বরেন্দ্র এলাকায় পানি সংরক্ষণসহ ৬ প্রকল্প অনুমোদন
বরেন্দ্র এলাকায় পানি সংরক্ষণসহ ৬টি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায়। প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৫০৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ১ হাজার ৬২৮ কোটি টাকা এবং বৈদেশিক ঋণ সহায়তা থেকে ৮৭৬ কোটি ৬২ লাখ টাকা ব্যয় করা হবে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা। সভা শেষে সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, সচিব মামুন-আল-রশীদ, ভৌত অবকাঠামো বিভাগের সদস্য সত্যজিৎ কর্মকার, তথ্য ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব ড. শাহনাজ আরেফিন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ২ হাজার ৫০৪ কোটি টাকা ব্যয়ে ৬ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পগুলো সঠিক সময়ে বাস্তবায়ন করে নাগরিক সেবা দেওয়া হবে।
একনেকে অনুমোদিত প্রকল্পগুলো হচ্ছে- সোনাপুর-কবিরহাট-কোম্পানীগঞ্জ ও বসুরহাট-দাগনভূঁইয়া আঞ্চলিক মহাসড়ক যথাযথমানে উন্নীতকরণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৭ কোটি টাকা। গল্পামারী-বটিয়াঘাটা-দাকোপ-নলিয়ান ফরেস্ট সড়কের ২৮তম কিলোমিটারে চুনকুড়ি নদীর ওপর চুনকুড়ি সেতু নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৪৫ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। আশুগঞ্জ অভ্যন্তরীণ কন্টেইনার নদীবন্দর স্থাপন প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা। কর্ণফুলী নদীর তীর বরাবর কালুরঘাট সেতু থেকে চাক্তাই খাল পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ৪৩৬ কোটি ১৫ লাখ টাকা। বিসিক মুদ্রণ শিল্প নগরী প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১২৫ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। এ ছাড়া সভায় বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ প্রকল্পেরও অনুমোদন দেওয়া হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২৪৯ কোটি টাকা।
জেডএ/এসজি/