‘দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে কোটি টাকা পাচার'
বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্র থেকে বিড়ি শিল্পকে বাঁচাতে বৃহত্তর রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের আয়োজনে বিড়ি শ্রমিক জনসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জনসভায় বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশীয় বিড়ি শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। তারা বলেন, দেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলো।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) রংপুর পাবলিক লাইব্রেরি মাঠে এ জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
জনসভায় আগামী ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ির উপর বিদ্যমান শুল্ক কমানো, বিড়ির উপর অর্পিত অগ্রিম ১০ শতাংশ আয়কর প্রত্যাহার, বিড়ি শ্রমিকদের সুরক্ষা আইন প্রণয়ন এবং বিড়ি শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরির দাবি জানান শ্রমিকরা। জনসভা শেষে রংপুর জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন শ্রমিক নেতারা।
রংপুর জেলা বিড়ি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসনাত লাভলুর সঞ্চালনায় জনসভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের কার্যকরী সভাপতি আমিন উদ্দিন (বিএসসি)। প্রধান অতিথি ছিলেন রংপুর মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি সাফিউর রহমান সফি, বিশেষ অতিথি ছিলেন সভাপতি এম কে বাঙালী এবং সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান।
জনসভায় বক্তব্য রাখেন— বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশনের সহ-সভাপতি নাজিম উদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক হারিক হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর, প্রচার সম্পাদক শামীম ইসলাম, বিড়ি শ্রমিক নেতা ছাদ আলী প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, ‘বৃহত্তর রংপুর অঞ্চলের সুবিধাবঞ্চিত, হতদরিদ্র, শারীরিক বিকলঙ্গ, বিধবাসহ লাখ লাখ শ্রমিক বিড়ি শিল্পে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। অথচ বিদেশি বহুজাতিক কোম্পানির ষড়যন্ত্রে দেশের প্রাচীন শ্রমঘন এ শিল্পটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। তারা এদেশের মানুষের ফুসফুস পুড়িয়ে বিদেশে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করছে।
বক্তারা আরও বলেন, বিদেশি সিগারেট কোম্পানিগুলোকে একচেটিয়া ব্যবসার সুযোগ করে দিতে কতিপয় অসাধু আমলা বিড়ির উপর ষড়যন্ত্রমূলকভাবে মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা চাপিয়ে দিচ্ছে। বিড়ি মালিকরা এই মাত্রাতিরিক্ত করের বোঝা সহ্য করতে না পেরে কারখানা বন্ধ করতে বাধ্য হচ্ছে। ফলে বিড়ি কারখানায় নিয়োজিত শ্রমিকরা কর্ম হারিয়ে বেকার জীবনযাপন করছে। কর্মসংস্থান না থাকাই পরিবার নিয়ে অনাহারে, অর্ধাহারে দিনাতিপাত করছে।
জনসভায় শ্রমিকদের কর্মরক্ষার্থে সরকারের কাছে বিড়ির উপর বিদ্যমান শুল্ক কমানোর জোর দাবি জানানো হয়।
জেডএ/আরএ/