‘মিলগেটে রডের মূল্য উল্লেখ করা জরুরি’
দেশে উৎপাদিত রড বিশ্বমানের। তাই এ শিল্পকে সুরক্ষা দিতে হবে বলে উল্লেখ করেছেনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।
তিনি বছেন, ‘রড ম্যান্ডেটরি পণ্য হলেও আগে এর দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়নি। এখন মিলগেটে ইউনিট মূল্য উল্লেখ করতে হবে। উৎপাদন থেকে ট্রেডিং (ডিলার) পর্যায়ে দাম নির্ধারণ করা হবে। এ জন্য সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তারা ৩০ মে যৌক্তিক মূল্যের প্রতিবেদন জমা দিবে। তারপর দাম ঠিক করা হবে। ব্যবসার পরিবেশ সৃষ্টি করা হবে।’
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ বাস্তবায়নে ভোক্তা ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ভোক্তা অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় বাংলাদেশ স্টিল মিলমালিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মনোয়ার হোসেনসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ নির্বাহী কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ভোক্তার ডিজি বলেন, ‘এক বছরের ব্যবধানে রডের দাম ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা টন হয়ে গেছে। ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ বেড়ে গেছে। টনে ২০ হাজার টাকা বেড়ে গেছে। তাহলে ঠিকাদাররা কীভাবে কাজ করবে। হয় তারা অর্ধেক দেবে, না হলে লোকসান করে ব্যবসা বন্ধ করে দেবে। তাতো হতে পারে না। উৎপাদন খরচ কমানোর জন্য উৎপাদকদের (মিলমালিক) প্রটেকশন ( সুরক্ষা) দিতে হবে। সরকার আগে এটা নিয়ে তেমন কাজ করেনি। বর্তমানে এই পণ্যের দাম অনেক বেড়ে গেছে। উন্নয়ন কাজও এটার উপর নির্ভর করে। তাই অন্য প্রতিষ্ঠানের মতো এখানেও সুযোগ থাকলে ভর্তুকি দেওয়া হবে।’
তবে এনবিআর থেকে বলা হচ্ছে, অনেকে ভ্যাট প্রত্যাহারের সুযোগ নিলেও বাজারে তার প্রভাব পড়ে না। তাই বাজারের প্রভাব পড়ার মতো কাজ করতে হবে, যোগ করনে তিনি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘ভোক্তাদের স্বার্থ রেখে উৎপাদকদের রক্ষা করতে হবে। বুয়েট, ক্যাব, অ্যাসোসিয়েশনসগহ সংশ্লিষ্টদের নিয়ে কমিটি গঠন করা হচ্ছে। তারা ৩০ মের মধ্যে যৌক্তিক মূল্যের প্রতিবেদন জমা দিবে। তারপর দাম নির্ধারণের ব্যাপারে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ করা হবে। মন্ত্রণালয় থেকে নির্দেশ দেওয়ার পর ভোক্তা অধিদপ্তর থেকে তখন নির্ধারিত দাম কার্যকর করা হবে।
ভোক্তা অধিদপ্তরের পরিচালক মন্জুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ‘দেশ ও জনগণের স্বার্থে রডের দাম নির্ধারণ করা দরকার। কারণ সকালে এক রেট বিকেলে আরেক রেট তা হতে পারে না।’
তিনি আরও বলেন, অভিযানে দেখা গেছে, মিলে কোনো ইউনিট মূল্য থাকে না। উৎপাদন খরচের সঙ্গে ট্রেডার্সের লাভ ধরে তা উল্লেখ করতে হবে। কারণ, একই কোম্পানির রড দিনে দুই রকম দামে বিক্রি হয়েছে। এটা হতে পারে না। ভোক্তাদের স্বার্থ ও অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দামের ব্যাপারে যাতে প্রতারিত না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এটা অত্যাবশকীয় পণ্য, তাই ভোক্তাদের স্বার্থে এটা করতে হবে
জেডএ/এমএমএ/