বেরিয়ে আসছে মজুদ ভোজ্যতেল
মিলমালিকরা পরিশোধন করে সয়াবিন তেল ছাড়ছেন পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে। কিন্তু অতি মুনাফার লোভে বাড়তি দামের আশায় তারা ভোক্তাদের কাছে তেল বিক্রি একেবারে বন্ধ করে দিয়েছেন। এরফলে দেশের প্রায় বাজারে ক্রেতারা তেল পাচ্ছেন না।
মিলমালিকরা দেশে যথেষ্ট সয়াবিন তেল সরবরাহ করলেও ঈদের আগে-পরে তা দোকানে আসেনি৷ এতে দৈনিক চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টন চাহিদা বিবেচনায় ১০ দিনে ৪০ হাজার টনের মতো সয়াবিন তেল মজুদ হয়েছে বলে ধারণা করছে ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এ জন্য দেশের বিভিন্ন গুদামে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এতে উদ্ধার হচ্ছে মজুদ করা ভোজ্যতেল।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজধানীর কারওয়ান বাজারসহ সারা দেশে অভিযান পরিচালনা করেছে রবিবার ও সোমবার। এতে বিভিন্ন বাজারে অসংখ্য পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের কাছে হাজার হাজার টন মজুদকৃত তেল জব্দ করা হয়েছে।
মজুত করা তেল কিভাবে বিক্রি হবে জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান ঢাকাপ্রকাশকে বলেন, ‘ বাড়তি দামের আশায় কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তেল মজুদ করায় সারা দেশে দুই দিন অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এতে রাজধানীসহ সারা দেশে কয়েক হাজার টন তেল জব্দ করে আগের দামে বিক্রি করার জন্য বলা হয়েছে। এ অভিযান চলমান থাকবে।’
তিনি আরও বলেন. ‘কেউ বেআইনী ব্যবসা করলে রক্ষা নেই। তাদের শান্তির আওতায় আনা হচ্ছে। কোনো ছাড় নেই। কারণ যেই তেল লিটার ১৬০ টাকা বিক্রি করার কথা, ভোক্তাদের জিম্মি করে, বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে বেশি দামে বিক্রি করবে তা হবে না। নির্ধারিত দামেই বিক্রি করতে হবে। কেউ যাতে পুরোনো দামের তেল নিয়ে কারসাজি করে অতি মুনাফা না করে।’
জেডএ/