কমেছে চালের দাম, সবজি চড়া
করলার কেজি ১০০ টাকা, শশা ১২০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা। প্রায় সব সবজিই বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে। বিক্রেতারা জানান, কলাতিয়া বাজার থেকে পণ্য কেনা হয়েছে তাই দাম বেশি।
সয়াবিন তেল নতুন রেটে ৫ লিটার ৯৪০ টাকা, ১ লিটার ১৯২ টাকা ও দুই লিটার ৩৮৪ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। চিনির দামও বাড়তি ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ইলিশ মাছের দাম কমেনি। তবে চালে একটু স্বস্তি দেখা দিয়েছে। কেজিতে কমেছে দুই থেকে তিন টাকা সপ্তাহের ব্যবধানে। শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউনহল মার্কেটের এমনই চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর কাওরান বাজারের চেয়ে টাউনহলে প্রায় সবজির দাম বেশি। ঝিঙ্গা, করোলা, বেগুনের কেজি ৮০ টাকা। শসা ৮০ থেকে ১২০ টাকা কেজি, শিম ১৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, কচুমুখী ৬০ টাকা, লাউ ও চাল কুমড়ার ৪০ থেকে ৬০ টাকা।
প্রায়ই সবজির দাম এত বেশি কেন- এমন প্রশ্নের জবাবে টাউন হল মার্কেটের সবজি বিক্রেতা জহির বলেন, এগুলা কলাতিয়ার পণ্য, ভালো পণ্য। তাই বেশি দামে কেনা, বেশি দামে বিক্রি করা হচ্ছে।
তবে আশেপাশের বাজারের পণ্য কম দামে বিক্রি হচ্ছে জানালে তারা বলেন, তাদের পণ্যের গুণগত মান ভালো নয় বলে কম দামে দিতে পারছেন।
এদিকে ইউনিলিভারের বিভিন্ন ডিটারজেন্ট ও সাবানের দাম অনেক বেড়ে গেছে বলে বিক্রেতারা জানান। এ ব্যাপারে টাউন হল মার্কেটের নিউ হক স্টোরের কর্মী রাজন বলেন, খোলা চিনির কেজি ৯০ টাকা ও প্যাকেট ১০০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। তাতে কয় টাকা বেড়েছে ভালোভাবে খোঁজ নিয়ে দেখেন। ইউনিলিভারের আগের ৫৫ টাকার সাবান ৭৫ টাকা, ১০ টাকা সাবান ১৫ টাকা, ২১০ টাকার সার্ফএক্সেল ২৮০ টাকা হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, তবে নতুন রেটে সয়াবিন তেল বিক্রি করা হচ্ছে ৫ লিটার ৯৪০ টাকা ২ লিটার ৩৮৪ টাকা ও ১ লিটার ১৯২ টাকা। মসুর ডাল ৯০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি।
চালের কেজিতে কমেছে তিন টাকা
একই বাজারে ইকবাল জেনারেলের মালিক ইকবাল ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, আদা ১৩০ টাকা, পেঁয়াজ ৪৫ টাকা, রসুন ১২০ টাকা প্যাকেট চিনি ৯৫ টাকা ডাল ১৩৫ টাকা ২৮ চাল ৬০ টাকা, নাজির ৯০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এ সপ্তাহে তেমন বাড়েনি কোনো জিনিসের দাম। তবে চিনির দাম একটু চড়া।
আনোয়ার স্টোরের মান্নান বলেন, মিনিকেট ৭০ থেকে ৭২ টাকা কেজি, ২৮ বা অন্য মোটা পায়জাম ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে কমেছে দুই থেকে তিন টাকা। কমার কারণ জানতে চাইলে আনোয়ার রাইস স্টোরের মান্নান বলেন, আমদানি করা চাল বাজারে আসছে। তাই কম দামে কিনে কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পোলাও চালের দাম কমছে না। খোলা চাল ১২৫ টাকা ও প্রাণসহ অন্য কোম্পানির প্যাকেট চাল ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
ঝিম ধরে আছে মাংসের দর
এদিকে মাংসের চাহিদা না থাকায় আগের মতোই গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে জনপ্রিয় মাংস বিতানের জসিম জানান। মাংস আগের মতোই দামে বিক্রি করা হচ্ছে জানিয়ে তাজ ব্রয়লার হাউজের কুদ্দুস বলেন, পোল্ট্রি ১৭০ টাকা, পাকিস্তানি ২৮০ টাকা ও দেশি মুরগি ৪৫০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে।
কমছে না মাছের দাম
ইলিশের কেজি ১ হাজার ৬০০ টাকা। বড়টা হলে আরও দাম বেশি, ছোটগুলোর দাম ১ হাজার ২০০ টাকা অন্যান্য মাছের দামও আগের মতো বিক্রি করা হচ্ছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কমেনি কোনো দাম।
টাউন হল মার্কেটের মাছ ব্যবসা নুর মোহাম্মদ পারভেজ বলেন, ১ কেজি ওজনের ১ হাজার ৬০০ টাকা কেজি, একটু কম হলে ১ হাজার ২০০ টাকা আর বড় তাহলে ১ হাজার ৮০০ থেকে ২ হাজার টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। রুই, কাতলার কেজি ২৮০ থেকে ৪৫০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকা কেজি, আর বোয়াল ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এসব মাছের মধ্যে নদীর মাছের দাম বেশি। তবে চাষের মাছ কেজিতে ২০০ থেকে ৩০০ টাকা কম বলে বিক্রেতারা জানান।
জেডএ/এসএন