দেশে ৪৯ শতাংশ টাকা আসে হুন্ডির মাধ্যমে: অর্থমন্ত্রী
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জানিয়েছেন, দেশে এখনো ৪৯ শতাংশ টাকা আসছে হুন্ডির মাধ্যমে আর বৈধ চ্যানেলে আসছে ৫১ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘হুন্ডির মাধ্যমে যদি টাকা নিয়ে আসেন সেটিকে অবৈধ বলব না, সেটি কালো টাকা। যারা সেই টাকা হুন্ডির মাধ্যমে নিয়ে আসেন, তারা সব সময় বিবেকের কাছে দায়ী থাকবেন।’
বুধবার (৩ আগস্ট) ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা ও সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘অনেক টাকা হয়ে গেলে সেটি কিন্তু রেকর্ড করতে পারছেন না, কারণ হুন্ডির টাকা রেকর্ড করতে পারছেন না। কখনো ইনকাম ট্যাক্স বা রেগুলেটরি অথরিটি প্রশ্ন করলে জবাব দিতে পারবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘প্রবাসীদের হুন্ডির মাধ্যমে টাকা না পাঠিয়ে বৈধ পথে ব্যাংকিং চ্যানেলে টাকা পাঠাতে প্রধানমন্ত্রী আহ্বান জানিয়েছেন।’
হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পাঠানোর পরিমাণ কি বেড়ে গেছে-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা সব সময় প্রত্যাশা করি বিদেশ থেকে টাকা আসুক অফিসিয়াল চ্যানেলে। কারণ, এটার যে সুফল সেটি অত্যন্ত প্রাসঙ্গিক।’
মুস্তফা কামাল বলেন, ‘সারাবিশ্বে অফিসিয়াল চ্যানেলে অর্থ আনা প্রাধান্য পায়, আমরাও সেভাবে প্রাধান্য দিচ্ছি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের সব সময় তাদের উৎসাহিত করতে বলেন। এই টাকা তাদের টাকা, পরবর্তী সময়ে তারা যেকোনো কাজে ব্যবহার করতে পারবেন। কিন্তু হুন্ডির মাধ্যমে টাকা আনলে প্রশ্ন উঠবে-তারা টাকা পেলে কোথায়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে তথ্য আছে এখনো হুন্ডির মাধ্যমে টাকা পয়সা আসে। যাতে করে কম আসে সেটি নিরুৎসাহিত করতে আমরা তাদের সুফলটা বলছি।’
প্রধানমন্ত্রীও সেটি করেছেন। রেমিট্যান্স আমাদের অন্যতম একটি খাত। রপ্তানি বাণিজ্যের পরে রেমিট্যান্স আমাদের অর্থনীতি এগিয়ে নিচ্ছে এবং অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। এটি আমাদের জন্য ভালো লক্ষণ, যোগ করেন তিনি।
হুন্ডিতে কী পরিমাণ টাকা আসে সেটির কোনো পরিসংখ্যান আছে কি না-এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, আমার এই মুহূর্তে কোনো ধারণা নেই। আমি আগে একটি স্টাডি করে দেখেছিলাম, প্রায় কাছাকাছি অফিসিয়াল চ্যানেলে এসেছে ৫১ শতাংশ আর হুন্ডিতে এসেছে ৪৯ শতাংশ। সেজন্য আমি মনে করি সেই ধারাবাহিকতা এখনো আছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যদি অফিসিয়াল চ্যানেলে আনতে পারি, কেন আসবে না। অফিসিয়াল চ্যানেলে আনলে তো লস হচ্ছে না। তাদের জন্য প্রণোদনা না, স্বীকৃতিও দেওয়া হচ্ছে। তাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মও কিন্তু এটি সুন্দরভাবে ভোগ করতে পারবে। এতে প্রশ্ন বা দায়বদ্ধতা থাকবে না।’
এনএইচবি/এমএমএ/