ব্যবসা সহজ করতে বন্দরেই টেস্টিং ল্যাব চায় এফবিসিসিআই
আমদানিকৃত পণ্য দ্রুত খালাস ও নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন কার্যক্রমের স্বার্থে বন্দরেই টেস্টিং ল্যাব স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) এফবিসিসিআই কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত পোর্ট অ্যান্ড শিপিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির ২য় সভায় এ দাবি জানান সভাপতি।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানিকৃত পণ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য রাজধানীতে পাঠাতে হয়। এতে পণ্য খালাস করতে কয়েক সপ্তাহ বা মাস সময় লেগে যায়। যা ব্যবসার খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে, একই সঙ্গে কারখানার নিরবচ্ছিন্ন উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। পরিস্থিতির উন্নয়নে বন্দরে টেস্টিং ল্যাব স্থাপন ও এ সংশ্লিষ্ট সেবার মানোন্নয়ন জরুরি।
এফবিসিসিআই’র সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, ‘দেশে ব্যবসা বান্ধব পরিবেশ তৈরিতে সুষ্ঠু বন্দর কার্যক্রম জরুরি। এ লক্ষ্যে এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা অব্যাহত রাখা হবে। একই সঙ্গে ভারত থেকে দেওয়া ট্রানজিট সুবিধা কাজে লাগিয়ে স্থলবন্দর দিয়ে পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাড়ানোর আহ্বান জানান সিনিয়র সহ-সভাপতি।
এফবিসিসিআইর সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন বলেন, ‘পণ্য পরীক্ষায় ত্রুটি না পেলেও বন্দরে ১৫/২০ দিন পন্য আটকে থাকার ফলে বন্দরের চার্জ যেমন বাড়ে, তেমনি দেরিতে পণ্য বিক্রির কারণে লোকসানও গুণতে হয় ব্যবসায়ীদের।’
স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা জানান, এইচএস কোডের ভুলের কারণে আরোপিত জরিমানার ওপর ১৫ শতাংশ প্রণোদনা পান কাস্টমস কর্মকর্তারা। অনেক ক্ষেত্রে শুধু প্রণোদনার অর্থ পেতে তারা ব্যবসায়ীদের জরিমানা আরোপ করেন। এই হয়রানি বন্ধে প্রণোদনার বিধান বাতিল করতে হবে।
সাত দিন চব্বিশ ঘণ্টা বন্দর সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা দিলেও তা বাস্তবায়িত হচ্ছে না বলে অভিযোগ করেন ব্যবসায়ীরা। তারা জানান, বৃহষ্পতিবার পণ্যের পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষ হলেও শুক্র ও শনিবার পণ্য খালাস করতে পারেন না তারা।
জেডএ/এমএমএ/