নতুন ড্যাপ পুন:বিবেচনার তাগিদ এফবিসিসিআইর
ভবনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাঠামোগত নকশা অনুমোদনের জন্য আলাদা কর্তৃপক্ষ গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন। একই সঙ্গে নতুন ডিটেইলড এরিয়া প্ল্যান–ড্যাপ পুন:বিবেচনার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (৩১ জুলাই) মতিঝিলে এফবিসিসিআই কার্যালয়ে রিয়েল এস্টেট অ্যান্ড হাউজিং বিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রথম বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান। বৈঠকে ভার্চুয়ালি অংশ নিয়ে সভাপতি জানান, রাজউক শুধু ভবনের স্থাপত্য নকশার অনুমোদন দিয়ে থাকে। কিন্তু ভবনের নিরাপত্তার জন্য কাঠামোগত নকশারও অনুমোদন জরুরি। তাই এ সংক্রান্ত আলাদা সংস্থা গঠন করা প্রয়োজন।
দেশের জমির স্বল্পতাকে বিবেচনায় নিয়ে নতুন ড্যাপকে সংশোধন করারও তাগিদ দেন মো. জসিম উদ্দিন। দুষণ এড়াতে পরিবেশ বান্ধব অটোমেটেড ইটের কারখানা স্থাপনে সরকারকে নীতি সহায়তা দেয়ার আহ্বান জানিয়ে এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, সনাতনী ইটভাটায় দূষণে কৃষি, ফসলী জমির পাশাপাশি, মানুষের জীবন যাপনে বিরুপ প্রভাব পড়ছে। সরকারের নীতি সহায়তা পেলে স্বয়ংক্রিয় ইট কারখানা স্থাপনে আগ্রহ বাড়বে। যা একই সঙ্গে দুষণমুক্ত ও সাশ্রয়ী।
সহ-সভাপতি মো. আমিন হেলালী বলেন, জমির স্বল্পতার বিপরীতে বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য আবাসন নিশ্চিত করা এ খাতের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। বাসযোগ্য নগর নির্মাণে প্রয়োজনীয় নীতি পর্যালোচনা করার জন্য স্ট্যান্ডিং কমিটির প্রতি আহ্বান জানান তিনি। একই সাথে গ্রামাঞ্চলে শোভন আবাসন নিশ্চিতে সকল সুযোগ সুবিধা সংবলিত মডেল গ্রাম পরিকল্পনা গ্রহণের জন্য রিহ্যাবের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
আবাসন খাতের জন্য প্রকল্প ঋণ প্রাপ্তি সহজ করতে গভর্নর ও ব্যাংক মালিকদের সংগঠনের সঙ্গে আলোচনার পরামর্শ দেন সহ-সভাপতি মো. হাবীব উল্লাহ ডন। এ খাতের সংকট সমাধানে এফবিসিসিআই’র পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
স্ট্যান্ডিং কমিটির ডিরেক্টর ইন চার্জ ও রিহ্যাবের সভাপতি আলমগীর শামসুল আলামিন কাজল বলেন, ‘আবাসন খাতের সঙ্গে ২৭০টি উপখাত সরাসরি জড়িত। তাই সরকারি নীতি সহায়তার মাধ্যমে আবাসন খাতের উন্নয়ন হলে এসব উপখাতও বিকশিত হবে।’
বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী ভুঁইয়া মিলন। তিনি জানান, আবাসন খাতের বিকাশে যেসব নীতি সহায়তা প্রয়োজন, কমিটি সেগুলো গবেষণা ও পর্যালোচনা করবে।
জেডএ/