‘মিনিকেট’ শব্দটা উঠিয়ে দিতে চায় ভোক্তা অধিদপ্তর
মিনিকেট শব্দটা উঠিয়ে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম শফিকুজ্জামান।
তিনি বলেন, ‘৬৮ টাকার চাল সুপার প্রিমিয়াম নামে বিভিন্ন সুপার সপে ৮২ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ভোক্তারা প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রতারিত হচ্ছেন। অভিযানে গেলেই তা ধরা পড়ছে। এভাবে প্রতারণা চলতে পারে না। এর লাগাম টেনে ধরতে হবে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভোক্তা-ব্যবসায়ী পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘ডিম-পোলট্রিতেও ভোক্তার পকেট থেকে ৫০০ কোটি টাকা চলে গেছে এবং অভিযানে তার প্রমাণ পাওয়া গেছে। সুপার শপগুলো এমআরপির নামে বেশি লাভ করছে তবে কেউ কোনো দায় নিচ্ছেন না।’
বিক্রেতারা বলছেন, তারা দায়ী না। উৎপাদকরা যেহেতু দাম নির্ধারণ করে। তাই স্পষ্ট বলা যাচ্ছে উৎপাদকরাই দায়ী।
ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষার ব্যাপারে অতিরিক্ত সচিব বলেন, বাইরে যে চাল ৬৮ টাকা বিভিন্ন সুপার শপে তার দাম রাখা হচ্ছে ৮২ টাকা। এখানে ব্লেম গেম হচ্ছে। কেউ কোনো দায় নিতে চাচ্ছেন না।
ভোক্তারা সচেতন হচ্ছে, ফলে অভিযোগ বাড়ছে এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতারণার খবরও জানা যাচ্ছে। ইউনিলিভার কোম্পানি সব পণ্য বেশি মূল্যে বিক্রি শুরু করছে এটা দেখার কেউ নাই।
আমি একজন ভোক্তা হিসেবে এটা দেখা শুরু করেছি এবং এটা গভীরভাবে দেখা হবে। যেভাবে দাম বাড়াচ্ছে তা যৌক্তিক কি না, এটা খতিয়ে দেখা হবে।
অপরদিকে, সিঙ্গার কোম্পানি বিজ্ঞাপন প্রচার করছে ১০০ শতাংশ নিশ্চিত ক্যাশব্যাক এ ব্যাপারেও অভিযান শুরু হয়েছে, এটা ভয়াবহ অবস্থা, তা দেখা হচ্ছে। দেশে কত রকমের যে প্রতারণা হচ্ছে তা অভিযানে গেলেই ধরা পড়ছে, যোগ করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাব তিনি বলেন, খাদ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে মিনিকেট নামে কোণো চাল নাই, তা বাজেয়াপ্ত করতে হবে। চাল কেটে চকচকে করা হয়, এ ব্যাপারে ভোক্তাদেরও সচেতন হতে হবে।
আমরা বাজার থেকে মিনিকেট শব্দটা উঠিয়ে দিতে চাই। একই চাল ভিন্ন দামে বিভিন্ন সুপারসপে বিক্রি করা হচ্ছে, এটাও খতিয়ে দেখা শুরু হয়েছে।
জেডএ/এমএমএ/