কমেনি চালের দাম, ঝাঁজ বাড়েনি পেঁয়াজে
বোরো ধানের মৌসুমেও কমছে না চালের দাম। সরকার শুল্ক কমিয়েছে ২৫ শতাংশ। তারপরও কমছে না। মিনিকেট ৭০ টাকা, ২৮ চাল ৫৪, নাজিরশাইল ৮০, চিনিগুড়া ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করছে বিক্রেতারা। অন্যদিকে সরকার নির্ধারিত কম দামের তেল ১৯৮ টাকা লিটার বাজারে সয়লাব হয়ে গেছে। মিলমালিকরা বেশি করে দিতে চাইলেই খুচরা ব্যবসায়ীরা দাম কমার ভয়ে বেশি করে মজুদ করছেন না। ঝাঁজ বাড়েনি পেঁয়াজে, আগের মতো ৫০ থেকে ৫৫ টাকা কেজি, রসুন ১৪০, আদা ১২০ টাকা কেজি বিক্রি করতে দেখা গেছে। বেগুণে আগুণ লাগার মতো ১০০ টাকা কেজি। তবে করলা, পটল, ঢেরস, চিচিঙ্গাসহ বিভিন্ন সবজির কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রিতারা জানান।
শনিবার (২ জুলাই) রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুরের কৃষিমার্কেট, টাউনহল বাজার ঘুরে এমনই চিত্র পাওয়া গেছে।
শুল্ক কমানার প্রভাব নেই চালের বাজারে
চালের দাম একেবারে লাগামহীন হয়ে যাচ্ছে। সরকার শুল্ক কমালেও বাজারে তার প্রভাব দেখা যায়নি। মিনিকেট ৭০ টাকা আটাশ চাল ৫৪, চিনিগুড়া ১০৫ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। তবে প্রায় দোকানে মোটা চাল পাওয়া যায় না। তবে কোনো কোনো দোকানে পাওয়া গেলেও ৪৫ থেকে ৪৮ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। এখনো কমছে না কেন চালের দাম? এমন প্রশ্নের জবাবে কারওয়ান বাজারের সিটি রাইস এজেন্সির মো. বেলায়েতসহ অন্যান্য চাল ব্যবসায়ীরা জানান, আমরা কি জানি। বেশি দামে কেনা তাই বেশি দামেই বিক্রি করতে হচ্ছে। শুল্ক কমানোর পরও দাম না কমার ব্যাপারে তারা বলছেন, এখনো আমদানি করা চাল বাজারে আসেনি। তাই হয়ত কমে না।
আগে ২ কেজির আটা ১১৫ টাকাও বিক্রি করা হলেও বর্তমানে দাম কমে ১০৫ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, যেভাবে কেনা সেভাবে বিক্রি করা হচ্ছে। এক কেজি প্যাকেট চিনি আগের মতো ৮৫ টাকা, খোলাটা ৮০ টাকা ও দেশি চিনি ১০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। ডালের দাম কমছে না। আগের মতো ১১০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে।
ঈদ ঘনিয়ে আসলেও পেঁয়াজের ঝাঁজ বাড়েনি বাজারে। আগের মতোই প্রতি কেজি ৫০ থেকে ৫৫ টাকা, রসুন ৯০ থেকে ১৪০ ও আদা ৯০ থেকে ১১০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।
আগের দামেই মাছ মাংস
ঈদ উল ফিতরের পরে গরুর মাংস কেজি হঠাৎ ৭০০ টাকা হলেও বর্তমানে কমে ৬৫০ টাকা বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। খাসির মাংসও আগের মতোই ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকা কেজি। তবে পাকিস্তানি মুরগি আগের চেয়ে কমে ২৩০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি, দেশি মুরগি ৫৫০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে। তবে পোল্ট্রি মুরগির কেজি কমে ১৫০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে নুরজাহান চিকেকের জসিম জানান। ডিমের দামও কমে ১১০ থেকে ১১৫ টাকা ডজন বিক্রি করা হচ্ছে।
অপরদিকে মাছও আগের মতো বিক্রি হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান। রুই ও কাতল মাছ ২৩০ থেকে ৪৫০ টাকা কেজি, চিংড়ি ৪৫০ থেকে ১২০০ টাকা, বোয়াল ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, ইলিশ ৯০০ থেকে ১৪০০ টাকা, শিং ৪০০ থেকে ৭০০, কাচকি ৩০০ টাকা ও কাজলি ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা ইলিশ মাছের কেজির ৮০০ থেকে ১২০০ টাকা কেজি বিক্রি করা হচ্ছে বলে বিক্রেতারা জানান।
৫০ টাকার মধ্যে সবজির কেজি
রমজান মাসে হঠাৎ করে বেগুণের কেজি ১০০ টাকা হয়ে যায়। তারপরও কমে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজির বেগুণ আবার ১০০ টাকা বিক্রি করতে দেখা গেছে। তবে দাম দর করলে সেই বেগুণ ৮০ টাকা কেজি বিক্রি হতে দেখা গেছে। তবে করলা, পটল, ঢেড়স ৩৫ থেকে ৪০ টাকা কেজি, শসা ৩০ থেকে ৪০ টাকা, মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা, লেবুর ডজন ২০ থেকে ৪০ টাকা, কুমড়ার জালি ও লাউ ৪০ থেকে ৭০ টাকা পিস, লাল ও পাট সাক ১০ টাকা করে আটি বিক্রি করছে খুচরা বিক্রেতারা।
জেডএ/