গুলশানের ডরিন হোটেলকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা
গুলশানের একটি অভিজাত পাঁচ তারকা হোটেল ডরিন হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টসকে জরিমানা করা হয়েছে।
সেখানে এক মাসের বেশি সময়ের বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ সোডা পানি বিক্রির উদ্দেশে সংরক্ষণ করা, বিভিন্ন রকমের প্রসেস করা বাসি খাবার বিক্রির উদ্দেশে সংরক্ষণ করা ছিল।
এ ছাড়া, চিলি পেস্টের মেয়াদ নিজেরা বাড়িয়ে দেওয়ার পরও মেয়াদাত্তীর্ণ হয়ে যায়। এসব অপরাধে মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে তিন লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের নির্দেশনায় দেশব্যাপী অভিযানের অংশ হিসেবে গুলশান থানা এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনা করেন ঢাকা জেলা কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. শাহ আলম।
জরিমানার সঙ্গে ডরিন হোটেলকে আগামীকাল সকাল ১০ ঘটিকায় অধিদপ্তরে উপস্থিত হয়ে কেন প্রতিষ্ঠানটির লাইসেন্স বাতিলসহ অন্যান্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
অভিযানে গুলশান থানা পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করে। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান।
এ ব্যাপারে ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘অতি উচ্চমূল্যের এ হোটেলে মেয়াদোত্তীর্ণ সামগ্রী দিয়ে খাবার তৈরি করে পরিবেশন করা হয়।
এ ছাড়া, অবিক্রীত খাবার বক্সে ভরে পরের দিন বিক্রির জন্য ফ্রিজেও রেখে দেওয়া হয়। এখানে উচ্চবিত্ত এবং বিদেশি কাস্টমারই যাতায়াত করে। সুনির্দিষ্ট তথ্য এবং অভিযোগের প্রেক্ষিতে একটি চৌকস টিম বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে সেখানে। এই অভিজাত হোটেল সম্পর্কে যেটুকু বিশ্বাস এবং আস্থা ছিল সেটা আমার বিবেককে প্রচণ্ডভাবে আঘাত করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমরা নাকি ছোট ছোট ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে অভিযান করি। এ অভিযোগ সঠিক নয়। অভিযোগ বা তথ্য পেলে ভোক্তার স্বার্থ রক্ষার্থে এসব অনিয়ম এবং প্রতরণার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।
জেডএ/এএস/