‘এনবিআর-করদাতাদের প্রাচীর ধ্বংস করতে হবে’

পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, ‘রাষ্ট্রকে আরও ভালোভাবে পরিচালনার জন্য কর দেওয়া বাধ্যতামূলক। আমাদের সবার এ বিষয়ে এগিয়ে আসা উচিত। করদাতা বাড়ানোর লক্ষ্যে এনবিআর এবং করদাতাদের মধ্যে প্রাচীর ধ্বংস করতে হবে।’
শনিবার (২৬ নভেম্বর) রাজধানীর গুলশান ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের আয়কর আইনের ১০০ বছর - প্রত্যাশা এবং অর্জন’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
আইবিএফবি সভাপতি এবং এনার্জিপ্যাক পাওয়ার জেনারেশন লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও চেয়ারপারসন হুমায়ুন রশীদের সভাপতিত্বে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রাষ্ট্র-সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য সংলাপ ও আলোচনারও খুব প্রয়োজন। সংলাপের মাধ্যমে আর্থিক-সংক্রান্ত বাধাগুলো অতিক্রম করা সম্ভব। সেকেলে কর আইন সংস্কারে বিস্তৃত আলোচনা সময়োপযোগী দাবি এবং রাষ্ট্রকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য আলোচনা বন্ধ করা উচিত নয়। কারণ রাজস্ব আয় প্রত্যাশিত মাত্রায় না বাড়লে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হবে না।
তিনি বলেন, সংস্কার সবখানে হওয়া দরকার, তবে সবচেয়ে বেশি সংস্কার দরকার আয়করে। রাজস্ব বাড়ানোর স্বার্থেই এটা করা জরুরি। এজন্য আমি সব সময় সংলাপের পক্ষে। কারণ যত বেশি আলোচনা হবে, সংস্কার প্রক্রিয়ায় জনগণের অংশগ্রহণ তত বাড়বে। এজন্য সংস্কার হতে হবে সংলাপের মাধ্যমে সবার পরামর্শ নিয়ে।
মন্ত্রী আরও বলেন, করদাতা বাড়ানোর লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড এবং করদাতাদের মধ্যে প্রাচীর ধ্বংস করতে হবে। দেশের বৃহত্তর স্বার্থে কর অব্যাহতি প্রথা এখনই বাতিল করা উচিত। কেন দেশে কর অব্যাহতির প্রথা বাড়ছে তা আমার কাছে সম্পূর্ণ অজানা।
জনগণের জীবনমান নিশ্চিত করার পাশাপাশি বহুমুখী পদ্মা সেতুর মতো বিশাল অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে কর দেওয়ার মাধ্যমে সরকারকে সহায়তা করতে হবে।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের উপদেষ্টা এম এস সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশ এখনো কর সংক্রান্ত বিষয়ে অবিচার করছে। কর আদায় পদ্ধতির উন্নতি হয়নি। কর আইনে গতিশীলতার অভাবে জিডিপি অনুপাতে কর বৃদ্ধি করা অসম্ভব।
এনবিআরের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ আবদুল মজিদ বলেন, বিচক্ষণ কর আইন চালু হলে অর্থনীতিতে কোনো বৈষম্য থাকবে না। রাষ্ট্রের কল্যাণের জন্য কর প্রদানে আমাদের দায়িত্বশীল হতে হবে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ, আইবিএফবির সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজুর রহমান খানসহ অন্যরা। সেমিনারে মূল নোট পেপার উপস্থাপন করেন চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট স্নেহাশিষ বড়ুয়া।
জেডএ/এসজি
