জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধিতে অস্থির হওয়ার কারণ নেই: বাণিজ্যমন্ত্রী
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষের উপর এর প্রভাব পড়বে, এতে একটু কষ্ট হবে কিন্তু শেখ হাসিনা তা দেখবে। অস্থির হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রবিবার (৭ আগস্ট) ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনীতি ও বাণিজ্য ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজধানীর মতিঝিলে ফেডারেশন ভবনের সম্মেলন কক্ষে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, এফবিসিসিআই’র সাবেক সভাপতি শহিদুল ইসলাম মহিউদ্দিন ও বেঙ্গল গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোর্শেদ। সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান।
মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিকভাবে আমাদের অর্থনৈতিক দিক থেকে বঞ্চিত করা হয়েছিল, পাকিস্তান আমলে বঙ্গবন্ধু তা আমাদের সামনে তুলে ধরেছিলেন ছয় দফার মাধ্যমে। বাঙালি তখন ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। তার কন্যার নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হয়েছে। এটা ভালোভাবে দেখে না ষড়যন্ত্রকারীরা। কথায় আছে না— দেখতে না পারলে তার চলন বাঁকা।
সালমানের রহমান বলেন, দেশ স্বাধীনের সময় যে ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল তার আলামত এখন আমরা দেখতে পাচ্ছি। করোনা পর্যন্ত আমাদের দেশ ভালোই ছিল। কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের পর রিজার্ভে প্রভাব পড়ে গেছে। তাই কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমদানি ব্যয় অনেক কমতে শুরু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক তা ডিক্লার দিয়েছে। আশা করি যে আগামী ডিসেম্বরে আবার স্বাভাবিক হয়ে যাবে রিজার্ভ। কিন্তু খুবই বিপদজনক ব্যাপার হচ্ছে যে, ষড়যন্ত্রকারীরা পিছু হটেনি। পদ্মা সেতু সুনামের সঙ্গে করা হয়েছে, সবাই প্রশংসা করছে। বিএনপি বলছে এর খরচ বেড়ে গেছে। সেই বক্তব্য এখন দেখছি রিফেক্ট হচ্ছে।
ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, বুকে হাত দিয়ে বলেন যে, গত ১৫ বছরে ব্যবসার উন্নয়ন হয়নি। কেউ বলতে পারবেন না যে আমাদের উন্নয়ন হয়নি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে ব্যবসায়ীরা বড় ফ্যাক্টর হয়ে যায়। তাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমাদের স্বার্থে আগামী নির্বাচনেও নেতৃত্বে নিয়ে আসতে হবে।
জেডএ/আরএ/