সবজির বাজারে স্বস্তি, ঝাল কমেনি মরিচের
ঈদের পর রাজধানীতে আবার সবকিছু আগের অবস্থায় ফিরে এসেছে। বাজারে সরবরাহ বেশি হওয়ায় সবজির দামও কমেছে। এরফলে বাজারে স্বস্তি দেখা গেছে।
বিক্রেতারা বলছেন, পটল, ঢেড়স ও পেঁপের কেজি ২০ টাকা, করলার কেজি ৩০ টাকা, বেগুন আগের চেয়ে কমে ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে মাছ, মাংস, ডিম আগের দামেই বিক্রি করা হচ্ছে। আটা, চাল, ডাল ও তেলের দাম কমেনি। মিলমালিকরা তেলের দাম কমালেও খুচরা বাজারে তার তেমন প্রভাব দেখা যায়নি।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে সংশ্লিষ্ট ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে। বিক্রেতারা বলছেন, ঈদের পর চাহিদার তুলনায় সরবরাহ বেশি হওয়ায় কমের দিকে সবজির দাম।
কমেছে মুরগির দাম
ঈদের পর মুরগির দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়ে গেলেও সপ্তাহের ব্যবধানে তা কমেছে। নুরজাহান মুরগি বিতানের মো. নুরুল নবী ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ঈদের পর সরবরাহ কমে যাওয়ায় আগে বেশি দামে বিক্রি করা হতো। বর্তমানে দাম কমে পাকিস্তানি মুরগির দাম কেজি ২৫০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি, পোল্ট্রির কেজি ১৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে। দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ডিমের দামও আগের মতোই ১২০ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে।’
আগে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও ঈদুল আজহার পর কম সরবরাহের অজুহাতে খাসির মাংস কেজি ১০০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। কারওয়ান বাজারের জনপ্রিয় মাংস বিতানের নুরুল ইসলাম ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, বাজারে সরবরাহ কম। বেশি দামে কেনা, তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে মাংস।
কমেছে মাছের দাম
ঈদের পর কম সরবরাহের অজুহাতে মাছের দাম কিছু বাড়লেও বর্তমানে কিছুটা কমেছে বলে বিক্রেতারা জানান। মাছ ব্যবসায়ী ফারুক ঢাকাপ্রকাশ-কে বলেন, ‘ঈদের পর বাড়লেও বর্তমানে আবার কমেছে প্রায় মাছের কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। বর্তমানে রুই ও কাতল মাছ ২৩০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, নদীর চিংড়ি ১৪০০ টাকা, বেলে ১০০০ টাকা, আইড় ১০০০ টাকা, পুঁটি ৮০০ কেজি, বোয়াল ৫০০, পাবদা ৬৫০, বাঘাইড় ৬০০ টাকা, ২ কেজি ওজনের ইলিশ ২৫০০ টাকা কেজি, দেড় কেজি ওজনের ২০০০ টাকা ও ৭০০ গ্রামের ইলিশের কেজি ১১০০ টাকা কেজি, কাচকি ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।’
শুল্ক কমানার প্রভাব পড়েনি চালের বাজারে
সরকার চালে শুল্ক কমালেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যায়নি। কারওয়ান বাজারের আল্লাহর দান রাইস এজেন্সির মো. আ. আওয়াল তালুকদার ঢাকাপ্রকাশ-কে জানান, ‘ট্যাক্স কমানোর প্রভাব এখনো বাজারে দেখা যায়নি। ঈদের আগের মতোই মিনিকেট ৬৬ থেকে ৭০ টাকা কেজি, ২৮ চাল ৫০ থেকে ৫৪, চিনিগুড়া ১০০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে প্রায় দোকানে মোটা চাল পাওয়া যায় না। কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এখনো কমছে না কেন চালের দাম?
এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, আমরা কী জানি। বেশি দামে কেনা তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। এখনো আমদানি করা চাল বাজারে আসেনি। তাই কমছে না চালের দাম।
মরিচের কেজি ১২০ টাকা
কোরবানির ঈদে শসার কেজি সেঞ্চুরি ছাড়িয়ে গেলেও সেই শসার কেজি ২৫ টাকা থেকে ৪০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে । সবজি বিক্রেতা জসিম উদ্দিন জানান, ‘মরিচের দাম কমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা কেজি, লেবুর হালি ১০ থেকে ২০ টাকা, বেগুন ৩০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, পটল, ঢেঁড়স, পেঁপের কেজি ২০ টাকা, কুমড়া ও লাউ ২০ থেকে ৫০ টাকা পিস, লাল ও পাট সাক ১০ টাকা করে আটি, পুঁইশাক ও লাউশাক ১৫ টাকা আটি বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা। ঈদের আগের মতোই প্রতি কেজি পেঁয়াজ ৪৫ থেকে ৫০ টাকা কেজি, রসুন ৭০ থেকে ১১০ ও আদা ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
জেডএ/এমএমএ/