‘দর কষাকষির’ জন্য সংবাদমাধ্যমকে ভিন্ন কথা বলেছিলাম: অর্থমন্ত্রী
বাংলাদেশ যে আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছে, তা স্বীকার করে বুধবার (২৭ জুলাই) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন,‘দর কষাকষির সুবিধার জন্য’ তিনি চার দিন আগে সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আইএমএফের কাছে কোনো অর্থ সহায়তা চায়নি। আইএমএফও বাংলাদেশের কাছে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব করেনি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আইএমএফের কোন সহযোগিতার প্রয়োজন নেই।’
বুধবার (২৭ জুলাই) ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ডলার প্রিন্ট করি না, ডলার অর্জন করতে হয়। রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের মাধ্যমে আমরা ডলার অর্জন করি। এর মাঝে খারাপ কিছু হয়নি।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুব সহজ জিনিস। আপানারা আমার জায়গায় থাকলে একই কাজ করতেন। আমরা বার্গেইন করে এভাবে ঋণ নিই। শক্ত কোনো টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশনস যেন ঋণের মধ্যে ঢুকে না যায়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হয়।’
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অর্থ চাইব বলেছি। কিন্তু কত লাগবে সেটা আমরা বলি নাই। তারা কী শর্তে দিতে চাচ্ছে আমরা সেটা দেখব। তারা যদি পজিটিভলি এগিয়ে আসে এবং কম রেটে পাই, তাহলে ইন দ্যট কেইস, আমরা বিবেচনা করতে পারি। আমরা বিবেচনা করবই- এমন কোনো প্রস্তাব আমরা দিইনি।’
আইএমএফকে চিঠি দেওয়ার বিষয়টি কেন প্রকাশ করা হল না, তা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ’তখন ওদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছিল। আমরা চাচ্ছিলাম আমাদের সক্ষমতাগুলো তারা বুঝুক। সে কারণে তখন এটা পাবলিক করা হয়নি। আমরা ভালোভাবেই হ্যান্ডেল করে যাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমি যদি আমার চাহিদা এক্সপোজ করে দিই, তাহলে আমার ওপর ঋণের বার্ডেন বা কস্ট তারা বেশি নেবে। সেজন্য ‘নেব, নিচ্ছি, বা প্রয়োজন নেই, এই কথাগুলো বলে ম্যানেজ করতে হয়। তাতে করে আমরা লাভবান হই।’
প্রসঙ্গত, চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে আইএমএফফের কাছ থেকে বাংলাদেশের ঋণ চাওয়ার বিষয়টি বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনা হচ্ছে। গত সপ্তাহে আইএমএফ এর একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফরে এসে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সরকারি দপ্তরের সঙ্গে আলোচনা করলে সেই আলোচনা আরও জোর পায়।
এনএইচবি/এমএমএ/