‘মূল্যস্ফীতি থেকে মানুষকে নিষ্কৃতি দিতে হবে’
জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাব সব জায়গায় পড়েছে। চাল, ডাল, আটা থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে উল্লেখ করে অর্থনীতিবিদ ও পিআরআইয়ের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, এভাবে চলতে পারে না। দেশের মানুষকে মূল্যস্ফীতি থেকে নিষ্কৃতি দিতে হবে। ব্যাংকের ঋণ ও আমানতে ৯ শতাংশ ও ৬ শতাংশ সুদের বাধা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
রবিবার (২১ আগস্ট) নিউ চ্যালেঞ্জেস ইন দ্য ইকনোমিক অব বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ সব কথা বলেন।
রাজধানীর পল্টন টাওয়ারে অর্থনৈতিক বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফ অফিসের সম্মেলন কক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিকল্পনামন্ত্রী ড. শামসুল আলম।
আহসান এইচ মনসুর বলেন, জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির প্রভাবে চাল ডাল থেকে শুরু করে সব জিনিসের দাম বেড়ে গেছে। এতে মূল্যস্ফীতি বাড়তে শুরু করেছে। আগামী মাসে এটা ১০ শতাংশ হবে। করোনা পরবর্তী আমদানি অনেক বেড়ে গেছে। কিন্তু মুদ্রা বিনিময় হার সেভাবে অবমূল্যায়ন করা হয়নি। তাতে লাভ হয়নি। ৮৪ টাকা থেকে বর্তমানে ডলারের দাম বাড়তে বাড়তে বিভিন্ন রেট হয়ে গেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের ৯৫ টাকা, ব্যাংকে ১০৫ টাকা আর খোলা মার্কেটে ১১৫ টাকা। যার কাছে যা পাওয়া যাচ্ছে সেভাবে নেওয়া হচ্ছে। এভাবে মার্কেট চলতে পারে না। এই অর্থনীতি বলেন, রপ্তানি বাড়বে, রেমিটেন্স বাড়বে। অর্থনীতি ব্যালেন্সে আসবে। কিন্তু মূল্যস্ফীতি নিয়ে ভাবতে হবে। কারণ চালের অবস্থা ভালো না। এবার বৃষ্টিপাত কম হয়েছে। আমনের উৎপাদন কমবে। চাল আমদানির ঘোষণা দিলেও দেশে তা আসছে না। তাই আরও ডিউটি (শুল্ক) কমাতে হবে। মজুদ বাড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সরকার বিভিন্ন প্রকল্প ব্যয় কমা থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এটা ভালো দিক। তবে রাজস্ব বৃদ্ধির উপর আরও নজর দিতে হবে। রেগুলেশন রিফর্ম করতে হবে। এনবিআর এর ভোগান্তি কমাতে হবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে।
জেডএ/আরএ/