সাড়ে ৭ শতাংশ ছাড়াল মূল্যস্ফীতি
দেশে লাগামহীনভাবে মূল্যস্ফীতি বাড়ছে। গত জুন মাস শেষে সার্বিক মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা গত মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪২ শতাংশ।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
বিবিএসের তথ্য অনুযায়ী, গত জুন মাসে খাদ্যের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩০ শতাংশে। খাদ্যবহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতির হার বেড়ে হয়েছে ৬ দশমিক ৩৩ শতাংশ। মূলত খাদ্যদ্রব্য কিনতে গিয়েই চাপে রয়েছে মানুষ। শহরাঞ্চলের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে মূল্যস্ফীতির চাপ বেশি।
বিবিএসের সদ্য প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, জুন শেষে গ্রামাঞ্চলে খাদ্যের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৮ দশমিক ০৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। আর শহরাঞ্চলে এই হার ৭ শতাংশের বেশি।
মূল্যস্ফীতি নিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ হলে মূল্যস্ফীতি স্বাভাবিক হবে। তাই কিছু কৌশল অবলম্বন করতে হবে। একনেক সভায় আরও বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে গত কয়েকদিন ধরে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজের দাম কমতে শুরু করেছে। জুলাই শেষে দ্রব্যমূল্যের দাম আরও কমবে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে। বিশ্ববাজারের বেড়েছে জ্বালানি তেল, খাদ্যপণ্যসহ সকল পণ্যের দাম। এ কারণে মুদ্রাস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী। এ ছাড়া যে হারে দ্রব্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাচ্ছে সে হারে শ্রমিকের মজুরি বাড়ছে না।
সীমিত আয়ের মানুষের ওপর বাড়ছে চাপ। কমে যাচ্ছে তাদের ক্রয়ক্ষমতা। তাই দরিদ্রসীমার কিছুটা ওপরে থাকা মানুষদের গরিব হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
এসজি/