লাভ যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের
প্যাকেটজাত চালের দাম বেশি রাখার কারণে খোলা চালের দামও বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই এ কঠিন সময়ে লাভ যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান।
মঙ্গলবার (১৩ সেেপ্টম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে প্যাকেটজাত পণ্যের উৎপাদনকারী ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমরা জানি মিনিকেট নামে কোনো চাল নেই। এটা আমি নিশ্চিত ঢাকার বাইরে মেশিন আছে, ছেঁটে বিক্রয় করা হচ্ছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমে আসছে, নিউজও হচ্ছে। কিন্তু এই মুহূর্তে মিনিকেট চালের ব্যাপারে অভিযান করলে বাজারে একটা প্রভাব পড়বে। এ চাল বন্ধ করা এখন সময়ের ব্যাপার।’
তিনি বলেন, ‘খাদ্য মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়সহ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, কৃষি অর্থনীতিবিদদের নিয়ে সভা করে সম্মিলিত সিদ্ধান্তের পর মিনিকেটের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে এই চাল বাজারে থাকবে কি না।’
বোরো ধানের ভরা মৌসুমে চালের দাম না কমার কারণে মিলমালিক থেকে খুচরা ব্যবসায়ীদের ডাকা হয়েছিল। তাদের নিয়ে সভা করা হয়েছে তখন জানা গেছে করপোরেটের হাতে মাত্র পাঁচ শতাংশ চাল মজুত রয়েছে, যোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন কোম্পানি প্যাকেটজাত করে মূল্যবৃদ্ধি করছে। শুধু তাই নয়, করপোরেটগুলো মুড়ি-চানাচুরের ব্যবসা করছে। আইনে আছে কি না সে ব্যাপারে শিল্প ও খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখবে। ১৫০ টাকা কেজি চাল বিক্রি করা হচ্ছে। এটা খাদ্য মন্ত্রণালয় দেখবে। ভোক্তাদের স্বার্থেই এটা দেখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমদানিকৃত পণ্যের কোনো মূল্য নাই, মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ নাই তা হতে পারে না।’
আমদানিকৃত পণ্যের ব্যাপারে তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘অবশ্যই আমদানিকারকের নাম, ঠিকানা, মূল্য ও মেয়াদ উত্তীর্ণ তারিখ উল্লেখ করতে হবে।’
অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘করপোরেট প্রতিষ্ঠানের উপর সরকারের পুরোনিয়ন্ত্রণ আছে। তাই তো তাদের যা ইচ্ছা করতে দেওয়া হয় না, গোয়েন্দা সংস্থা প্রতিনিয়ত কাজ করছে। তেল সংকটের সময় তার বাস্তব প্রমাণ।’
‘তাদেরকে ডেকে এনে জানতে চাওয়া হয়েছে, কেন দাম বৃদ্ধি করা হচ্ছে। ভোক্তাদের স্বার্থের কোনো ব্যত্যয় ঘটলেই তাদের কাছে জানতে চাওয়া হচ্ছে,’ যোগ করেন তিনি।
জেডএ/এমএমএ/