তামাক খাতে আয়ের চেয়ে ক্ষতিই বেশি: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘তামাক সেক্টর থেকে সরকার যে পরিমাণ রাজস্ব পেয়ে থাকে, তারচেয়েও অনেক বেশি ক্ষতি হচ্ছে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব।’
রবিবার (২৮ আগস্ট) রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তামাক শিল্পের সঙ্গে অনেক মানুষ জড়িত আছে। এ মানুষগুলোর বিকল্প কাজের সুযোগ সৃষ্টি করে দিতে হবে। তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যা করণীয় সেগুলো করা হবে। সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার অর্ধেকে কমিয়ে আনা সম্ভব। তামাকবিরোধী সচেতনতা সৃষ্টির জন্য দেশের প্রচার মাধ্যমগুলোকে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার স্বাস্থ্য, জাতীয় অর্থনীতি ও পরিবেশের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলছে। সরকার বিষয়টির উপর গুরুত্ব দিয়ে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন প্রণয়ন করেছে এবং আইন বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৬ সালের ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি ঢাকায় অনুষ্ঠিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন শীর্ষক সাউথ এশিয়ান স্পিকারস সামিট সমাপনী অনুষ্ঠানে ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে তামাকের ব্যবহার সম্পূর্ণ নির্মূল করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এ ঘোষণা বাস্তবায়নে কাজ চলছে।’
ঢাকা আহছানিয়া মিশনের উদ্যোগে আয়োজিত এ সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন নির্বাহী পরিচালক সাজেদুল কাইয়ুম দুলাল। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি সাবেক হোসেন চৌধুরী এবং বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত।
সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা আহছানিয়া মিশন হেলথ সেন্টারের উপ-পরিচালক মোখলেছুর রহমান। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিসিআইসি’র অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ক্যাম্পেইন ফর টোব্যাকো ফ্রি কিডসের লিড পলিসি অ্যাডভাইজার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল ও স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সমন্বয়কারী (অতিরিক্ত সচিব) হোসেন আলী খন্দকার, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার সৈয়দ মাহফুজুর হক।
জেডএ/এসজি
