রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪ | ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

চিনি: খুচরা বাজারে নেই, পাইকারি দোকান বন্ধ

সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পরও খুচরা বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না চিনি। বিক্রেতারা বলছেন, কখন পাব ঠিক নেই। সোনার হরিণ হয়ে গেছে। কেউ কিছু বলতে পারছে না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা শুধু বলছে ‘আসছে’। ভোক্তাদের দরকার হলেও আট থেকে ১০ দোকান খুঁজেও পাচ্ছেন না। পাইকারি ব্যবসায়ীরা মিল থেকে চিনি না পেয়ে দোকানের ঝাঁপ বন্ধ করে এদিক-ওদিক ছোটাছুটি করছেন। তারপরও পাওয়া যাচ্ছে না চিনি।

এদিকে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পরও চালের দাম কমেনি। আগের মতোই বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। গত সপ্তাহের মতোই পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তবে সবজিতে একটু স্বস্তি দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে ৫-১০ টাকা। মরিচের দাম কমে কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে।

শনিবার (২৯ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এমনই চিত্র দেখা গেছে।

খুচরা দোকানে নেই চিনি, পাইকারি দোকানে দরজা নামানো

বাজারের লক্ষীপুর স্টোরের কামরুল হাসান ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চিনি নেই। কখন পাব ঠিক নেই। পাইকারি ব্যবসয়ীরা দুই সপ্তাহ থেকে শুধু বলছেন, ‘এইতো আসবে’। কিন্তু আসছে না। তাই বিক্রি করতেও পারছি না।

তিনি আরও বলেন, চলতি মাসের প্রথম দিকে চিনি রিফাইনারি মিলমালিক ও সরকার প্রতি কেজি খোলা চিনি ৯০ টাকা ও প্যাকেটজাত ৯৫ টাকা কেজি বিক্রির ঘোষণা দিলেও বাজারে পাওয়া যাচ্ছে না। ডিলাররা চিনি পেলে আমরাও খুচরা পর্যায়ে বিক্রি করতে পারব। কিন্তু ডিলাররাই তো পাচ্ছে না। এই মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মেঘনা গ্রুপের পাইকারি বাজার। তারা পেলে আমরাও বিক্রি করতে পারব।
এ সময় আব্দুল আজিজ নামে এক ভোক্তা বলেন, প্রায় আট থেকে ১০ টা দোকান ঘুরেও চিনি পাচ্ছি না। একি অবস্থা। কখন এর সমাধান হবে। দাম যাই হোক চিনি তো থাকতে হবে। কিন্তু পাওয়া যাচ্ছে না। খুবই খারাপ লাগছে।

তাই কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় মেঘনা গ্রুপের ডিলার জামাল ট্রেডার্সে গেলে সরেজমিনে দেখা যায়, তালা মারা নেই, তবে দোকানে ঝাঁপ লাগিয়ে এদিক-ওদিক ঘোরাঘুরি করছেন দোকানদার। কখন চিনি পাওয়া যাবে সেই অপেক্ষা করছেন। তার পাশের দোকানের ব্যবসায়ী নাইম এই প্রতিবেদককে জানান, চিনি নেই। তাই উনি দোকানে থাকেন না। ঝাঁপ লাগিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

কারওয়ান বাজারের শুধু ওই কামরুল হাসানই নয় জব্বার স্টোর, ইয়াসিন স্টোর, আব্দুর রবসহ খুচরা দোকানের ব্যবসায়ীরা জানান, ১০-১৫ দিন থেকে চিনি পাই না। তাই বিক্রিও করতে পারি না। কখন পাব তাও বলা যাচ্ছে না। তবে মিল থেকে পাইকারিতে চিনি না দিলেও তারা ট্রাকে করে বিক্রি ৯৫ টাকা কেজি প্যাকেট চিনি বিক্রি করছে। এতে তাদের লাভও বেশি হচ্ছে। কারণ ডিলারদের কমিশন দিতে হয় না।

তবে নতুন রেটে চিনি পাওয়া না গেলেও সয়াবিন তেল নির্ধারিত কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। কামরুল হাসান বলেন, ৫ লিটার ৮৫০-৮৭০ টাকা, ২ লিটার ৩৫০ টাকা এবং ১ লিটার ১৭০ টাকা। মসুর ডাল ৯০-১৩৫ টাকা, চিনিগুড়া চাল ১৪০ টাকা কেজি। চালের দাম না কমায় বিক্রি করা হচ্ছে না।

বেশি দামেই চাল বিক্রি

সরকার চালের বাজার স্থিতিশীল রাখার বিভিন্ন উদ্যোগ নিলেও কমছে না। আমনের মৌসুম ঘনিয়ে আসলেও চালের কোনো দাম কমেনি। একই বাজারের কুমিল্লা রাইস জেনারেল স্টোরের শহিদুল ইসলাম ও বরিশাল রাইস এজেন্সির হাফিজ ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, এখনো আগের দামে চাল বিক্রি করা হচ্ছে। কমেনি কোনো চালের দাম।

তারা বলেন, ‘মিনিকেট চাল এখনো ৭৪ থেকে ৭৫ টাকা কেজি, ২৮ চাল ৬৬ টাকা, বাসমতি ৮৮ টাকা, নাজির শাইল ৮২ থেকে ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মোটা চাল নেই। পোলাও চালের দামও কমছে না। খোলা চাল ১২৫ টাকা ও বিভিন্ন কোম্পানির প্যাকেট চাল ১৪০ থেকে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

পেঁয়াজের কেজি ৫০-৬০ টাকা

গত সপ্তাহে পেঁয়াজের কেজিতে বেড়েছে ৫-১০ টাকা। এ সপ্তাহেও সেই দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতারা বলছেন, কাঁচামাল, পেঁয়াজের মৌসুম শেষ হতে যাচ্ছে। তাই আর কমার সম্ভাবনা নেই।

রফিকুল ইসলাম বলেন, আমাদের বেশি দামে কেনা। তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। ভালো মানের রাজশাহীর পেঁয়াজ ৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে অন্য পেঁয়াজের কেজি ৫০-৫৫ টাকা। তবে আদার দাম আগের চেয়ে কেজিতে ২০ টাকা কমে ১৬০ টাকা কেজি বিক্রি করছে বিক্রেতারা। দেশীয় আদা ১০০ টাকা ও রসুন ৭০ টাকা। তবে চায়না আদা ১৩০-১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

আগের মতোই মাছ-মাংস-ডিম

নদীর পানি কমলেও খাল, বিলের মাছের দাম কমছে না। মাছ ব্যবসায়ীরা ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, চাহিদা বেশি। তাই কমছে না মাছের দাম। আগের মতোই রুই ও কাতলার কেজি ২৮০-৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০-১০০০ টাকা কেজি, বোয়াল ৮০০-১২০০ টাকা, কাচকি ৪০০-৫০০ টাকা, সিং ৪০০ থেকে ৬০০, পাঙ্গাস ১৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

এদিকে মাংসের দামও কমেনি। কারওয়ান বাজারের মা বাবার দোয়াপোল্ট্রি হাউজের সুমন বলেন, প্রতি কেজি বয়লার ১৮০ টাকা, লাল লেয়ার ৩০০ টাকা, পাকিস্তানি ৩০০ টাকা ও দেশি মুরগি ৫৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এদিকে গরুর মাংস ৭০০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করা হচ্ছে বলে জানান বিক্রেতারা।

স্বস্তির দিকে সবজি

শীত ঘনিয়ে আসায় গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে। বাঁধাকপি ও ফুলকপির দাম কমে প্রতি পিস ৬০ থেকে ৬০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। গত সপ্তাহে প্রতি কেজি শিম ১২০ টাকা বিক্রি করা হলেও শনিবার তা ৯০ থেকে ১০০ টাকা, বেগুনের দাম কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। পটল ৪০ টাকা, মরিচের কেজি ৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। ঝিঙে, ধুন্দল, চিচিঙ্গা, ঢেড়স, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, শসা ৫০-৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।

মরিচ বিক্রেতা রফিক জানান মরিচের সরবরাহ বাড়ায় দাম কমেছে। আগের সপ্তাহে ৬০ থেকে ৭০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও আজকে সব মরিচ ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।

জেডএ/এসএন

Header Ad

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার। ছবি: সংগৃহীত

সৌদি আরবের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী গত এক সপ্তাহে প্রায় ২০ হাজার প্রবাসীকে গ্রেপ্তার করেছে। আবাসন, শ্রম এবং সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে এই অভিযান চালানো হয়, যা সৌদির সরকার এবং স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (২৩ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সৌদি আরবের বার্তাসংস্থা সৌদি গেজেট।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে সৌদি আরবের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে মোট ১৯ হাজার ৬৯৬ জন অবৈধ বাসিন্দাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে শনিবার সৌদির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ঘোষণা দিয়েছে। গত ১৪ নভেম্বর থেকে ২০ নভেম্বরের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় নিরাপত্তা বাহিনীর পরিচালিত যৌথ নিরাপত্তা অভিযানের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সৌদি গেজেট বলছে, যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ হাজার ৩৩৬ জন রেসিডেন্সি আইন লঙ্ঘনকারী, ৫ হাজার ১৭৬ জন সীমান্ত সুরক্ষা আইন লঙ্ঘনকারী এবং ৩ হাজার ১৮৪ জন শ্রম আইন লঙ্ঘনকারী রয়েছেন। এছাড়া অবৈধভাবে সীমান্ত অতিক্রম করার চেষ্টা করার সময় ১ হাজার ৫৪৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। তাদের মধ্যে ৩২ শতাংশ ইয়েমেনি নাগরিক, ৬৫ শতাংশ ইথিওপিয়ান নাগরিক এবং তিন শতাংশ অন্যান্য জাতীয়তার।

মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটিতে অবৈধভাবে প্রবেশে সহায়তার চেষ্টাকারী ব্যক্তির ১৫ বছরের কারাদণ্ড এবং ১০ লাখ সৌদি রিয়াল জরিমানার বিধান রয়েছে। সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বিষয়ে বারবার সতর্ক করে দিয়ে আসছে।

সৌদি কর্তৃপক্ষ আইনলঙ্ঘনকারীদের বিষয়ে তথ্য দিতে সরকারি হেল্প লাইন নম্বর চালু করেছে। দেশটির মক্কা, রিয়াদ এবং পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশের বাসিন্দারা ৯১১ এবং অন্যান্য অঞ্চলের বাসিন্দারা ৯৯৯ ও ৯৯৬ নম্বরে কল করে আইনলঙ্ঘনকারীদের তথ্য দিতে পারেন।

Header Ad

আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি

গণমাধ্যমের সামনে বক্তব্য রাখছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন। ছবি: সংগৃহীত

নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এস এম মো. নাসির উদ্দীন ও চার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আনুষ্ঠানিকভাবে শপথ নিয়েছেন। শপথ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন নবনিযুক্ত নির্বাচন কমিশনার। এসময় এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নিয়ত সহি। জাতিকে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন উপহার দিতে চাই। আর এ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার তাই করব।

রোববার (২৪ নভেম্বর) দুপুর দেড়টার পর সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে তাদের শপথ পাঠ করান প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দীন বলেন, যেকোনো ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করার সক্ষমতা আমাদের আছে। এর আগে তথ্য ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিব থাকাকালে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে এসেছি।

যে শপথ নিয়েছি এর সম্মানটা রাখতে চাই। আমার শপথ ভঙ্গ হবে না, আমি এই দায়িত্বকে জীবনের একটি অপরচুনিটি (সুযোগ) হিসেবে দেখছি। দেশের মানুষ ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত, তারা ফ্রি ফেয়ার একটা ইলেকশনের জন্য সংগ্রাম করেছে, অনেক আন্দোলন করেছে। বিগত বছরগুলোতে অনেকে রক্ত দিয়েছে। আমি তাদেরকে একটা ফ্রি, ফেয়ার এবং ক্রেডিবল (স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য) ইলেকশন দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুত বদ্ধ। আমি আমার সর্বোচ্চটা দেওয়ার চেষ্টা করব। আমি ইনশাল্লাহ কনফিডেন্ট। আমরা সবাই মিলে আপনাদের সবার সহযোগিতা নিয়ে, দেশবাসীর সহযোগিতা নিয়ে, রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতাসহ এ জাতিকে একটা স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পারব।

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, নির্বাচন করতে গেলে কিছু এসেনশিয়াল সংস্কার লাগবে। যেমন- এখন নানা রকম কথা হচ্ছে- আনুপাতিক ভোটের হারে এবং আগের নিয়মে হবে। সংবিধানে যদি এটার ফয়সালা না হয় তাহলে আমরা নির্বাচনটা করব কীভাবে। ইলেকশন করতে ইয়ং জেনারেশন যারা ভোট দেওয়ার জন্য বছরের পর বছর মুখিয়ে আছে, তাদেরকে তো ভোটার লিস্টে আনতে হবে। আমাকে ভোটার লিস্ট করতে হবে, কোথায় কোথায় রিফর্মশেনের দরকার হবে, সেটা আমরা পাব। এ বিষয়ে নির্বাচন সংস্কার কমিশন কাজ করছে। আগে তাদের পরামর্শ আসুক। এর যেগুলো গ্রহণযোগ্য সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে। সংবিধান যদি ঠিক না হয়, তাহলে আমাদের যাত্রা এলোপাথাড়ি হয়ে যাবে। সংস্কার কমিশন কাজ করছে, এটা শেষ হোক। আর বেশিদিনতো নেই। সরকার বলছে ডিসেম্বরের মধ্যে কমিশনগুলোর রিপোর্ট দেবে। আপনারা আশস্ত থাকুন, আমাদের নিয়ত সহি। ইনশাল্লাহ একটা ফ্রি, ফেয়ার অ্যান্ড ক্রেডিবল নির্বাচন হবে। এবার আরেকটা সুযোগ এসেছে, রাজনৈতিক দলগুলো, যারা নির্বাচন করবে তারা ১৫-১৬ বছর ধরে বলে আসছে আমরা ভোটের অধিকার চাই। আমরা আমাদের ভোট দিতে চাই। সুতরাং আমরা তাদের সঙ্গে পাব। তাদের দাবিকে বাস্তবায়ন করব, তারাও জাতির কাছে ওয়াদাবদ্ধ।

আওয়ামী লীগকে নির্বাচনে আনার ইচ্ছে আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, রিফর্ম কমিটির সুপারিশ আসুক, অনেক বির্তক চলছে, বিতর্কের ফয়সালা হোক। ফয়সালা হলে আপনারা দেখতে পারবেন।

প্রসঙ্গত, প্রধান নির্বাচন কমিশনার হিসেবে বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) নিয়োগ পান সাবেক সচিব এ এম এম মো. নাসির উদ্দীন। তার সঙ্গে চার নির্বাচন কমিশনারের নামও ঘোষণা করা হয়।

তারা হলেন- সাবেক অতিরিক্ত সচিব আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, সাবেক জেলা ও দায়রা জজ আবদুর রহমান মাসুদ, সাবেক যুগ্ম সচিব বেগম তাহমিদা আহমেদ ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

সংবিধানের ১১৮(১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাদের নিয়োগ দেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।

নিয়োগ পাওয়ার পর সেদিন তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নবনিযুক্ত প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নাসির উদ্দীন বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা তা করব, ইনশাআল্লাহ। যে দায়িত্ব এসেছে, তা আমাদের সুষ্ঠুভাবে পালন করতে হবে সবার সহযোগিতা নিয়ে।

Header Ad

৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। ছবি : সংগৃহীত

বিসিএস ক্যাডার ও নন–ক্যাডার মিলে মোট ১৮ হাজার ১৪৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে। এর মধ্যে ক্যাডার পদে ১২ হাজার ৭১০ জন এবং নন-ক্যাডারে ৫ হাজার ৪৩৯ জনকে নিয়োগ দেয়া হবে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোখলেস উর রহমান।

রোববার (২৪ নভেম্বর) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

এছাড়াও দ্রুত সময়ের মধ্যে ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি দেয়া হবে বলে জানান জনপ্রশাসন সচিব। তিনি বলেন, ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএসে ২০৬৪ জন, ৪৪তম বিসিএসে ১৭১০ জন, ৪৫তম বিসিএসে ২৩০৯ জন, ৪৬তম বিসিএসে ৩১৪০ জন এবং ৪৭তম বিসিএসে ৩৪৮৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন সিনিয়র সচিব বলেন, নন-ক্যাডার পদে ৪৩তম বিসিএস থেকে ৬৪২ জন, ৪৪তম বিসিএসের ১৭৯১ জন, ৪৫তম বিসিএসে ১৫৭০ জন, ৪৬তম বিসিএসে ১১১১ জন, ৪৭তম বিসিএসে ৩২৫ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

ক্যাডার ও নন ক্যাডার মিলিয়ে ১৮১৪৯ জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

সৌদি আরবে এক সপ্তাহে ২০ হাজার অবৈধ প্রবাসী গ্রেপ্তার
আমাদের নিয়ত সহি, জাতিকে সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে চাই: সিইসি
৫ বিসিএস থেকে নিয়োগ পাবেন ১৮ হাজার ১৪৯ জন
শপথ নিলেন নতুন সিইসি ও ৪ নির্বাচন কমিশনার
দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়ে থানায় জিডি করলেন নওশাবা
আইইউটির ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় পল্লী বিদ্যুতের ৭ কর্মকর্তা-কর্মচারী বরখাস্ত
বাংলাদেশ-বেল‌জিয়ামের রাজনৈতিক সংলাপ আজ
রাজধানীতে সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণে শিশুসহ দগ্ধ ৭
জোড়া উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করলো বাংলাদেশ
সাবেক প্রধান বিচারপতি রুহুল আমিন আর নেই
এশিয়া কাপ খেলতে দেশ ছাড়লো বাংলাদেশ
আমাকে স্যার বলার দরকার নেই, আমি আপনাদের ভাই : উপদেষ্টা নাহিদ
দুই দিনের ব্যবধানে আবারও বাড়ল সোনার দাম
বাংলাদেশ সফরে আসতে পারেন ব্রিটিশ রাজা চার্লস
নির্বাচনের ফাঁকা মাঠ ভেবে খুশি হচ্ছেন, সাবধান হন : তারেক রহমান
গোপনে দুইজনকে বিয়ে, কাউকেই অধিকার বঞ্চিত করেননি জান্নাতুল
শহীদ আব্দুল্লাহর বাড়িতে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য মোবারক হোসেন
বিরামপুরে আদিবাসী নারীর লাশ উদ্ধার
বিএনপির কাঁধে অনেক দ্বায়িত্ব: তারেক রহমান
'জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় নির্বাচন হওয়া উচিত'- তোফায়েল আহমেদ