জোর করে রাজস্ব আহরণ করা যায় না: এনবিআর চেয়ারম্যান
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম বলেছেন, ‘জোর করে কারো কাছ থেকে রাজস্ব আহরণ করা যায় না। জনগণ সহজেই যেন কর দিতে পারেন সে জন্য সংস্কারের মাধ্যমে রাজস্ব ব্যবস্থাকে বদলে দেওয়া হবে।'
বুধবার (৫ জুলাই) সেগুনবাগিচায় রাজস্ব ভবনে ১৮তম ইডিএফ লটারির ড্র এর অনুষ্ঠানে সংবাদ সম্মেলনে এ তিনি এসব তথ্য জানান।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘রাজস্ব আহরণে সিস্টেম যাতে সহজ হয়, সে জন্য বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। কারণ গত তিন বছর পর পর করহার কমানো হয়েছে। ধারণা করা হয়, করহার কমলে রাজস্ব আহরণে নেতিবাচক প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকে। কিন্তু এটা ঠিক নয়, বরং করহার কমালে ও আদায় প্রক্রিয়া সহজ করলে রাজস্ব আদায় বাড়ে। সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে এনবিআর কাজ করছে।
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘দেশে করদাতা শনাক্তকারী নম্বর বা টিআইএনধারীর সংখ্যা অনেক বেশি। কিন্তু সে অনুযায়ী রিটার্ন দাখিলের সংখ্যা কম। তাই রিটার্ন জমার সংখ্যা বাড়ানোর জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে নতুন অর্থবছরে।'
উপজেলা পর্যন্ত নতুন করদাতার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। সে জন্য আমরা উপজেলা পর্যন্ত কর অফিস সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করেছি। এ বিষয়ে সম্প্রসারণ প্রস্তাব জনপ্রশাসনের জমা দেওয়া হয়েছে। আয়কর, মূল্য সংযোজন কর ও কাস্টমসে আধুনিকায়নের প্রক্রিয়া চলছে। ফলে গোটা রাজস্বব্যবস্থা বদলে যাবে। রাজস্ব আহরণে বাড়বে গতি, যোগ করেন তিনি।
ইলেকট্রনিক ফিসক্যাল ডিভাইস বা ইএফডিএর ব্যাপারে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘এটি একটি নতুন প্রযুক্তি। এ প্রযুক্তিতে অভ্যস্ত হতে একটু সময় লাগবে। সারাদেশে ৭ হাজার ভ্যাট মেশিন বসানো হয়েছে। যদিও গত বছর পর্যন্ত টার্গেট ছিল ১০ হাজার মেশিন বসানোর। ইএফডি মেশিন ব্যবহার উৎসাহিত করতে লটারি সিস্টেম চালু করা হলেও এর প্রতি ক্রেতাদের আগ্রহ তেমন নেই।'
এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, এই খাতে ভ্যাট আদায় প্রক্রিয়া এখনো অস্বচ্ছ। চেষ্টা করা হচ্ছে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনার। কিন্তু সফল হতে পারছি না। এখানে তদারকি ব্যবস্থা দুর্বল। এটি শক্তিশালী করা গেলে খুচরা পর্যায়ে ভ্যাট আদায়ের যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে । এ জন্য অটোমেশনে কোনো বিকল্প নেই ।
এ সময় এনবিআরের জ্যেষ্ঠ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে ১৮তম লটারির ড্রয়ের পুরস্কার বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করা হয়।
জেডএ/এমএমএ/