ইউনিলিভার বাধ্য হয়ে মূল্যবৃদ্ধি করেছে: সিএফও
ইউনিলিভারের চিফ ফিন্যান্সিয়াল অফিসার (সিএফও) জাহিদ মাওতা বলেছেন, ‘আমি নিশ্চিত সবাই সাবান, ডিটারজেন্ট ও পেস্টের দাম বৃদ্ধি করেছে। আমরাও এটা করতে বাধ্য হয়েছি। কারণ, ডলারের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। মার্কেটিং, ট্রেনিং বাবদ খরচ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এনবিআর সমস্যা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। তারা টাক্স না কমালে দাম কমানো যাবে না। আগে বেশি লাভ করা হলেও বর্তমানে সেটা হচ্ছে না।’
বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে টিসিবি ভবনে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভোক্তা-ব্যবসায়ী পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে এ সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিলিভারের পরিচালক শামিমা আখতার, কল্লোল গ্রুপের ম্যানেজার এসএম শহিদুল হাসান, স্কয়ার গ্রুপের মোহাম্মদ আলী ইমরান, ক্যাবের সহ-সভাপতি কাজী আব্দুল হান্নানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা।
সিএফও জাহিদ মাওতা বলেন, ‘আমরা সোর্স মূল্যায়ন করি। তাতে ব্যয় হয়। ভোক্তা অধিদপ্তরের ডিজি কষ্ট সিটি চাইলে তিনি বলেন, ‘পণ্যের দাম বৃদ্ধি করা হয় পলিসি অনুসরণ করে। কারও সঙ্গে শেয়ার করে না। কস্ট-শিট একান্ত নিজস্ব, এটা গোপনীয়। তাই একটু সরবরাহ করা ডিফিকাল্ট (কঠিন)।
তিনি আরও বলেন, ‘বিজনেসকে বিজনেসের গতিতে যেতে দিতে হবে। কাঁচামালের দাম অত্যধিক বৃদ্ধি পেয়েছে। সেলসের ক্ষেত্রেও খরচ বাড়ছে। স্থানীয় শিল্পকে আমরা বাঁচাতে চাই। তা আমলে নিয়ে মূল্য নির্ধারণ করা হয়। কোয়ালিটি মেইনটেইন করেই আমাদের সব পণ্য তৈরি করতে হয়। এ জন্য নকল পণ্যের কোনো সুযোগ নেই।’
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর (ক্যাব) সহ-সভাপতি আব্দুল হান্নান বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পেলে ভোক্তাদের মাঝে নাভিশ্বাস দেখা যায়। যে পণ্যের ভলিউম বেশি সেই পণ্যেরই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। এমআরপি পণ্যেরই দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। পণ্যের মাধ্যমে ভোক্তাদের সঙ্গে প্রতারণা করা হচ্ছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাপ্লাই-চেইনের মাধ্যমে সুপারশপে নকল পণ্য ঢুকে যাচ্ছে। মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য ভেন্ডরের মাধ্যমেও সুপারশপে চলে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, এই মেয়াদউত্তীর্ণ পণ্য পুনরায় প্যাকেটজাত করে বাজারে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া ভ্যাট, ট্যাক্স যুক্ত থাকার পরও সুপারশপে আবার ভ্যাট দিতে হচ্ছে। এই জায়গাগুলোতে আপনাদের দেখতে হবে। আমরা চাই ন্যায্যতার ভিত্তিতে দাম নির্ধারণ করা হোক।’
জেডএ/এমএমএ/