বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ | ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
Dhaka Prokash
Header Ad

ফিরে দেখা ২০২১

ফিরেনি ব্যাংক খাতে শৃঙ্খলা

২০২০ সালের করোনার ধাক্কা সামলাতে সরকার বিভিন্নভাবে উদ্যোগ নেয় চলতি বছরে। অর্থনীতি চাঙ্গা করাই ছিলো উদ্দেশ্য। ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ব্যবসায়ীদের প্রণোদনা প্যাকেজসহ বিভিন্নভাবে সুবিধা দেয়। কিন্তু তাতে বিভিন্ন স্থানে হয়েছে নয়-ছয়। খেলাপী ঋণের লাগাম টানা যায়নি। তা কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। অনিয়মে সহায়তা করার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নর ও কয়েকজন নির্বাহী পরিচালককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যা নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। শুধু তাই নয়, নিজের ব্যাংকে ভুয়া ঋণ নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে এসবিএসি ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। এমনকি ব্যাংকারদের নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হওয়ায় নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে। ব্যাংকে জমে টাকার পাহাড়। সুদহার কমতে সুদ বেঁধে দিলেও তেমন কার্যকর হয়নি নয়-ছয়। এভাবে বিভিন্ন আলোচনার মাধ্যমে ২০২১ সাল বিদায় হচ্ছে ব্যাংক খাত।

খেলাপি ঋণ:

বিশ্বব্যাপী মহামারি করোনার প্রভাবে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংকট দেখা দেয়। তা মোকাবেলা করতে বিভিন্ন সুযোগ দেয় সরকার। এরফলে ২০২০ সালে তেমন ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয়নি গ্রাহককে। খেলাপী হয়নি ব্যাংক।। ফলে কাগজে-কলমে কমে যায় খেলাপি ঋণ। বছরের শুরু হয় ৮৮ হাজার ৭৩৪ কোটি টাকার খেলাপি ঋণ নিয়ে। এরপরও অনেক ক্ষেত্রে সুবিধা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বিভিন্ন শিথিলতার আওতায় চলতি বছর একজন গ্রাহকের যে পরিমাণ ঋণ পরিশোধের কথা, ডিসেম্বরের মধ্যে তার ২৫ শতাংশ পরিশোধ করলেও তাকে আর খেলাপি করা যাবে না। এরপরও বাড়ছে খেলাপিঋণ। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য মতে, সেপ্টেম্বর মাসে তৃতীয় প্রান্তিক শেষে ব্যাংক খাতের মোট ঋণ স্থিতি দাঁড়ায় ১২ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে খেলাপি পরিণত হয়েছে এক লাখ এক হাজার ১৫০ কোটি টাকা। যা মোট ঋণের ৮ দশমিক ১২ শতাংশ। এরফলে চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে খেলাপি ঋণ বাড়ে ১২ হাজার ৪১৬ কোটি টাকা।

প্রণোদনা ঋণে ‘নয়-ছয়’:

করোনার সংকট থেকে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করতে সরকার বিভিন্ন খাতে মোট ২৮টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সব মিলিয়ে এসব প্যাকেজে অর্থের পরিমাণ ১ লাখ ৩১ হাজার ৬৪১ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১ লাখ ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকার নয়টি প্যাকেজের বাস্তবায়ন হচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে। কিন্তু অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের এ প্যাকেজ নিয়েও অনিয়ম, ঋণজালিয়াতি ও বেআইনিভাবে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের অভিযোগ ওঠে। সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর জরিপে বলা হয়েছে, দুর্নীতিবাজদের ঘুষের পাতা ফাঁদ সরকারঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নের পথে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাব ও দুর্নীতিবাজদের কারণে দেশের ৭৯ শতাংশ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানই ঘোষিত ওই প্রণোদনা প্যাকেজের অর্থ পায়নি।

ব্যাংক মালিক ও শীর্ষ নির্বাহীরাও অনিয়মে:

আগে যা কখনো ঘটেনি চলতি বছরে ব্যাংকপাড়ায় ব্যাপকভাবে আলোড়ন সৃষ্টি করে সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স (এসবিএসি) ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এস এম আমজাদ হোসেনের নাম। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে নামে-বেনামে নিজ ব্যাংকের অর্থ সরানোর। ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে তুলে নিয়েছেন টাকা, কর্মচারীদের নামে ঋণ নিয়েছেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাংলাদেশ আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট (বিএফআইইউ)-এর প্রতিবেদন বলছে, খুলনা বিল্ডার্স নামের একটি নামসর্বস্ব কাগুজে প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে আমানতকারীদের ২০ কোটি ৬০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন আমজাদ হোসেন। এমন অভিযোগে মামলাও হয়েছে দুদকে। শেষ পর্যন্ত পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন তিনি।

অনিয়ম আর স্বেচ্ছাচারিতায় বছরের শুরু থেকেই আলোচনায় ছিল ন্যাশনাল ব্যাংক। কিছুদিন কোনো পর্ষদসভা না থাকলেও প্রায় ৯০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়। নামে-বেনামে ঋণ বিতরণ ঠেকাতে নতুন করে ন্যাশনাল ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এছাড়া নানা অভিযোগে ন্যাশনাল ব্যাংকের সাবেক এমডি বুলবুলকে নিষিদ্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।

অপরদিকে অতিতের সব রেকর্ড ভেঙ্গে অনিয়মে সহায়তা করার অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুই ডেপুটি গভর্নরসহ তিনজন নির্বাহী পরিচালককে (ইডি) জিজ্ঞাসাবাদও করেছে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের অনিয়মের কারণ উদঘাটনে গঠিত ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং (কারণ উদ্ঘাটন) কমিটি। এটা চলতি বছরের নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। অর্থের বিনিময়ে অনিয়ম গোপন ও নানা কেলেঙ্কারিতে সহযোগিতার অভিযোগ ওঠে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস কে সুর ও বর্তমান নির্বাহী পরিচালক শাহ আলমের বিরুদ্ধে। এছাড়া সাবেক ডেপুটি গভর্নর এস এম মনিরুজ্জামান, সাবেক নির্বাহী পরিচালক ম. মাহফুজুর রহমান, শেখ আব্দুল্লাহকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

এছাড়া বছরজুড়ে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোও (এনবিএফআই) আলোচনায় ছিল। বছরের শুরুতে বেসরকারি খাতের আর্থিক প্রতিষ্ঠান উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টস লিমিটেড’র বড় ধরনের আর্থিক কেলেঙ্কারির তথ্য বেরিয়ে আসে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদন ছাড়াই প্রতিষ্ঠানটির পরিচালকরা ঋণ বের করে নেন। যার নথিপত্রও গায়েব করে ফেলা হয়।

 

ব্যাংক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস:

বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন ব্যাংকের নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হয়। কিন্তু বছরের শেষে সেখানেও আলোচনার জন্ম দিয়েছে। গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পাঁচটি সরকারি ব্যাংকের এক হাজার ৫১১টি ‘অফিসার ক্যাশ’ পদের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর একাধিক প্রার্থী অভিযোগ করেন, পরীক্ষা শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ১০০টি প্রশ্নের প্রিন্ট করা উত্তরপত্র ফেসবুকে পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগ ওঠার পর পরীক্ষা বাতিল করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ব্যাংকার সিলেকশন কমিটি। ওই ঘটনায় দায়িত্বে থাকা আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়কে কালো তালিকাভূক্ত করে বাংলাদেশ ব্যাংক। একই সাথে সরকারি ব্যাংকের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

ঠিক থাকেনি আমানত-সুদে নয়ছয়:

সুদের লাগাম টানতে সরকার বেধে দেয় ঋণ-আমানতে নয়-ছয়। অর্থাৎ নয় শতাংশের বেশি সুদে ঋণ ও ছয় শতাংশের বেশি সুদে আমানত সংগ্রহ করা যাবে না। কিন্তু বছরের মাঝামাঝিতে আমানতের সুদহার ২ থেকে তিন শতাংশে নেমে যায়। বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনা জারি করে, তিন মাস ও এর বেশি মেয়াদি আমানতের সুদ কোনোভাবেই তিন মাসের গড় মূল্যস্ফীতির কম হতে পারবে না।

সরকারের ব্যাংকঋণ:

বাংলাদেশ ব্যাংকের এক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত সময়ে সরকার প্রয়োজনীয় খরচ মেটাতে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে মোট ১৮ হাজার ৭৫৩ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে। যা গত ২০২০-২১ অর্থবছরের এই পাঁচ মাসে ১ হাজার ৩১৬ কোটি ১৪ লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিল সরকার।

তবে ঋণের উল্টো চিত্র বেসরকারি খাতে। গত বছর করোনার ধাক্কায় ঋণ তলানিতে নামলেও বর্তমানে গতি ফিরছে বিনিয়োগ খাতে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২০-২১ অর্থবছরের অক্টোবর শেষে বেসরকারি খাতে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ১৯ হাজার ৫৩৭ কোটি টাকা। গত বছর একই সময়ে ব্যাংকগুলোর বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ছিল ১১ লাখ ১৪ হাজার ৩২২ কোটি টাকা।

রিজার্ভে রেকর্ড:

এক সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা হলেও সেই চিত্র পাল্টে গেছে। প্রবাসীদের পাঠানো আয় ও রফতানি আয় বাড়তে থাকায় বাড়তেই আছে রিজার্ভ। চলতি বছরের ৩ মে দেশের রিজার্ভ প্রথমবারের মতো ৪৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়ায়। ওইদিন রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৪৫ দশমিক ১০ বিলিয়ন ডলারে।

করোনা মহামারির মধ্যেও রিজার্ভের পরিমাণ একের পর এক রেকর্ড গড়ে। প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সের ওপর ভর করে রিজার্ভ গত ২৪ আগস্ট ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। ওইদিন রিজার্ভের পরিমাণ ৪৮ দশমিক শূন্য ৪ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ চার হাজার ৮০৪ কোটি ডলারে দাঁড়ায়। প্রতি মাসে চার বিলিয়ন ডলারের আমদানি-ব্যয় হিসাবে মজুত এ বৈদেশিক মুদ্রা দিয়ে ১২ মাসের আমদানি-ব্যয় মেটানো সম্ভব।

এদিকে রিজার্ভ বাড়তে থাকায় ঋণদাতার কাতারে জায়গা করে দিয়েছে বাংলাদেশ। সরকার বৈদেশিক মুদ্রার সংকটে থাকা শ্রীলঙ্কাকে ২৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। এরই মধ্যে আগস্টে পাঁচ কোটি ডলার ছাড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক। স্থানীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৪২৫ কোটি টাকা। বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকেই এ অর্থ দেওয়া হয়েছে।

বাড়তেই থাকে ডলারের দাম:

করোনার কারণে ২০২০ সালে আমদানি কমতে থাকে। কিন্তু বছরের শুরুতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে বাড়তি চাহিদার কারণে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ে মার্কিন ডলারের দাম। মান হারায় দেশীয় মুদ্রা ‘টাকা’। ২০২০ সালের জুলাই থেকে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে ডলারের দাম ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় স্থিতিশীল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে বড় ধরনের আমদানি-ব্যয় পরিশোধ করতে গিয়ে ডলারের সংকট শুরু হয়। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ ডিসেম্বর ব্যাংকগুলোর নিজেদের মধ্যে লেনদেনের জন্য প্রতি ডলারের বিনিময় মূল্য দাঁড়ায় ৮৫ টাকা ৮০ পয়সায়। তবে খোলাবাজার ও নগদ মূল্যে তা আরও বেশি ছিলো ডলারের দাম। এমন পরিস্থিতিতে গত জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ২০৩ কোটি ২০ লাখ অর্থাৎ ২০৩২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে পর্যাপ্ত বৈদেশিক মুদ্রা মজুত রয়েছে। বাজার স্থিতিশীল রাখতে ব্যাংকগুলোর চাহিদার বিপরীতে ডলার সরবরাহ করা হচ্ছে।

চলতি বছরের ব্যাংকিং খাতের সার্বিক ব্যাপারে জানতে চাইলে অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ২০২১ সালে ব্যাংকিং সেক্টর ভালো হবে না। এটা স্বাভাবিক। কারণ এটা ছিলো অতিমারির বছর। কাজেই খেলাপী ঋণ বাড়বে এটা স্বাভবিক। বেশির ভাগ ব্যাংকই প্রভিশন করেনি এটার বপরীতে। কিন্তু টাকা আসেনি। তারপরও লভাংশ দিয়েছে। কাজেই ব্যাংকের স্বাস্থ্যখাত খারাপ হবার কথা। তবে ব্র্যাক ব্যাংকে এর প্রভাব পড়েনি। সবাই চাই প্রণোদনা ভালোভাবে বিতরণ হোক। বড়দের ক্ষেত্রে তাড়াতাড়ি অর্থ বিতরণ হয়েছে। কিন্তু ব্র্যাক পুরোটাই বিতরণ করেছে। অন্য ব্যাংকের অদক্ষতা আছে। কাজেই তারা পারেনি। সরকারের নীতি এটার জন্য দায়ী। অদক্ষতা রয়েছে। ২০২২ সালেও নতুন চ্যালেঞ্জ হচ্ছে কোভিড। কারণ পশ্চিমা বিশ্বে আবার ভয়াবহ হচ্ছে। তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়বে।

Header Ad

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে কুশল বিনিময় করেছেন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বিকেলে সেনাকুঞ্জে সশস্ত্র বাহিনী দিবসের অনুষ্ঠানে তাদের এ কুশল বিনিময় হয়।

সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়া পৌঁছালে উপস্থিত সবাই তাকে স্বাগত জানান। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৩ সমন্বয়ক ও সরকারের উপদেষ্টা তার পাশে এসে দাঁড়ান এবং শারীরিক খোঁজখবর নেন। এ সময় খালেদা জিয়া তাদের অভিনন্দন জানান এবং দেশকে এগিয়ে নিতে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার পরামর্শ দেন।

এ সময় এই ৩ উপদেষ্টা বিএনপি চেয়ারপারসনের কাছে দোয়া চান এবং সরকারের সংস্কার কাজে তার সর্বাত্মক সহযোগিতা চান।

এদিকে সেনাকুঞ্জে গেলে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী খালেদা জিয়া এখানে এসেছেন। একযুগ তিনি আসার সুযোগ পাননি। আমরা গর্বিত এই সুযোগ দিতে পেরে। দীর্ঘদিনের অসুস্থতা সত্ত্বেও বিশেষ দিনে সবার সঙ্গে শরিক হওয়ার জন্য আপনাকে আবারও ধন্যবাদ। আপনার আশু রোগমুক্তি কামনা করছি।

Header Ad

দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম

ছবি: সংগৃহীত

আবারও স্বর্ণের দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। এবার ভরিতে ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।

বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) থেকেই নতুন এ দাম কার্যকর হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন দাম অনুযায়ী, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটের স্বর্ণের দাম পড়বে ১ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩৩ হাজার ৯৮ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১৪ হাজার ৮৬ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯৩ হাজার ৬৭৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বাজুস আরও জানায়, স্বর্ণের বিক্রয়মূল্যের সঙ্গে আবশ্যিকভাবে সরকার-নির্ধারিত ৫ শতাংশ ভ্যাট ও বাজুস-নির্ধারিত ন্যূনতম মজুরি ৬ শতাংশ যুক্ত করতে হবে। তবে গয়নার ডিজাইন ও মানভেদে মজুরির তারতম্য হতে পারে।

স্বর্ণের দাম কমানো হলেও দেশের বাজারে অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। দেশে ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৫৭৮ টাকায়। এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ৪৪৯ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ২ হাজার ১১১ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি রুপা বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৫৮৬ টাকায়।

এর আগে, সবশেষ গত ১৯ নভেম্বর দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম সমন্বয় করেছিল বাজুস। সে সময় টানা চার দফা কমার পর ভরিতে ২ হাজার ৯৪০ টাকা বাড়িয়ে ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা নির্ধারণ করেছিল সংগঠনটি।

এ ছাড়া ২১ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ৩১ হাজার ১৯৭ টাকা, ১৮ ক্যারেটের প্রতি ভরি ১ লাখ ১২ হাজার ৪৫৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ২৮৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা কার্যকর হয়েছে গত ২০ নভেম্বর থেকে।

এ নিয়ে চলতি বছরে এখন পর্যন্ত দেশের বাজারে ৫১ বার স্বর্ণের দাম সমন্বয় করা হয়েছে। যেখানে ৩০ বার দাম বাড়ানো হয়েছে, আর কমানো হয়েছে ২১ বার।

Header Ad

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

ছবি: সংগৃহীত

দেশের জনপ্রিয় নির্মাতা আশফাক নিপুন। কাজের পাশাপাশি সামাজিক মাধ্যমেও বেশ সরব তিনি। কথা বলেন নানা ইস্যু নিয়ে। সেই ধারাবাহিকতায় সরকার পতনের পর অন্তবর্তীকালীন সরকার গঠনেও বিভিন্ন সময় নিজের আকাঙ্ক্ষা, প্রত্যাশার কথা জানিয়েছেন। পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর উদ্দেশ্যেও বিভিন্ন বার্তা দিয়েছেন। এবার এমনি একটি বার্তায় দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি জনগনের আস্থার বিষয়ে আক্ষেপ জানালেন এই নির্মাতা।

বুধবার (২০ নভেম্বর) আশফাক নিপুন তার ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে লেখেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে সর্বস্তরের ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছিল, বাসায় বসে বসে দোয়া করেছিল, যার যা সামর্থ্য দিয়ে সহায়তা করেছিল। কারণ, তারা দেখেছিল লড়াইটা আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শাসক বনাম সাধারণ ছাত্র-জনতার। এটাও অস্বীকার করার কোনো উপায় নাই যে এই আন্দোলন বেগবান করতে বিরোধী সকল দলের কর্মীদের ভূমিকা অনস্বীকার্য। তাদের সংগ্রামও গত দেড় দশকের। কিন্তু এটা যদি শুধুমাত্র রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যকার লড়াই হতো তাহলে সাধারণ মানুষ এই লড়াই থেকে দূরে থাকত। সেই প্রমাণ বিগত ১৫ বছরে আছে।

‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, দেশের সাধারণ মানুষ এখনো দেশের কোনো রাজনৈতিক দলকেই পুরোপুরি বিশ্বাস করতে পারে না। এটাই বাস্তবতা। এই বাস্তবতা মেনে সকল রাজনৈতিক দলগুলোর উচিত কীভাবে সাধারণ জনগণের ভেতর নিজের দলের প্রতি আস্থা তৈরি করা যায় সেই বিষয়ে নিরলস কাজ করা। এই আস্থা ক্ষমতায় গিয়ে অর্জন করা সম্ভব না। কারণ, সাধারণ মানুষ আজীবন এস্টাবলিশমেন্টের বিপক্ষে। এই আস্থা অর্জন করতে হয় ক্ষমতা বলয়ের বাইরে থেকেই।

নিপুন আরও লিখেন, অরাজনৈতিক সরকার দিয়ে দীর্ঘদিন দেশ চালানো যেমন কাজের কথা না ঠিক তেমনি রাজনৈতিক সরকার হতে চাওয়া সকল রাজনৈতিক দলগুলোর বোঝা উচিত মুক্তিযুদ্ধের পরে বাংলাদেশের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় গণঅভ্যুত্থান সংগঠিত হয়েছে সকল প্রকার পূর্বানুমান (যেমন- বর্ষাকালে আন্দোলন হয় না, নির্বাচনের আগেই কেবল জোরেশোরে আন্দোলন হয়, ঘোষণা দিয়ে বিরোধী সকল পক্ষ আন্দোলনে শামিল না হলে সফল হয় না) অগ্রাহ্য করেই। সেটা সম্ভব হয়েছে সাধারণ মানুষের ন্যায্যতার আকাঙ্ক্ষা থেকেই।

সবশেষ এই নির্মাতা লিখেছেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষার দুই পয়সার দাম দেন নাই। সাধারণ মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা, ইচ্ছা আর দেশপ্রেমকে পুঁজি করে অরাজনৈতিক এবং রাজনৈতিক যারাই রাজনীতি রাজনীতি খেলতে চাইবে, তাদের দশাও কোন একসময় যেন পলাতক শেখ হাসিনার মতো না হয়, সেই বিষয় নিশ্চিত করতে হবে তাদেরকেই।

Header Ad

সর্বশেষ সংবাদ

খালেদা জিয়ার সঙ্গে কুশল বিনিময় করলেন মাহফুজ-আসিফ-নাহিদ
দেশের বাজারে আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম
‘দেশের মানুষ এখনো কোনো রাজনৈতিক দলকেই বিশ্বাস করতে পারে না’
‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে’: প্রধান উপদেষ্টা
নওগাঁ শহরে শৃঙ্খলা ফেরাতে বিশেষ অভিযান শুরু
২০২৬ সালের মাঝামাঝিতে নির্বাচন হতে পারে: উপদেষ্টা সাখাওয়াত
সেনাকুঞ্জে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে খালেদা জিয়ার শুভেচ্ছা বিনিময়
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে আহত ৫ জনকে রোবটিক হাত উপহার
সেনাকুঞ্জের পথে খালেদা জিয়া
সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে মামলায় লড়ব: জেড আই খান পান্না
নির্বাচন কমিশন গঠন, সিইসি হলেন অবসরপ্রাপ্ত সচিব নাসির উদ্দীন
ডিএনএ টেস্টের ফলাফল: ভিনিসিয়ুসের পূর্বপুরুষ ছিলেন ক্যামেরুনের
জামিন পেলেন সাংবাদিক শফিক রেহমান
বিএনপি ছেড়ে আওয়ামী লীগে আসা সেই শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার
মিরপুর ও মহাখালীতে অটোরিকশা চালকদের সেনাবাহিনীর ধাওয়া
‘শেখ হাসিনা এখনও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী’, এমন কথা বলেননি ট্রাম্প
লেবাননে ৮ শতাধিক ইসরায়েলি সেনা নিহত
ভারতে সাজাভোগ শেষে দেশে ফিরল ২৪ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরী
ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবরোধ করে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকদের বিক্ষোভ
গাজায় ইসরায়েলের হামলায় আরও ৮৮ ফিলিস্তিনি নিহত