স্বাধীনতার ৫০ বছর পর অর্থনীতিতে বাংলাদেশের অগ্রগতির খাত গুলো কী কী?

ড. শামসুল আলম: প্রবৃদ্ধির অনেক অগ্রগতি হয়েছে। কারিগরি শিক্ষার অগ্রগতি হয়েছে, ১০৮টি বিশ্ববিদ্যালয় হয়েছে। মুত্যৃ হার কমেছে। নারী শিক্ষার হারও বেড়েছে। বিশাল অগ্রগতি হয়েছে। ছাত্রী বেশি মাধ্যমিকে। মাথাপিছু আয় আড়াই গুণ হয়েছে গত ১৩ বছরে। সামজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও গুরুত্ব দেওয়ায় ব্যাপক অগ্রহতি হয়েছে।

ঢাকা প্রকাশ: দারিদ্র বিমোচন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে ৫০ বছরে আমাদের প্রাপ্তি কতটুকু?

ড. শামসুল আলম: ২০০৫ সালে দারিদ্রের হার ৪০ শতাংশ থাকলেও বর্তমানে তা ২০ শতাংশে নেমে এসেছে। হত দরিদ্রও অর্ধেক কমে ১০ শতাংশে এসেছে। রিজার্ভ বেড়েছে অনেক, ৫০ বিলিয়ন ডলার ছুঁইছুঁই করছে। সব মিলে বলা যায় বাংলাদেশ বিশ্বে বিস্ময়।

ঢাকা প্রকাশ: স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির বিষয়ে আপনার মন্তব্য কী?

ড. শামসুল আলম: আমরা থেমে নেই। উন্নয়নের জন্য কাজ করা হচ্ছে। রূপকল্প-২০২১ প্রণয়ন করে ২০৩১ মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ ও ২০৪১ সালে উন্নত দেশে পরিণত হবে বাংলাদেশ। ১০০ বছরের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে 'বদ্বীপ' পরিকল্পনায়। কাজেই বলা যায় ২০২৫ সালে দুই অংকের অর্থ্যাৎ ১০ শতাংশের প্রবৃদ্ধিতে পৌঁছতে পারবে বাংলাদেশ।

 

জেডেএ/এমএমএ/

 

 

Header Ad

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু

ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালী গ্রামে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

মৃত তিন শিক্ষার্থী হলেন- মোজাম্মেল হোসেন নাঈম (২৪), মোস্তাকিম রহমান মাহিন (২২) ও জোবায়ের আলম সাকিব (২২)।

জানা গেছে, শনিবার সকালে গাজীপুর মহানগরের বোর্ড বাজার এলাকার ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজির মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের প্রায় ৪৬০ জন শিক্ষার্থী বিআরটিসির ৬টি ডাবল ডেকার বাস ও ৩টি মাইক্রোবাসে করে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উত্তর পেলাইদ গ্রামের মাটির মায়া ইকো রিসোর্টে যাওয়ার পরিকল্পনা করেন। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক থেকে বাসগুলো গ্রামীণ আঞ্চলিক সড়ক ধরে রিসোর্টের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় উত্তর পেলাইদ গ্রামের উদয়খালী বাজারে পৌঁছালে বিআরটিসির ডাবল ডেকার একটি বাস পল্লী বিদ্যুতের তারের স্পর্শে আসে। এ সময় বাসটি বিদ্যুতায়িত হলে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। তাদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক জাকিউল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, তিনজনকেই মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। আহত সংখ্যা এখনও নিশ্চিত হতে পারিনি। আমরা জরুরি বিভাগে যাচ্ছি।

Header Ad

কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া

ছবি: সংগৃহীত

মিল্ক বিউটিখ্যাত দক্ষিনি অভিনেত্রী তামান্না ভাটিয়া নতুন বছরে তার জীবনের একটি বিশেষ অধ্যায়ে পা রাখতে যাচ্ছেন। খলচরিত্র করে আলোড়ন তোলা অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে তার প্রেমের গুঞ্জন চলছিল অনেক দিন ধরেই। তবে এ নিয়ে কেউই মুখ খোলেননি। এবার তাদের সম্পর্ক নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন তামান্না। এমনকি ২০২৫ সালে সাতপাকে বাঁধা পড়ার সম্ভাবনা আছে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন।

সম্প্রতি ভারতীয় গণমাধ্যমের এক প্রোমোশনাল ইন্টারভিউতে তামান্না তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে জানান, প্রেমের সম্পর্কের জন্য জীবনে দুবার হৃদয় ভেঙেছে তার। সেই সময়টা তামান্নার জন্য খুবই ভয়াবহ ছিল।

তিনি আরও জানান, তিনি খুব কম বয়সে একজন ছেলের সঙ্গে প্রথম ভালোবাসায় জড়িয়েছিলেন এবং তার দ্বিতীয় সম্পর্কটি ছিল তার অভিনয় ক্যারিয়ারের শিখরে থাকা অবস্থায়। তবে সে সময় তিনি অনুভব করেন যে, সেই ছেলে তার সঙ্গে দীর্ঘস্থায়ী সম্পর্কের জন্য সঠিক ব্যক্তি নয়।

তবে এত কিছুর পরও বাহুবলিখ্যাত তামান্না প্রেমিকের নাম প্রকাশ করেননি। এর আগে গুঞ্জন ছিল যে, তিনি ভারতীয় অভিনেতা বিজয় ভার্মার সঙ্গে ডেট করছেন। পাপারাজ্জিদের ক্যামেরায় বহুবার ফ্রেমবন্দি হয়েছেন তারা। যদিও নিজেদের এ সম্পর্ক আড়ালে রাখতে বদ্ধপরিকর দুজনই। এখন দেখার অপেক্ষা তামান্না জীবনসঙ্গী হিসেবে কাকে বেছে নেন।

সবশেষ তামান্না ভাটিয়াকে আইটেম গার্ল হিসেবে দেখা যায় অমর কৌশিক পরিচালিত ‘স্ত্রী ২’ সিনেমায়। এ সিনেমায় আরও অভিনয় করেন রাজকুমার রাও, শ্রদ্ধা কাপুর, পঙ্ক ত্রিপাঠিসহ আরও অনেকে।

Header Ad

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...

ছবি: সংগৃহীত

পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকার বিনিময়ে নয় মাসের শিশু সন্তানকে দত্তক দেন শরীফা খাতুন নামে মানসিক ভারস্যমহীন এক মা। বিষয়টি জানতে পেরে গতকাল শুক্রবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ওই নবজাতককে উদ্ধার করে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিয়েছেন সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা।

সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশের সহায়তায় ওই শিশুটিকে তার মায়ের কোলে ফেরত দেন।
মানসিক ভারসাম্যহীন নারী শরীফা খাতুন বোদা উপজেলার ময়দানদিঘী ইউনিয়নের জেমজুট মুসলিমবাগ এলাকায় তিন সন্তানকে নিয়ে ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে সংসার চালান।

প্রতিবেশী ও পরিবারের সদস্যরা জানান, গত এক বছর আগে স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় শরীফা খাতুনের। এর পর সন্তানদের নিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চলত তার পরিবার।

গত মঙ্গলবার নিজের ৯ মাসের কন্যা সন্তানকে পঞ্চগড় পৌরসভার দক্ষিণ তেলিপাড়া এলাকায় একটি হলুদ খেতে রেখে ভিক্ষা করতে যান শরীফা খাতুন। এ সময় শিশুটিকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে স্থানীয় রুনা আক্তার নামে এক নারী; একইসঙ্গে শরীফাকেও নিজ বাড়িতে নেন তিনি। রুনা নামে ওই নারীর নিজ সন্তান না থাকায় শিশুটিকে দত্তক নিতে চাইলে, ৫০০ টাকার বিনিময়ে রেখে চলে যান শরীফা।

এরপর চার দিন পর অবশেষে পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় নিজ পরিবারের কাছে ফিরেছে শিশুটি। বর্তমানে শিশুটিকে দেখভাল করছেন মানসিক ভারসামহীন শরীফার ১৬ বছরের বড় ছেলে নয়ন।

এ বিষয়ে শরীফার ছেলে নয়ন ইসলাম বলেন, গত চার দিন আগে মা বোনকে নিয়ে হঠাৎ পঞ্চগড়ে যান। পরে একসময় বাড়িতে একাই এসে ঘরে তালা লাগিয়ে বন্দি অবস্থায় থাকতে শুরু করেন। বোন কোথায় তা জানতে চাইলে কোনো কিছুই জানাচ্ছিলেন না।

পরে অনেক কৈশলে বোনের অবস্থান জানতে পারি। এরপর সেই বাড়িতে গিয়ে বোনকে ফেরত চাইলে তারা দিতে অস্বীকার করেন। আরও জানতে পারি মা বোনকে নেবেন না বললে তারা ৫০০ টাকা মাকে খেতে দিয়ে একটা কাগজে স্বাক্ষর করে নেন। শুক্রবার সাংবাদিক ও পুলিশ এসে তদন্ত করে আমার বোনকে আনতে নির্দেশ দিলে মাকে সঙ্গে নিয়ে বোনকে বাড়িতে নিয়ে আসি।

স্থানীয় মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, অনেক আগে থেকে ওই নারীকে দেখছি। তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করে পরিবার চালান। তবে কয়েকদিন আগে নিজের সন্তানকে মানুষের কাছে দিয়ে প্রায় পাগল হয়ে বেড়াচ্ছিলেন।

কাজলা নামে স্থানীয় এক নারী বলেন, সকালে শরিফা আমার কাছে এসে আমার পা জড়িয়ে ধরেছেন আর বলেছেন আপু যেভাবেই পারো আমার মেয়েকে এনে দাও।

প্রতিবেশীরা বলেন, স্বামী না থাকায় পরিবারটা চালাতে শরীফা খাতুন ভিক্ষা করতেন। এর মাঝে এমন কাণ্ড ঘটে তিনি পাগল হয়ে গেছেন। তার তিনটা সন্তান। একটা ছেলে ও দুটি মেয়ে। এদের কি হবে আমরা জানি না। তবে সরকারি সহায়তা পেলে তাদের গতি হতো।

এ বিষয়ে পঞ্চগড় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন বলেন, আগের বিষয়টি আমাদের কেউ জানায়নি। খবর পাওয়ার পর পঞ্চগড় সদর থানার ওসিকে জানানো হয়। বিষয়টি পুলিশের হস্তক্ষেপে সুষ্ঠু সমাধান করে ভারসাম্যহীন নারীর কাছে তার বাচ্চা ফেরত দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও জানান, যেহেতু ওই নারীর বাড়ি বোদা উপজেলায়, সেখানকার ইউএনওকে জানিয়ে সরকারি সহায়তার ব্যবস্থা করা হবে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

গাজীপুরে পিকনিকের বাসে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
কবে বিয়ে করবেন জানালেন তামান্না ভাটিয়া
পঞ্চগড়ে ৫০০ টাকায় সন্তান বিক্রি, অতঃপর যা ঘটল...
অ্যান্টিগায় প্রথম দিন শেষে স্বস্তিতে টাইগাররা
সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারালেন পরীমণির প্রথম স্বামী
বিচারের আগে আ.লীগের মাঠে থাকার সুযোগ নেই: উপদেষ্টা নাহিদ
মাকে হত্যার পর থানায় হাজির ছেলে
৮ ক্রিকেটারসহ ৯ জনকে নিষিদ্ধ করলো বিসিবি
উপদেষ্টাদের যাচ্ছেতাই কর্মকাণ্ড মেনে নেওয়া হবে না: রিজভী
ভিসা কবে উন্মুক্ত করবে সেটা ভারতের নিজস্ব ব্যাপার: হাসান আরিফ
জুরাইন রেলক্রসিং ছাড়লেন রিকশাচালকরা, ৪ ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল শুরু
পাঁচ দেশে যাওয়ার ব্যাপারে বাংলাদেশিদের জন্য সতর্কতা
সাফজয়ী নারী ফুটবলার আইরিনকে নওগাঁয় সংবর্ধনা
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বেনাপোলে সীমান্ত থেকে বিপুল পরিমাণ ফেনসিডিল উদ্ধার
পুলিশ-অটোরিকশা চালক সংঘর্ষ, ঢাকা-পদ্মা সেতু ট্রেন চলাচল বন্ধ
ভারতীয় সাবমেরিনের সঙ্গে মাছ ধরা নৌকার সংঘর্ষ, নিখোঁজ ২
সংসার ভাঙার দুদিন পরই সুখবর দিলেন এ আর রহমান
ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি
আ.লীগকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ার বিষয়ে যা বললেন হাসনাত আব্দুল্লাহ