ইআরডি আইন না মেনে ঋণচুক্তি করে: মন্ত্রিপরিষদ সচিব
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) আইন না মেনে ঋণচুক্তি করে বলে মন্তব্য করেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে গলায় ফাঁসের মতো অবস্থা। ইআরডি চুক্তির প্রক্রিয়া সঠিকভাবে না বুঝলে তা অন্য কারো কাছে জানতে হবে।
রবিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) ‘সুশাসন নিশ্চিতকরণে বৈদেশিক ঋণ ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক এক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে পরিকল্পনা কমিশনের সম্মেলনকক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
ইআরডির অতিরিক্ত সচিব (বিশ্বব্যাংক) আবদুল বাকি বৈদেশিক ঋণের বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করছিলেন। এরই এক পর্যায়ে দ্বিমত পোষণ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘তোমরা কীভাবে বৈদেশিক ঋণচুক্তি কর সেই প্রক্রিয়া বিষয়ে জানতে চাই।’
এ প্রসঙ্গে সঠিক উত্তর না দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতি প্রকল্পে ৭০ থেকে ৮০ কোটি টাকার অনিয়ম এখান থেকে সৃষ্টি হয়। ফলে ঋণদাতারা তাদের নিজের মতো করে ঠিকাদারসহ অন্যান্য কাজ করে। এর ফলে প্রকল্পগুলোতে ব্যয় বৃদ্ধি ও ক্রয়ের ক্ষেত্রে অনিয়ম ও সময় বাড়ে।’
খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ইআরডির ঋণ চুক্তি সাংঘর্ষিক। ভেরি ফ্রিকুয়েন্টলি এটা হচ্ছে। রাত সাড়ে ১২টার সময় চুক্তি সই করল ইআরডি। কেউ যদি এই বিষয়ে আপত্তি করে মামলা করে, তাহলে একজনও বাঁচতে পারবে না। ইআরডি এগুলো কীভাবে সই করে।
ক্ষোভ প্রকাশ করে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘মানুষ হারাম খাইলে, চুরি করলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। মানুষের চরিত্র ঠিক করতে হবে। চরিত্র ঠিক না করলে কোনো কাজ হবে না। সারা পৃথিবীর মানুষ গবেষণা করে ঠিক করেছে দুর্নীতি দূর করতে চরিত্র ঠিক করতে হবে। হার্ভাড, কেমব্রিজের বড় বড় পণ্ডিত একসঙ্গে বসে ঠিক করেছে সুশাসন নিশ্চিত না করলে উন্নয়ন সম্ভব নয়। সুশাসন বাস্তবায়ন করতে গেলে মানুষের চরিত্র ঠিক করতে হবে। চরিত্র ঠিক করতে মানুষের আচার আচরণ, ধর্ম, সংস্কৃতি মানতে হবে। এজন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল (এনআইএস) ঠিক করতে হবে। এটা অনেক কর্মকর্তা জানে না।’
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড.শামসুল আলম, ইআরডি সচিব শরিফা খান।
জেডএ/এসএন