১৪ টাকা কমিয়ে ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব
জ্বালানি তেলের উত্তাপের মধ্যেই নতুন শঙ্কা। এবার বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় মানুষ যখন ব্যয়ের খাতা কাটছাঁট করতে শুরু করেছে। ঠিক সে সময় নতুন করে ব্যয় বাড়ানোর বার্তা দিয়েছে ভোজ্যতেলের মিলমালিকরা। তারা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
গত কয়েক মাস ভোজ্যতেলের অস্থির বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকার উদ্যোগী হয়ে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর ১৫ দিনের মাথায় আবার বাড়ানোর প্রস্তাব করল। গত ১৭ জুলাই সরকার ১৪ টাকা কমিয়ে ভোজ্যতেলের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছিল। এবার মিলমালিকরা ২০ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে।
বর্তমান বাজারে প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮৫ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৬৬ টাকা, এবং পাম তেল ১৫২ টাকা।
দাম বাড়ানোর প্রস্তাব নিয়ে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনে গেছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
গত বৃহস্পতিবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া ওই আবেদনে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ২০ টাকা করে বাড়ানোর দাবি জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সচিব নুরুল ইসলাম মোল্লাহ।
তিনি জানান, ‘ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে তেলের আমদানি মূল্যে বড় ধরনের চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তেল কিনতে এখন প্রতি ডলারের জন্য ১১০ টাকারও বেশি খরচ করতে হচ্ছে। ডলারের মূল্য বৃদ্ধি বিবেচনায় দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে বিশ্ব বাজারে এখন প্রতি টন অপরিশোধিত ভোজ্যতেলের দাম ১৬০০ ডলারে স্থিতিশীল রয়েছে বলে জানান তিনি। রাশিয়া-ইউক্রেইন উত্তেজনার মধ্যে বিশ্বে ভোজ্য তেলের বাজার অস্থির হয়ে ওঠে।
তিন মাস আগে অপরিশোধিত তেলের দাম প্রতি টন ১৯০০ ডলারের কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল। দেশের বাজারেও সয়াবিন তেলের দাম বেড়ে প্রতি লিটার ২০০ টাকার উপরে উঠে যায়। বছরের প্রথম ভাগে যুদ্ধ শুরুর আগে-পরে বাংলাদেশেও কয়েক দফায় বাড়ানো হয় দাম।
এসএম/এমএমএ/