আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণের সুদ সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ
সাম্প্রতিক সময়ে কিছু কিছু নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠান উচ্চ হারে আমানত সংগ্রহ করছে। বেশি সুদে ঋণও দিচ্ছে। এতে খেলাপী ঋণ বাড়ছে। তাই এবার আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত ও ঋণের সর্বোচ্চ সুদহার বেঁধে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ সব প্রতিষ্ঠান সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদে ঋণ বা বিনিয়োগ বা লিজ দিতে পারবে। আর আমানতের বিপরীতে সুদ বা মুনাফা দেওয়া যাবে সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ। এই সিদ্ধান্ত আগামী ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
সোমবার (১৮ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংক এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২০ সালের এপ্রিলে ক্রেডিট কার্ড ছাড়া সব ব্যাংকে ঋণে সর্বোচ্চ ৯ শতাংশ ও আমানতে সর্বোচ্চ ৬ শতাংশ সুদহার ঠিক করে দিয়েছে। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার বেঁধে না দেওয়ায় বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান আমানত ও ঋণের সুদহার তুলনামূলক বেশি আদায় করে।
তাই দেরিতে হলেও আমানতের ক্ষেত্রে এক শতাংশ, আর ঋণের ক্ষেত্রে দুই শতাংশ বাড়তি সুদ আদায় করা যাবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক ঘোষণা করে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক জুলকার নায়েন এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছেন।
আমানত টানতে অনেক প্রতিষ্ঠান ৮ থেকে ১২ শতাংশ সুদ দেওয়ার কথা বলে। আর ঋণে ১৮ থেকে ২০ শতাংশ পর্যন্ত সুদ দেওয়ার কথা বলছে। এ অবস্থায় গত ২৭ মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ ও আমানতে সুদহারের সর্বোচ্চ সীমা বেঁধে দেওয়ার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। তারই অংশ বিশেষ খেলাপি ঋণ কমাতে ও অর্থনীতিতে প্রভাব মুক্ত করতে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
জেডএ/আরএ/