ব্যবসায়ীরা সবাই এক লাফে সুযোগ নেয়: টিপু মুনশি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় ‘সুযোগ নিয়েছে কেউ কেউ। যে পরিমাণ বাড়ার কথা, তার থেকে অনেক বেশি সুযোগ নিয়েছে-এটা সত্যি কথা। আমরা চেষ্টা করছি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে হিসাব আছে। ধরেন তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচের জন্য চাল প্রতি কেজিতে ৫০ পয়সা করে বাড়তে পারে। সেখানে ব্যবসায়ীরা চার টাকা পর্যন্ত বাড়িয়েছে। এখানে কোনো লজিক আছে? নাই। তার মানে সুযোগটা নিয়ে নিয়েছে। আমাদেরকে একটু সময় দেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি।’
বুধবার (১৭ আগস্ট) সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন বাণিজ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, ‘ব্যবসায়ীরা সুযোগ যখন নেয়, সবাই একবারে লাফ দিয়ে নেয়। কিন্তু আমরা তো এসব একবারে শেষ করতে পারব না। তাদের সঙ্গে বসে ঠিক করতে হবে। আমাদেরকে একটু সময় দেন। আমরা সবাই মিলে চেষ্টা করছি।’
গত ৫ অগাস্ট ডিজেল ও কেরোসিনের দাম একলাফে ৪২ দশমিক ৫ বাড়ানো হয়, তাতে প্রতি লিটারের দাম হয় ১১৪ টাকা। পেট্রোলের দাম ৫১ দশমিক ১৬ বেড়ে প্রতি লিটার ১৩০ টাকা এবং অকটেনের দাম ৫১ দশমিক ৬৮ শতাংশ বেড়ে প্রতি লিটার ১৩৫ টাকা হয়।
তেলের দাম বাড়ার কারণে গণপরিবহনের ভাড়া বেড়েছে। আর পরিবহন ব্যয় বাড়ার অজুহাত দেখিয়ে বাজারে সব নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে থাকে।
ব্যবসায়ীরাও বলছেন, তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে পরিবহন ব্যয় বেড়েছে, তাতে প্রায় সব ধরনের নিত্য-প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বেড়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় মানুষ কষ্টে আছে। আমাদের যেটা দেখা দরকার, কষ্টটা লাঘব করার জন্য আমাদের প্রধানমন্ত্রী কী চেষ্টা করছেন।’
তিনি বলেন, ‘আমি সচিবকে বলেছি, যে যে মন্ত্রণালয়ে আছেন, সবাইকে চেষ্টা করতে হবে। ডলারের দাম হঠাৎ করে কত বেশি। খুব চেষ্টা করা হচ্ছে, কীভাবে কী করা যায়।’
‘অসাধু’ ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে-এমন প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, ‘সেটা আমরা ব্যবস্থা নেব। বলছি, সব কিছুতেই তো সুযোগ নিচ্ছে। সেটা আমরা দেখবে।’
কবে নাগাদ বাজার স্বাভাবিক হতে পারে-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘সেটা বলা যাবে না। তবে আমরা খুব আশাবাদী, অক্টোবরের মধ্যে কিছুটা কমে আসবে।’
তিনি বলেন, ‘কতোগুলো ফ্যাক্টর কাজ করে, আমি জানি না পুতিন সাহেব কবে যুদ্ধ বন্ধ করবেন। সেটা তো আমার হিসেবের মধ্যে নেই।’
এনএইচবি/এমএমএ/