রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চাপ বাড়ছে রিজার্ভে

আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় ডলার সংকটে দেশ। রিজার্ভ ৪৮ বিলিয়ন থেকে কমে এখন ৩৬ বিলিয়নে নেমেছে। রপ্তানি আয় ও রেমিট্যান্স ভরসার জায়গা হলেও গত মাসে (অক্টোবর) এই দুই খাতেই ডলার অনেক কম এসেছে।

রপ্তানিকারকরা বলছেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বায়াররা আগের অর্ডারের পণ্য তো নিচ্ছেন না বরং বিক্রি করার অর্থও দিচ্ছেন না। এজন্য রপ্তানি আয় কমে যাচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বলছে, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে কিছুটা কমেছে রপ্তানি। তবে রপ্তানি আয় বৃদ্ধির জন্য সার্বিকভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। যুদ্ধ বন্ধ হলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।

অপরদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, গত চার মাসে রেমিট্যান্স কম এলেও আগের অর্থবছরের চেয়ে এটা বেশি। তবে রেমিট্যান্স যাতে বেশি করে দেশে আসে সে জন্য ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরুর পর থেকে দেশে আমদানি ব্যয় কমেনি। বরং প্রতি মাসে বাড়ছে। এরফলে দেশে ডলার সংকট দেখা দিয়েছে। সরকার বিলাসী পণ্যের আমদানি টেনে ধরতে শুল্ক বৃদ্ধি ও ঋণ মার্জিন ১০০ ভাগ করাসহ বিভিন্ন শর্ত দিয়েছে। তবে বেসরকারিখাতের আমদানি কমলেও জ্বালানি ও সারের জন্য রিজার্ভ থেকেই এলসি খুলতে হচ্ছে। এতে রিজার্ভের উপর চাপ পড়েছে। গত বছরের আগস্টে ৪৮ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ থাকলেও কমতে কমতে ৩৬ বিলিয়নে নেমে গেছে।

এদিকে রেমিট্যান্স কমার ব্যাপারে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র জিএম আবুল কালাম আজাদ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, গত মাসে রেমিট্যান্স কমেছে, এটা সত্য। তবে গত চার মাসে দেশে প্রবাসীরা যে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন তা আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে বেশি। কারণ গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭১৯ কোটি ৮১ লাখ ডলার। আর গত বছরের জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ৭০৫ কোটি ৫১ লাখ ডলার। গত চার মাসে রেমিট্যান্স বেশি এসেছে ১৪ কোটি ২৯ লাখ ডলার বা ২ দশমিক শূন্য দুই শতাংশ।

এই মুখপাত্র বলেন, ডলার সংকটের কারণে সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে। এ জন্য আমদানি ব্যয় কমেছে। তবে সরকারের কিছু পণ্য আমদানি তো করতেই হবে। এজন্য রিজার্ভ থেকেই সাপোর্ট দিতে হচ্ছে। এতে রিজার্ভ কিছুটা কমছে। তবে ব্যাংকগুলোর আমদানি ব্যয় মেটাতে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তারা সেভাবে কাজ করছে, যাতে ডলার বেশি আসে।

তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ গার্মেন্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিজিএমইএ) সিনিয়র সহ-সভাপতি এস এম মান্নান কচি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ সব কিছু স্থবির হয়ে যাচ্ছে। এ জন্য আমাদের বায়াররা নতুন করে কোনো অর্ডারতো নিচ্ছে না বরং আগের অর্ডার করা মালও নিচ্ছে না ইউরোপের বিভিন্ন দেশ। শুধু তাই নয়, তিন থেকে চার মাসের বিলও দিচ্ছে না। এ জন্য অক্টোবরে রপ্তানি আয় কম এসেছে।

রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বিভিন্ন চেষ্টা করছে। গত অর্থবছরে (২০২১-২২) ৫ হাজার ২০৮ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল। চলতি অর্থবছরে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। কিন্তু গত জুলাই থেকে অক্টোবর পর্যন্ত লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। বরং ঋণাত্মক হয়েছে সোয়া তিন শতাংশ। তবে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭ শতাংশ। লক্ষ্য থেকে পিছিয়েছে প্রায় ১৩ শতাংশ। একই সঙ্গে গত মাসে প্রবৃদ্ধিও কমেছে প্রায় ৮ শতাংশ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানা গেছে।

রপ্তানি আয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের প্রভাবে গত মাসে (অক্টোবর) রপ্তানি আয় একটু কমেছে। কারণ ইউরোপে রপ্তানি কমেছে। তবে গত অর্থবছরের চেয়ে এটা বেশি। এ সময়ে সাধারণত একটু কম যায়। আশা করি আগামী মাসে বৃদ্ধি পাবে। কারণ আমরা প্রতিনিয়ত পণ্যের ও বাজারের ডাইভারসিফিকেশনের (বহুমুখী) চেষ্টা করছি।

ইপিবি গত বুধবার (২ নভেম্বর) রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। তাতে দেখা যায়, গত অক্টোবরে ৫০০ কোটি লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে ৪৩৫ কোটি ৬৬ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়। যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৭ দশমিক ৮৫ শতাংশ কম। কারণ গত বছরের অক্টোবরে রপ্তানি হয়েছিল ৪৭২ কোটি ৭৫ লাখ ডলারের পণ্য। অপরদিকে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে (জুলাই-অক্টোবর) লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল এক হাজার ৭৪২ কোটি। তাতে এক হাজার ৬৮৫ কোটি ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছে। কমেছে ৩ দশমিক ২৫ শতাংশ। তবে এটা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৭ শতাংশ বেশি। কারণ ওই সময়ে রপ্তানি আয় হয়েছিল এক হাজার ৫৭৫ কোটি ডলার।

ইপিবি সূত্র জানায়, রপ্তানির ৮০ শতাংশের বেশি হয় তৈরি পোশাক থেকে। চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে তৈরি পোশাকের রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১০ দশমিক ৫৫ শতাংশ। হোম টেক্সটাইল, চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়লেও কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য, কেমিক্যাল পণ্য, হ্যান্ডিক্রাফটস, হিমায়িত খাদ্য, পাট ও পাটজাত পণ্যসহ প্রায় পণ্যের রপ্তানি আয় কমেছে এই চার মাসে।

রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস প্রবাসী আয় সেপ্টেম্বরের মতোই কেটেছে অক্টোবর মাস। প্রবাসীরা গত মাসে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ১৫২ কোটি ৫৪ লাখ (১.৫২ বিলিয়ন) ডলার। যা গত আট মাসের মধ্যে সবচেয়ে কম। এর আগে গত ফেব্রুয়ারিতে ১৪৯ কোটি ৪৪ লাখ (১.৪৯ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। গত বছরের অক্টোবরে ১৬৪ কোটি ৬৯ লাখ (১.৬৪ বিলিয়ন) ডলার এসেছিল। বছরের ব্যবধানে ৭ দশমিক ৩৭ শতাংশ রেমিট্যান্স কম এসেছে।

এভাবে রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহ কমে যাওয়া ও আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে রিজার্ভও কমছে। তা ছাড়া বিভিন্ন ব্যাংকের চাহিদা মেটাতে রিজার্ভ থেকে ডলারও বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

গত বছরের (২০২১) আগস্টে রিজার্ভ ছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটির (৪৮ বিলিয়ন) ডলারের বেশি। পরের মাসে কমে দাঁড়ায় ৩ হাজার ৫৯ কোটি ৯৯ লাখ ডলারে। আমদানি বৃদ্ধির কারণে এভাবে প্রতি মাসে রিজার্ভ কমছে।

অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ সূচক রিজার্ভ কমতে কমতে গত মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দিন শেষে ৩৫ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলারে নেমেছে। আগামী সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলারের মতো আমদানি বিল পরিশোধ করতে হবে। তাই রিজার্ভ নেমে আসবে ৩৪ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলারে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলও (আইএমএফ) বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের হিসাবের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। আন্তর্জাতিক ঋণদানকারী সংস্থাটি বলছে রিজার্ভের এটা প্রকৃত হিসাব নয়। অপরদিকে, বিশ্বমন্দার প্রভাবে বাংলাদেশও ডলার সংকটে পড়েছে। এই সংকট মোকবিলায় সরকার আইএমএফের কাছে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের ঋণ চেয়েছে। তা নিয়ে চূড়ান্ত আলোচনার জন্য আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল এখন ঢাকায়। ইতোমধ্যে গভর্নরসহ বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকও করছেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

রপ্তাকিারকদের ঋণ সহায়তা দিতে ইডিএফসহ তিনটি তহবিল গঠন করা হয়েছে রিজার্ভ থেকে। যা চাহিবা মাত্র পাওয়া যায় না। এটা বাদ দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। তাই বিভিন্ন তহবিল বাদ দিলে রিজার্ভ আরও কমে যাবে।

এনএইচবি/আরএ/

Header Ad

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়, যা সৌদির সরকার এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৯ হাজার ৬৯৬ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সৌদি গেজেট বলছে, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জন রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনকারী, ৫ হাজার ১৭৬ জন সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ১৮৪ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং তিন শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে সরকারি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। দেশটির মক্কা, রিয়াদ এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দারা ৯১১ এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ৯৯৯ ও ৯৯৬ নম্বরে কল করে আইনলঙ্ঘনকারীদের তথ্য দিতে পারেন।

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এছাড়াও দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসের ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন, ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ক্যাডার ও নন ক্যাডার মিলিয়ে ১৮১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ