রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চিনিতে চরম অস্বস্তি, সবজিতে স্বস্তি

সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে দেশে পর্যাপ্ত নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য রয়েছে। কোন পণ্যের সংকটের সম্ভাবনা নেই। তারপরও বাজারে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না। ক্ষোভ প্রকাশ করে খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, গ্যাসের অজুহাতে বাজারে চিনি উধাও। এভাবে আর কতদিন চলবে জানেন না তারা। তাদের অভিযোগ, পাইকারি ব্যবসায়ীরা শুধু আসবে আসবে বললেও তারা পাচ্ছেন না। এদিকে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পরও চালের দাম কমেনি। আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তবে শীত ঘনিয়ে আসায় সবজির বাজারে স্বস্তি দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ৫ থেকে ১০ টাকা।

শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

পাওয়া যাচ্ছে না চিনি

কারওয়ান বাজারের মায়ের দোয়া স্টোর, জব্বার স্টোর, ইয়াসিন স্টোর, আব্দুর রব স্টোরসহ অসংখ্য খুচরা ব্যবসায়ীরা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, গ্যাসের সমস্যার কারণে বলা হচ্ছে চিনি কম উৎপাদন হচ্ছে। আবার বলা হচ্ছে নিত্যপণ্যের অভাব নেই। তাহলে চিনি পাওয়া যাচ্ছে না কেন। মিলমালিকরা কেন চিনি দিচ্ছে না। তারা বাহাবা নেওয়ার জন্য কয়েকটা বাজারে চিনি বিক্রি করছে খুচরা দামে। দুই দিকেই লাভ করছে। আর আমরা চিনি পাচ্ছি না প্রায় মাস হয়ে যাচ্ছে। এভাবে আর কতদিন চলতে হবে। পাইকারি ব্যবসয়ীরা শুধু বলছেন, ‘এইতো আসবে’। কিন্তু পাচ্ছি না।

তারা আরও বলেন, গত মাসের প্রথম দিকে চিনি রিফাইনারি মিলমালিক ও সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা ও প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা কেজি বিক্রির ঘোষণা দেয়। তারপর থেকেই বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি।

কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মেঘনা গ্রুপের ডিলার জামাল ট্রেডার্সসহ অন্যান্য ডিলাররা মিল থেকে চিনি না পাওয়ায় দোকানে তালা মেরে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

খুচরা বিক্রেতারা আরও জানান, ৯০ ও ৯৫ টাকা দরে চিনি পাওয়া না গেলেও সয়াবিন তেল নির্ধারিত কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ৫ লিটার ৮৫০-৮৭০ টাকা, ২ লিটার ৩৫০ টাকা এবং ১ লিটার ১৭০ টাকা। মসুর ডাল ৯০-১৩৫ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

এখনো বেশি চালের দাম

সরকার চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও কমছে না দাম। আমনের মৌসুম ঘনিয়ে আসলেও চালের দাম কমেনি। বরং সব চাল বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কুমিল্লা রাইস জেনারেল স্টোরের শহিদুল ইসলাম ও বরিশাল রাইস এজেন্সির হাফিজ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এখনো আগের দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। মিনিকেট চাল এখনো ৭৪ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, ২৮ চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকা, মোটা হাইব্রিড চাল ৪৮, বাসমতি ৮৮, নাজির শাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পোলাওর চালের দামও কমছে না। খোলা এই চাল ১২৫ টাকা ও বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট চাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

সবজিতে স্বস্তি

শীত ঘনিয়ে আসায় গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সবজির দাম কমের দিকে। প্রতি কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। আগের সপ্তাহের ৬০ টাকা বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম কমে প্রতি পিস ৪০ থেকে ৫০ বিক্রি করা হচ্ছে। শিমের দামও কমে ৭০ থেকে ৯০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। যা গত শনিবার ৯০ থেকে ১২০ টাকা বিক্রি হয়েছে।

বেগুনের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা, পটল ৪০ টাকা, ঝিঙে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, ঢেড়স, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা। তবে এখনো মৌসুম না হওয়ায় টমেটো ১২০ টাকা, শসার দাম বেড়ে ৮০ থেকে ৯০ টাকা, মরিচের কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। মরিচ বিক্রেতা শফিক বলেন, শীতের কারণে সরবরাহ বেশি হওয়ায় মরিচের কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

বেড়েছে আদার ঝাঁজ

মসলার মধ্যে পেঁয়াজের কেজিতে গত সপ্তাহে বেড়েছিল ৫-১০ টাকা। এ সপ্তাহেও ভালোমানের পেঁয়াজ ৬০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অন্যান্য পেঁয়াজ ৪০ থেকে ৫০ কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হতে যাচ্ছে। তাই আর দাম কমার সম্ভাবনা নেই। ছাঁচের পেঁয়াজ উঠলে কমবে দাম।

তবে আদার দাম আগের সপ্তাহে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি হলেও শনিবার বেড়ে ১৮০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা। তবে দেশি আদা ১০০ থেকে ১১০ টাকা। দেশি রসুন ৭০ ও চায়না আদা ১৩০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। অন্যান্য মসলাও আগের দামে বিক্রি করা হচ্ছে।

কমেনি মাছ-মাংস-ডিমের দাম

শীত ঘনিয়ে আসলেও নদী, বিলের মাছের দাম কমছে না। মাছ ব্যবসায়ীরা বলেন, আগের মতো খাল, বিলের মাছ নেই। তাই কমছে না মাছের দাম। রুই ও কাতলার কেজি ২৮০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৮০০-১২০০ টাকা, কাচকি ৪০০-৫০০ টাকা, সিং ৪০০ থেকে ৬০০, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে মাংসের দামও কমেনি। কারওয়ান বাজারের মাংস ব্যবসায়ীরা বলেন, প্রতি কেজি বয়লার ১৮০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি ৩০০ থেকে ৩১০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংসও ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পরিমানে বেশি নিলে একটু কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।

এদিকে ডিমের দাম নিয়ে ভোক্তারা খেদোক্তি প্রকাশ করলেও বিক্রেতারা বলেন, ১৪০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে। তবে সাদা ডিমের ডজন ১৩৫ টাকা। আবার হাঁসের ডিমের ডজন ১৫০। এর চেয়ে আর কমবে না ডিমের দাম। কারণ সব জিনিসের দাম বাড়ছে। তাহলে কিভাবে কমবে ডিমের দাম।

জেডএ/এএস

Header Ad

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। ছবি: সংগৃহীত

গাজীপুরে পুলিশের দায়ের করা আরো এক মামলায় খালাস পেয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ৩২ জন। রবিবার (২৪ নভেম্বর) গাজীপুর জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মো. বাহউদ্দিন কাজী দীর্ঘ শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গাজীপুর সদর উপজেলার তৎকালীন হোতাপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি আওতাধীন মনিপুরের খাসপাড়া এলাকায় ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে একটি পার্কিং করা বাসে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘোষণায় ওই এলাকার মোতালেব মেম্বারকে প্রধান আসামি করে ১৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৪৫ জনের বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা (বিস্ফোরক) আইনে জয়দেবপুর থানা পুলিশ এস আই দিলীপ চন্দ্র সরকার বাদী হয়ে ১০১(১)১৫ নম্বর মামলাটি দায়ের করেন।

পরে একই বছরের আগস্টে এস আই এমদাদুল হক তদন্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং সাবেক মেয়র ও প্রতিমন্ত্রী মৃত অধ্যাপক এমএ মান্নানের ছেলে মনজুরুল করিম রনিকে সংযুক্ত করে ৩২ জনের নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করলে আদালত তা গ্রহণ করেন। মামলাটি দীর্ঘ শুনানি শেষে মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আজ রোববার আসামিদের ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

আদালতে শুনানিকালে রাষ্ট্রপক্ষের কোনো আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন না এবং বিবাদী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন ড. সহিদুজ্জামান, মেহেদী হাসান এলিস, আনোয়ার হোসেন, নাসির উদ্দিন, শফিকুল আলম মিলুসহ বিপুলসংখ্যক আইনজীবী।

এর আগে গত বুধবার শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে মন্তব্যের অভিযোগে করা মানহানি মামলা থেকে খালাস পান তারেক রহমান।

Header Ad

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়, যা সৌদির সরকার এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৯ হাজার ৬৯৬ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সৌদি গেজেট বলছে, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জন রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনকারী, ৫ হাজার ১৭৬ জন সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ১৮৪ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং তিন শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে সরকারি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। দেশটির মক্কা, রিয়াদ এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দারা ৯১১ এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ৯৯৯ ও ৯৯৬ নম্বরে কল করে আইনলঙ্ঘনকারীদের তথ্য দিতে পারেন।

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

আরও এক মামলায় খালাস পেলেন তারেক রহমান
সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান