'বাংলাদেশ অর্থনৈতিক চাপে আছে, সংকটে নেই'
রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বাড়লে সামাজিক অসন্তোষের সৃষ্টি হয় উল্লেখ করে সিপিডির ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আগামী দু মাসে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে বলে সরকার বললেও তা কোনোভাবে সম্ভব না। ২০২৩ বা ২৪ সাল লেগে যাবে। বাংলাদেশ অথনৈতিকভাবে চাপে আছে, তবে সংকটে নেই।
ইকোনোমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) আয়োজিত 'ইআরএফ ডায়লগ' অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
ইআরএফ-এর সভাপতি শারমিন রিনভীর সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলামের সঞ্চালনায় এ ডায়লগ মঙ্গলবার (৩০ আগষস্ট) রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে ইআরএফের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এই অর্থনীতিবিদ বলেন, যে ধরনের উদ্দীপনা নিয়ে ২০১৪ সালে খেলাপি ঋণ আদায়ের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল পরে আর হয়নি। কারণ স্বার্থ আদায়কারি সংগঠনগুলো অত্যন্ত শক্তিশালী। আর এর সুবিধাভোগীরা তেমন সংগঠিত নয়। গভর্নর আমানত ও ঋণের নয় ছয় এর বাইরে না। আমিও এর বাইরে না। কারণ আমানতের নয় থেকে ১২ করে এবং ঋণের ক্ষেত্রে ছয় থেকে নয় করে লাভ কী। এতে মূল্যস্ফীতি আরও বেড়ে যাবে। বরং এই নয় ছয় ভালোভাবে নজরদারি করলেই অনেকটা উপকার হবে। মূল্যস্ফীতি, টাকার বিনিময় হার ও সুদের হারের মধ্যে সমন্বয় নেই। এতে ভোগান্তিতে পড়ছে মানুষ।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, পদ্মা সেতু হবে না এ কথা কেউ বলেনি। অর্থ নিয়ে কথা বলা হয়েছিল। অর্থ ছাড়ে বড় ঝুঁকি নিয়ে কথা বলা হয়েছিল। পদ্মা ব্রিজ নিয়ে কোনো বিরোধিতা ছিল না। কারণ এটা পাকিস্তান আমাল থেকেই সবার দাবি ছিল। অর্থনীতিবিদরা বিরোধিতা করেছে এটা অপপ্রচার ছাড়া আর কিছু নয়। হঠাৎ করে রাতে তেলের দাম লিটারে ৪৫ টাকা বৃদ্ধি, আবার ৫ টাকা কমানোর ঘোষণা, এটা হঠকারিতা। এক সচিব ও এক মন্ত্রীর মাধ্যমে হঠাৎ করে এ ঘোষণা। দক্ষতার অভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্ত দেওয়া হচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত কি রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, মন্ত্রিসভা না সংসদীয় কমিটির? কেউ কি নির্দিষ্ট করে বলতে পারবে? জবাবদিহিতার জায়গা দুর্বল হয়ে গেছে। নীতির বিশ্বাসযোগ্যতা আনতে হবে। কারণ বাজার খারাপ জিনিস। বাজারের যা অবস্থা তাতে সরকারের এখনই সিরিয়াসলি সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। স্বল্পকালীন ও মধ্যমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হবে।
জেডএ/টিটি/