সয়াবিন তেলের দাম কমায় মূল্যস্ফীতি কমেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী
পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, খাদ্যদ্রব্যের দাম কমে আসায় জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমেছে। সয়াবিন তেল আমাদের খাদ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পণ্যটির দাম কিছুটা কমায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।’
বুধবার (৩ আগষ্ট) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিবিএসের উদ্ধৃতি দিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের জুলাই মাসের মূল্যস্ফীতির তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
বিবিএস বলছে, জুলাই মাসে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশে। যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ১৯ শতাংশে, যা আগের মাসে ছিল ৮ দশমিক ৩৭ শতাংশ।
মন্ত্রী বলেন, ‘৪২২টি পণ্যের দাম নিয়ে মূল্যস্ফীতির এই হিসাব করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো। হিসাব অনুযায়ী সার্বিক মূল্যস্ফীতি জুলাই মাসে কমেছে দশমিক ৮ শতাংশ। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমেছে দশমিক ১৮ শতাংশ।’
এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘যারা আশা করেছিল মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশ শ্রীলঙ্কা হবে আল্লাহর রহমতে তাদের সে আশা পূরণ হয়নি। মূল্যস্ফীতি কমতির এ ধারা অব্যাহত থাকবে। কেননা দুই মাস পর রোপা আমন ধান ঘরে উঠবে। চাল আমদানির পথও খোলা রয়েছে।’
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জুলাই মাসে গ্রামাঞ্চলে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক শূন্য ২ শতাংশে। যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ। গ্রামে খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে হয়েছে ৮ দশমিক ৭৯ শতাংশ, যা জুন মাসে ছিল ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ। তবে সেখানে খাদ্য বহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধি পেয়েছে। এটা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫৮ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৫১ শতাংশ।
অপরদিকে শহরে সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৫১ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক ৬২ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ৮৪ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৭ দশমিক ১১ শতাংশ। তবে শহরেও খাদ্য বহির্ভূত পণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। এটি দাঁড়িয়েছে ৬ দশমিক ১৫ শতাংশে, যা জুন মাসে ছিল ৬ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আমার মনে হয় আগাস্ট মাসে মূল্যস্ফীতির এই হার আরও একটু কমবে। কমার একটা লক্ষণ আমি লক্ষ্য করছি। যুদ্ধের মধ্যেও ইউক্রেইন থেকে খাদ্য নিয়ে জাহাজ ছাড়া শুরু হয়েছে।’
এখানো বাজারে নিত্যপণ্যের বাজার চড়া, কীভাবে কমল জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “মূল কারণ হচ্ছে খাদ্য দ্রব্যের দাম কমে আসা। সয়াবিন তেল আমাদের খাদ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই পণ্যটির দাম কিছুটা কমে আসায় বাজারে এর প্রভাব পড়েছে।’
উল্লেখ্য, ৭ দশমিত ৪৮ শতাংশ মূল্যস্ফীতি মানে গত বছরের জুলাই মাসে দেশের মানুষ যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পেয়েছিলেন, এ বছর জুলাই মাসে তা কিনতে ১০৭ টাকা ৪৮ পয়সা খরচ করতে হয়েছে।
জেডএ/