বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে আরাফাত ও স্কাইল্যাব ইলেকট্রনিক্সকে জরিমানা
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম মার্কেটে আরাফাত ইলেকট্রনিক্স জিএফসি বৈদ্যুতিক চার্জার ফ্যান ২৭০০ টাকায় কিনে ভোক্তাদের কাছে ৩ হাজার ১০০ টাকা থেকে ৪ হাজার ২০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করে। স্কাইল্যাব ইলেকট্রনিক্সও একইভাবে ডিফেন্ডার চার্জার ফ্যান ৫০০ টাকায় কিনে ১৫০০ টাকায় বিক্রি করে। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ভোক্তা অধিদপ্তর ওই প্রতিষ্ঠান দুইটিকে জরিমানা করে। এই মার্কেটের প্রেসিডেন্ট রেস্তোরাঁকেও জরিমানা করা হয়। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরে ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয় সহকারী পরিচালক ফাহমিনা আক্তার এবং মো. মাগফুর রহমানের নেতৃত্বে ভেজাল বিরোধী অভিযানে তাদের এই জরিমানা করা হয়েছে।
এছাড়া অপর এক অভিযানে মঙ্গলবার বৈদ্যুতিক লোডশেডিংকে কেন্দ্র করে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার সর্দার ইলেকট্রনিক্স কারচুপি করে অস্বাভাবিকভাবে ২/৩ গুণ বেশি দামে চার্জার লাইট, ফ্যান বিক্রি করে। এ অপরাধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর এক বাজার অভিয়ানে সর্দার ইলেকট্রনিক্সকেও ২০ হাজার টাকা জরিমানা করে।
একই অভিযানে বিপুল পরিমাণে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য ব্যবহার্য রিজেন্ট সংরক্ষণ করার অপরাধে মনিপুর পপুলার হাসপাতাল ফার্মেসিকে ৫০ হাজার টাকা ও অর্শি ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা এবং রান্নার বিভিন্ন উপকরণের মধ্যে অসংখ্য তেলাপোকা অবাধ বিচরণ করার অপরাধে নিরালা রেস্তোরাঁ অ্যান্ড হোটেলকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল।
ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে, অভিয়ানে দেখা গেছে, কোন আমদানিকৃত বা দেশি উৎপাদিত মোড়কজাত ইলেকট্রনিক লাইট ফ্যানসহ বিভিন্ন পণ্যের মোড়কে আমদানিকারক এর তথ্য এবং এমআরপি নেই। ফলে যেকোনো সময় দাম বৃদ্ধি করে খুচরা ব্যবসায়ীরা সহজে বিক্রি করছে। ক্রয় বিক্রয়ের ভাউচার তারিখ এবং স্বাক্ষরসহ সঠিকভাবে সংরক্ষণ করে না। শুধু তাই নয়, আমদানিকারকরা বিভিন্ন ইলেকট্রনিক পণ্য সামগ্রী আমদানির সঠিক তথ্য প্রতিষ্ঠানে সংরক্ষণও করে না।
অভিযানে জেলা প্রশাসন, জেলা কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ও জয়দেবপুর থানা পুলিশ সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল জানান।
জেডএ/